সরকার নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে : রিজভী
- প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৫০ বার পঠিত
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার অপরিসীম ক্ষমতায় আইনকানুন, নিয়ম-নীতি, সংবিধান, শৃঙ্খলা সবকিছু পদতলে পিস্ট করে দেশে জংলী শাসন কায়েম করেছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে রাজনীতির মাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচারও হারিয়ে ফেলেছেন। যে কোনো সভা সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্রাব্য খিস্তিখেউড় করা এখন মনে হয় তার রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।
রিজভী বলেন, পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের ভোটরঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট, শপথগ্রহণ, মন্ত্রী পরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ—চারদিনেই অভাবনীয় দ্রুততায় বিশ্ব রেকর্ড করে ভেবেছে বিপদমুক্ত হলেন সরকার। তাকে মনে হচ্ছে অস্থির। ভীতি-ত্রাসে তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার অবৈধ শপথ নিতে গিয়ে আইনকানুন ও সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, তার মানে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।
দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দেশে মিডনাইট একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আগামী ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লংঘন। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে এই সময়ের মধ্যে দ্বাদশ অবৈধ সংসদ বাতিল করে দিতে পারে উচ্চ আদালত। জনগণের প্রত্যাশা শেষ আশ্রয়স্থল আদালত তাদের যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে।
রিজভী বলেন, দেড় দশক ধরে দেশের ভোটবঞ্চিত মানুষের প্রাণ তড়পানো মৌলিক দাবি—নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু সরকারের লুটেরা, পরিষদবর্গ সংবিধানের দোহায় দিয়ে একটির পর একটি বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে দেশে জংলী আইনের শাসন কায়েম করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনি যদি আবারও প্রমাণ চান ৩০০ সংসদীয় নির্বাচনী আসনে শুধু প্রার্থী আপনি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে সারা দেশে তারেক রহমান যদি আপনি শেখ হাসিনার চেয়ে দ্বিগুণ ভোট বেশি না পান, তাহলে কথা দিচ্ছি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। শেখ হাসিনাকে বলছি, সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। দেশের অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় বন্ধ করুন। সূত্র : কালবেলা
হককথা/নাছরিন