নিউইয়র্ক ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ১৭১ বার পঠিত

জেনিফার জনসন (বায়ে) ও কারেন স্যান্ডিন। ছবি: দ্য পিপল

আরও একজন বোন থাকার কথা জানতেন না দুই বোনের কেউই। তবু ৫০ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষা মিলিয়ে দিল তাঁদের। যুক্তরাষ্ট্রের কারেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার জনসনের মা একই হলেও তাঁদের বাবা ছিলেন আলাদা। এই ব্যবধানটুকুই একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া দুই বোনকে আলাদা করে রেখেছিল দশকের পর দশক।

দুই বোনের এমন পুনর্মিলন নিয়ে সোমবার খবর প্রকাশিত হয়েছে দ্য পিপল ম্যাগাজিনের অনলাইন পোর্টালে। বোনকে পাওয়ার অনুভূতিকে যেন কোনো শব্দেই প্রকাশ করতে পারছিলেন না কারেন স্যান্ডিন। বর্তমানে স্যান্ডিনের বয়স ৫৫ বছর, আর জেনিফার জনসন পা রেখেছেন ৫২ বছরে।

একই মায়ের গর্ভে জন্ম হলেও ইতিপূর্বে তাঁদের মধ্যে কোনো দিনও দেখা হয়নি। জন্মের পর থেকেই দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠেছিলেন স্যান্ডিন। পিপলকে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল হিস্ট্রি নিয়ে আমি অনেক বছর ধরেই কৌতূহলী ছিলাম। সব সময় ভাবতাম, কোথাও হয়তো আমার কোনো ভাই-বোন রয়ে গেছে।’

স্যান্ডিন জানান, সম্প্রতি স্বামী মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে ২৫ বছর ধরে বসবাস করা নিজের বাড়িটি তিনি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর দাদির রেখে যাওয়া সব ছবি, চিঠি ও সার্টিফিকেটগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। এসব দেখতে দেখতেই স্যান্ডিনের মনে হলো—তাঁর মা হয়তো এখনো বেঁচে আছেন। হয়তো তাঁর আরও ভাই-বোনও রয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত পারিবারিক বংশ পরিক্রমা নিয়ে কাজ করা অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের দ্বারস্থ হন তিনি।

এদিকে জেনিফারও অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে গিয়েছিলেন আরও পাঁচ বছর আগেই। এর ফলে চলতি বছর অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে স্যান্ডিন যোগ দিয়েই বোন জেনিফারকে তিনি পেয়ে যান।

স্যান্ডিন জানান, অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের সাহায্যে তিনি তাঁর এক মামাকেও খুঁজে পেয়েছেন। স্যান্ডিনের মা তথা নিজের বোনকে খুঁজছিলেন সেই ব্যক্তি। অবশেষে স্যান্ডিনকে পেয়ে যাওয়ায় অনেক বড় উপকার হয়েছে তাঁর। কারণ বর্তমানে কিছু মানসিক অক্ষমতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একে অপরকে আবিষ্কারের পর থেকেই দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার। কারণ তাঁরা দুজন আমেরিকার দুই অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। এর মধ্যে জেনিফার থাকেন ওকলাহোমায় এবং স্যান্ডিন থাকেন আরকানসাসে।

অবশেষে গত ২৬ মে তাঁরা দুজন তাঁদের খুঁজে পাওয়া মামা সহ একটি ডিনারে সশরীরে দেখা করেন। এ বিষয়ে স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা দেখতে একই রকম কি-না তা দেখার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমাদের একই রকম হাসি এবং গালের হাড়ের গঠনও এক। জেনিফার দেখতে অনেকটা আমার মায়ের মতো, বলেছেন মামা। আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলাম।’

দুঃখজনক বিষয় হলো—বহু বছর আগে জেনিফারও তাঁর মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁকে দত্তক নিয়েছিল আরেকটি পরিবার। এবার তাঁরা দুই বোন এক হয়ে হারানো মাকে খুঁজে পাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য একে অপরকে আরও জানতে এবং একসঙ্গে আরও সময় কাটানোরও পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের জৈবিক মাকে আমরা খুঁজে পাব এবং আমাদের পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে চাচা এবং কিছু কাজিনের সঙ্গে সময় কাটাব।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

