নিউইয়র্ক ০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে : যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৯ বার পঠিত

হামাসের যোদ্ধরা (ফাইল ফটো)। ছবি: এএফপি

হককথা ডেস্ক : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের অভিযানের পর হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলার পর থেকে দুই মাসে হামাসের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাব নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী হামলার পর ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই হচ্ছে নারী ও শিশু। ইসরায়েলের এ আক্রমণের সময় ফিলিস্তিনের একমাত্র প্রতিরোধ সংগঠন হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে হামাস।

পশ্চিম তীর, জর্ডান এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশেও হামাসের জনপ্রিয়তা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারাই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন যে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা হামাসকে সাহায্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, “এই ধরনের লড়াইয়ে প্রধান ভুক্তভোগী হচ্ছে বেসামরিক জনগোষ্ঠী। এখন এ যুদ্ধে সাধারণ মানুষ শত্রুপক্ষের (হামাস) দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এটা কৌশলগত বিজয়কে পরাজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’ সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, সিএনএন

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে : যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণ

প্রকাশের সময় : ০৭:২১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের অভিযানের পর হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলার পর থেকে দুই মাসে হামাসের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাব নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী হামলার পর ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই হচ্ছে নারী ও শিশু। ইসরায়েলের এ আক্রমণের সময় ফিলিস্তিনের একমাত্র প্রতিরোধ সংগঠন হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে হামাস।

পশ্চিম তীর, জর্ডান এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশেও হামাসের জনপ্রিয়তা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারাই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন যে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা হামাসকে সাহায্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, “এই ধরনের লড়াইয়ে প্রধান ভুক্তভোগী হচ্ছে বেসামরিক জনগোষ্ঠী। এখন এ যুদ্ধে সাধারণ মানুষ শত্রুপক্ষের (হামাস) দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এটা কৌশলগত বিজয়কে পরাজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’ সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, সিএনএন

হককথা/নাছরিন