নিউইয়র্ক ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, যে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পঠিত

প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন

হককথা ডেস্ক :  ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতা, তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মতো একাধিক সংকট সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতি ওয়াশিংটনে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

নববর্ষের দিনেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জরুরি চিকিৎসার জন্য সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷ কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে তার অনুপস্থিতির কথা এমনকি হোয়াইট হাউসও জানতো না।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক শীর্ষ কর্তাব্যক্তিও সেই বিষয়ে অবগত ছিলেন না৷ অস্টিনের আরেকবার হাসপাতালে যাবার খবরও গোপন রাখা হয়েছিল৷ আন্তর্জাতিক সংকটের সময়ে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের কারণে অস্টিনকে বরখাস্ত করার দাবি উঠছে৷

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লয়েড অস্টিনকে পদচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই৷ এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান দলের নেতাদের দাবি তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন৷

পেন্টাগন জানিয়েছে, চার তারকাখচিত সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল অস্টিন নিজেও পদত্যাগের কথা ভাবছেন না৷ হাসপাতাল থেকেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ সোমবার অস্টিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালাইভ্যানসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’ হিসেবে প্রেসিডেন্টের ঠিক পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্থান৷ জাতীয় স্তরে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে মুহূর্তের মধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হতে হবে৷ পরমাণু অস্ত্র দিয়ে হামলার মতো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে তাকে নিরাপদ লাইনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে৷ হাসপাতালের আইসিইউ বেডে থেকে সেটা করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

অসুস্থতার ক্ষেত্রে লয়েড অস্টিন কিছু দায়িত্ব উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাথলিন হিক্সের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল বলে সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ অথচ হিক্সও সেই বিষয়ে কয়েক দিন ধরে কিছুই জানতেন না৷ ৭০ বছর বয়সী অস্টিনের অসুস্থতা ও শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি৷

এমন রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে অস্টিন নিজের আচরণ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি নিজের অনুপস্থিতির সময়ে গোপনীয়তা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তের দায়িত্ব স্বীকার করেন৷ জনসাধারণকে ঠিকমতো জানানোর কাজ আরো ভালোভাবে করতে পারতেন বলে তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন৷ সূত্র :দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, যে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক :  ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতা, তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মতো একাধিক সংকট সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতি ওয়াশিংটনে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

নববর্ষের দিনেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জরুরি চিকিৎসার জন্য সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷ কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে তার অনুপস্থিতির কথা এমনকি হোয়াইট হাউসও জানতো না।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক শীর্ষ কর্তাব্যক্তিও সেই বিষয়ে অবগত ছিলেন না৷ অস্টিনের আরেকবার হাসপাতালে যাবার খবরও গোপন রাখা হয়েছিল৷ আন্তর্জাতিক সংকটের সময়ে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের কারণে অস্টিনকে বরখাস্ত করার দাবি উঠছে৷

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লয়েড অস্টিনকে পদচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই৷ এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান দলের নেতাদের দাবি তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন৷

পেন্টাগন জানিয়েছে, চার তারকাখচিত সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল অস্টিন নিজেও পদত্যাগের কথা ভাবছেন না৷ হাসপাতাল থেকেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ সোমবার অস্টিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালাইভ্যানসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’ হিসেবে প্রেসিডেন্টের ঠিক পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্থান৷ জাতীয় স্তরে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে মুহূর্তের মধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হতে হবে৷ পরমাণু অস্ত্র দিয়ে হামলার মতো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে তাকে নিরাপদ লাইনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে৷ হাসপাতালের আইসিইউ বেডে থেকে সেটা করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

অসুস্থতার ক্ষেত্রে লয়েড অস্টিন কিছু দায়িত্ব উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাথলিন হিক্সের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল বলে সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ অথচ হিক্সও সেই বিষয়ে কয়েক দিন ধরে কিছুই জানতেন না৷ ৭০ বছর বয়সী অস্টিনের অসুস্থতা ও শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি৷

এমন রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে অস্টিন নিজের আচরণ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি নিজের অনুপস্থিতির সময়ে গোপনীয়তা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তের দায়িত্ব স্বীকার করেন৷ জনসাধারণকে ঠিকমতো জানানোর কাজ আরো ভালোভাবে করতে পারতেন বলে তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন৷ সূত্র :দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন