নিউইয়র্ক ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউএসএইড’র বিতর্কিত তহবিল ফাঁস: মাস্কের প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৪ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) বছরের পর বছর ধরে “হাস্যকর” প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। প্রশাসন বুধবার প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্যের অর্থ অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বা বিতর্কিত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশের পর প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এটিকে “জনগণের করের অর্থের হাস্যকর অপচয়” বলে মন্তব্য করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রকাশিত নথি অনুসারে, ইউএসএইড ইসরায়েলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সমাধানের জন্য ৫ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাত্র ১০ দিন আগে দেওয়া হয়। সেই হামলায় অন্তত ১,২০০ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ইউএসএইড ইকোহেলথ অ্যালায়েন্স নামক এনজিওকে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা উহান ল্যাবে বাদুড়ের ভাইরাস গবেষণার জন্য অর্থায়ন করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ইউএসএইড’র তহবিলের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলারের খাবার আল কায়েদা-সংযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া, সংস্থাটি বিভিন্ন দেশে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডের জন্য লক্ষাধিক ডলার বরাদ্দ করেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসন বাতিল করতে চায়।

ইউএসএইড’র বিতর্কিত তহবিলের মধ্যে আরও রয়েছে শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকদের “বাইনারি-লিঙ্গগত ভাষা” এড়াতে শেখানোর জন্য ৭.৯ মিলিয়ন ডলার, গুয়াতেমালায় লিঙ্গ পরিবর্তন ও এলজিবিটি সক্রিয়তার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার। আর্মেনিয়ার একটি এলজিবিটি গোষ্ঠীকে ১.১ মিলিয়ন ডলার। জ্যামাইকায় এলজিবিটি অ্যাডভোকেসি প্রচারের জন্য ১.৫ মিলিয়ন ডলার।ল্যাটিন আমেরিকায় এলজিবিটি সমতা প্রচারের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার। পশ্চিম বলকানে এলজিবিটি কারণগুলোর জন্য ৩.৯ মিলিয়ন ডলার। উগান্ডায় এলজিবিটি সক্রিয়তার জন্য ৫.৫ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকায় সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য ৬.৩ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়া, জর্জিয়ায় “সবুজ পরিবহন” প্রচারের জন্য ডেলয়েটকে ২৫ মিলিয়ন ডলার এবং নারীবাদী গণতান্ত্রিক নীতির প্রচারের জন্য ডিজিটাল স্থান রূপান্তরের লক্ষ্যে ৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, কয়েক দশক ধরে ইউএসএইড’র আমলারা বিশ্বাস করতেন যে তারা কারও কাছে জবাবদিহি করবেন না। কিন্তু সেই যুগ শেষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অপচয়, জালিয়াতি ও অপব্যবহার বন্ধ করছেন।

এই নথিপত্র ফাঁস হওয়ার পর প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এটি জনগণের করের অর্থের হাস্যকর অপচয়। ইউএসএইড হল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বৃহত্তম মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা, যার বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০,০০০ কর্মী রয়েছে এবং বার্ষিক বাজেট কোটি কোটি ডলার। সংস্থাটি মানবিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদিত তহবিল ব্যবহার করে। সূত্র : চ্যানেল আই

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউএসএইড’র বিতর্কিত তহবিল ফাঁস: মাস্কের প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) বছরের পর বছর ধরে “হাস্যকর” প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। প্রশাসন বুধবার প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্যের অর্থ অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বা বিতর্কিত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশের পর প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এটিকে “জনগণের করের অর্থের হাস্যকর অপচয়” বলে মন্তব্য করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রকাশিত নথি অনুসারে, ইউএসএইড ইসরায়েলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সমাধানের জন্য ৫ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাত্র ১০ দিন আগে দেওয়া হয়। সেই হামলায় অন্তত ১,২০০ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ইউএসএইড ইকোহেলথ অ্যালায়েন্স নামক এনজিওকে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা উহান ল্যাবে বাদুড়ের ভাইরাস গবেষণার জন্য অর্থায়ন করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ইউএসএইড’র তহবিলের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলারের খাবার আল কায়েদা-সংযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া, সংস্থাটি বিভিন্ন দেশে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডের জন্য লক্ষাধিক ডলার বরাদ্দ করেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসন বাতিল করতে চায়।

ইউএসএইড’র বিতর্কিত তহবিলের মধ্যে আরও রয়েছে শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকদের “বাইনারি-লিঙ্গগত ভাষা” এড়াতে শেখানোর জন্য ৭.৯ মিলিয়ন ডলার, গুয়াতেমালায় লিঙ্গ পরিবর্তন ও এলজিবিটি সক্রিয়তার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার। আর্মেনিয়ার একটি এলজিবিটি গোষ্ঠীকে ১.১ মিলিয়ন ডলার। জ্যামাইকায় এলজিবিটি অ্যাডভোকেসি প্রচারের জন্য ১.৫ মিলিয়ন ডলার।ল্যাটিন আমেরিকায় এলজিবিটি সমতা প্রচারের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার। পশ্চিম বলকানে এলজিবিটি কারণগুলোর জন্য ৩.৯ মিলিয়ন ডলার। উগান্ডায় এলজিবিটি সক্রিয়তার জন্য ৫.৫ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকায় সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য ