নিউইয়র্ক ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড বিক্রি নয়, উল্টো ক্যালিফোর্নিয়া কিনতে চায় ডেনমার্ক!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫ বার পঠিত

ট্রাম্পের চাওয়া গ্রিনল্যান্ড, অন্যদিকে ডেনমার্ক কিনে নিতে চাইছে ক্যালিফোর্নিয়া! ‘ডেনমার্কিফিকেশন’ নামে ডেনমার্কের একটি সামাজিক সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রকে এই নাটকীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড বিক্রি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নেয়ার মধ্য দিয়ে ডেনমার্কেরই ভূখণ্ড বাড়ানো উচিত। এ অবস্থানের পক্ষে জনমত বাড়াতে অনলাইনে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করেছে ডেনমার্কিফিকেশন। এরই মাঝে ২ লাখের মতো মানুষ এতে স্বাক্ষর করেছে।

অনলাইনে চালানো ওই ক্যাম্পেইনে ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নিতে চাওয়ার সপক্ষে ডেনমার্কিফিকেশন বলছে, ডেনমার্কবাসীর আরো অনেক বেশি সূর্যের আলো প্রয়োজন, যা পাওয়া যাবে ক্যালিফোর্নিয়ায়। একই সাথে প্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী ক্যালিফোর্নিয়া নিজেদের অংশ হওয়া মানে ডেনমার্কও এ খাতে শক্তিশালী হবে। এছাড়া মিলবে প্রচুর অ্যাভোকাডো টোস্ট ও অনায়াসে ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ। ক্যালিফোর্নিয়ার বিনিময় মূল্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ডেনমার্কিফিকেশন। ডেনমার্কের প্রত্যেক নাগরিক ১৮ হাজার ডলার করে অনুদান দিলেই এটি কিনে ফেলা সম্ভব, বলছে তারা। একই সাথে ট্রাম্পকে উপহাস করে বিনিময় মূল্যের অংশ হিসেবে ডেনমার্কের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে ডেনিশ পেস্ট্রি সরবরাহেরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এদিকে নীতিগত দ্বন্দের কারণে ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশ হতে চায় ক্যালিফোর্নিয়াবাসীর একাংশ। ব্রেক্সিটের সাথে মিলিয়ে এ আন্দোলনের নাম দেয়া হয়েছে ক্যালেক্সিট। ক্যালেক্সিটের ব্যাপারে গণভোট আয়োজনেরও চেষ্টা চলছে। যদিও বিদ্যমান সংবিধান অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অঙ্গরাজ্যের বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। এরপরও স্বাধীন হওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্পদশালী অঙ্গরাজ্য বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়াকে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, এককভাবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তর অর্থনীতি ক্যালিফোর্নিয়ার, যা যুক্তরাজ্যের চেয়েও বড়।

অন্যদিকে ফেডারেল সরকারের সাথে নীতিগত দ্বন্দের কারণে বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে আসছেন ট্রাম্প। কিছুদিন আগেও একে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে ও নষ্ট হয়ে যাওয়া অঙ্গরাজ্য বলে গালমন্দ করেছেন তিনি। সার্বিক প্রেক্ষাপটে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ স্বাধীন ক্যালিফোর্নিয়ার সপক্ষে। এই টানাপোড়েনের মাঝেই ডেনমার্কিফিকেশনের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নিতে চাওয়ার প্রস্তাব অঙ্গরাজ্যটির স্বাধীনতাকামী অংশকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে বলে অভিমত অনেক বিশ্লেষকের। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই গ্রিনল্যান্ড, কানাডা, গাজাসহ বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চল কিনে নেয়া কিংবা দখলের হুমকি দিয়ে চলেছেন। এর জোরালো সমালোচনা করছেন তারা। এরই মাঝে ডেনমার্ক তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অঞ্চল কোনো মতেই বিক্রির জন্য নয় বলে শক্তভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড বিক্রি নয়, উল্টো ক্যালিফোর্নিয়া কিনতে চায় ডেনমার্ক!

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ট্রাম্পের চাওয়া গ্রিনল্যান্ড, অন্যদিকে ডেনমার্ক কিনে নিতে চাইছে ক্যালিফোর্নিয়া! ‘ডেনমার্কিফিকেশন’ নামে ডেনমার্কের একটি সামাজিক সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রকে এই নাটকীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড বিক্রি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নেয়ার মধ্য দিয়ে ডেনমার্কেরই ভূখণ্ড বাড়ানো উচিত। এ অবস্থানের পক্ষে জনমত বাড়াতে অনলাইনে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করেছে ডেনমার্কিফিকেশন। এরই মাঝে ২ লাখের মতো মানুষ এতে স্বাক্ষর করেছে।

অনলাইনে চালানো ওই ক্যাম্পেইনে ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নিতে চাওয়ার সপক্ষে ডেনমার্কিফিকেশন বলছে, ডেনমার্কবাসীর আরো অনেক বেশি সূর্যের আলো প্রয়োজন, যা পাওয়া যাবে ক্যালিফোর্নিয়ায়। একই সাথে প্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী ক্যালিফোর্নিয়া নিজেদের অংশ হওয়া মানে ডেনমার্কও এ খাতে শক্তিশালী হবে। এছাড়া মিলবে প্রচুর অ্যাভোকাডো টোস্ট ও অনায়াসে ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ। ক্যালিফোর্নিয়ার বিনিময় মূল্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ডেনমার্কিফিকেশন। ডেনমার্কের প্রত্যেক নাগরিক ১৮ হাজার ডলার করে অনুদান দিলেই এটি কিনে ফেলা সম্ভব, বলছে তারা। একই সাথে ট্রাম্পকে উপহাস করে বিনিময় মূল্যের অংশ হিসেবে ডেনমার্কের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে ডেনিশ পেস্ট্রি সরবরাহেরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এদিকে নীতিগত দ্বন্দের কারণে ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশ হতে চায় ক্যালিফোর্নিয়াবাসীর একাংশ। ব্রেক্সিটের সাথে মিলিয়ে এ আন্দোলনের নাম দেয়া হয়েছে ক্যালেক্সিট। ক্যালেক্সিটের ব্যাপারে গণভোট আয়োজনেরও চেষ্টা চলছে। যদিও বিদ্যমান সংবিধান অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অঙ্গরাজ্যের বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। এরপরও স্বাধীন হওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্পদশালী অঙ্গরাজ্য বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়াকে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, এককভাবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তর অর্থনীতি ক্যালিফোর্নিয়ার, যা যুক্তরাজ্যের চেয়েও বড়।

অন্যদিকে ফেডারেল সরকারের সাথে নীতিগত দ্বন্দের কারণে বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে আসছেন ট্রাম্প। কিছুদিন আগেও একে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে ও নষ্ট হয়ে যাওয়া অঙ্গরাজ্য বলে গালমন্দ করেছেন তিনি। সার্বিক প্রেক্ষাপটে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ স্বাধীন ক্যালিফোর্নিয়ার সপক্ষে। এই টানাপোড়েনের মাঝেই ডেনমার্কিফিকেশনের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়া কিনে নিতে চাওয়ার প্রস্তাব অঙ্গরাজ্যটির স্বাধীনতাকামী অংশকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে বলে অভিমত অনেক বিশ্লেষকের। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই গ্রিনল্যান্ড, কানাডা, গাজাসহ বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চল কিনে নেয়া কিংবা দখলের হুমকি দিয়ে চলেছেন। এর জোরালো সমালোচনা করছেন তারা। এরই মাঝে ডেনমার্ক তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অঞ্চল কোনো মতেই বিক্রির জন্য নয় বলে শক্তভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা। সূত্র : বাংলাভিশন।