আরও একজন বোন থাকার কথা জানতেন না দুই বোনের কেউই। তবু ৫০ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষা মিলিয়ে দিল তাঁদের। যুক্তরাষ্ট্রের কারেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার জনসনের মা একই হলেও তাঁদের বাবা ছিলেন আলাদা। এই ব্যবধানটুকুই একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া দুই বোনকে আলাদা করে রেখেছিল দশকের পর দশক।

দুই বোনের এমন পুনর্মিলন নিয়ে সোমবার খবর প্রকাশিত হয়েছে দ্য পিপল ম্যাগাজিনের অনলাইন পোর্টালে। বোনকে পাওয়ার অনুভূতিকে যেন কোনো শব্দেই প্রকাশ করতে পারছিলেন না কারেন স্যান্ডিন। বর্তমানে স্যান্ডিনের বয়স ৫৫ বছর, আর জেনিফার জনসন পা রেখেছেন ৫২ বছরে।

একই মায়ের গর্ভে জন্ম হলেও ইতিপূর্বে তাঁদের মধ্যে কোনো দিনও দেখা হয়নি। জন্মের পর থেকেই দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠেছিলেন স্যান্ডিন। পিপলকে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল হিস্ট্রি নিয়ে আমি অনেক বছর ধরেই কৌতূহলী ছিলাম। সব সময় ভাবতাম, কোথাও হয়তো আমার কোনো ভাই-বোন রয়ে গেছে।’

স্যান্ডিন জানান, সম্প্রতি স্বামী মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে ২৫ বছর ধরে বসবাস করা নিজের বাড়িটি তিনি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর দাদির রেখে যাওয়া সব ছবি, চিঠি ও সার্টিফিকেটগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। এসব দেখতে দেখতেই স্যান্ডিনের মনে হলো—তাঁর মা হয়তো এখনো বেঁচে আছেন। হয়তো তাঁর আরও ভাই-বোনও রয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত পারিবারিক বংশ পরিক্রমা নিয়ে কাজ করা অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের দ্বারস্থ হন তিনি।

এদিকে জেনিফারও অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে গিয়েছিলেন আরও পাঁচ বছর আগেই। এর ফলে চলতি বছর অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে স্যান্ডিন যোগ দিয়েই বোন জেনিফারকে তিনি পেয়ে যান।

স্যান্ডিন জানান, অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের সাহায্যে তিনি তাঁর এক মামাকেও খুঁজে পেয়েছেন। স্যান্ডিনের মা তথা নিজের বোনকে খুঁজছিলেন সেই ব্যক্তি। অবশেষে স্যান্ডিনকে পেয়ে যাওয়ায় অনেক বড় উপকার হয়েছে তাঁর। কারণ বর্তমানে কিছু মানসিক অক্ষমতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একে অপরকে আবিষ্কারের পর থেকেই দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার। কারণ তাঁরা দুজন আমেরিকার দুই অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। এর মধ্যে জেনিফার থাকেন ওকলাহোমায় এবং স্যান্ডিন থাকেন আরকানসাসে।

অবশেষে গত ২৬ মে তাঁরা দুজন তাঁদের খুঁজে পাওয়া মামা সহ একটি ডিনারে সশরীরে দেখা করেন। এ বিষয়ে স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা দেখতে একই রকম কি-না তা দেখার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমাদের একই রকম হাসি এবং গালের হাড়ের গঠনও এক। জেনিফার দেখতে অনেকটা আমার মায়ের মতো, বলেছেন মামা। আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলাম।’

দুঃখজনক বিষয় হলো—বহু বছর আগে জেনিফারও তাঁর মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁকে দত্তক নিয়েছিল আরেকটি পরিবার। এবার তাঁরা দুই বোন এক হয়ে হারানো মাকে খুঁজে পাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য একে অপরকে আরও জানতে এবং একসঙ্গে আরও সময় কাটানোরও পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের জৈবিক মাকে আমরা খুঁজে পাব এবং আমাদের পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে চাচা এবং কিছু কাজিনের সঙ্গে সময় কাটাব।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।