যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের দ্বিতীয় দফায় ই-মেইল করলেন ইলন মাস্ক

- প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ৪৭ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের দ্বিতীয় দফা ই-মেইল পাঠালো ট্রাম্প প্রশাসন। গতবারের মতো এই মেইলেও এক সপ্তাহের কাজ ও অর্জনের সারসংক্ষেপ জানিয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মানবসম্পদ বিভাগ, ইউএস অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো এসব মেইলে বিগত এক সপ্তাহের পাঁচটি অর্জন উল্লেখ করতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ধনকুবের ইলন মাস্ক লিখেছেন, এই মেইলের জবাব দেওয়া নির্বাহী বিভাগে কর্মরত সবার জন্য বাধ্যতামূলক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো সেটা আগেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। মেইল প্রাপ্ত কেউ যদি কোনও গোপনীয় বা সংবেদনশীল কাজে যুক্ত থাকে, তবে অন্তত সেটি জানিয়ে হলেও মেইলের জবাব দেওয়া উচিত। গত সপ্তাহেও একই পদ্ধতিতে মেইল করেছিলেন মাস্ক। সেবার জবাব দিতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুতির হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে পররাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের চেইন অব কমান্ড ভেঙে কোনও পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেন। পরের এক বার্তায়। ওই মেইলের জবাব দেওয়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাধীন বলে জানায় ওপিএম। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন পেয়ে কর্মীদের মেইলের মাধ্যমে চাপে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক। কর্মীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তিনি। এবারের দফার মেইলে চাকরি চ্যুতির হুমকি নেই। তবে প্রতি সপ্তাহের শুরুতে একই ধরনের জবাব তারা আশা করছেন বলে মেইলে জানানো হয়েছে।
রয়টার্স নিশ্চিত করেছে, এবারের দফার ই-মেইল অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ, জাতীয় সমুদ্র ও পরিবেশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ একাধিক সমালোচক বলেছেন, এই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচি চালিয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজ চালিয়ে নেওয়ায় কঠিন হয়ে পড়বে। রয়টার্স।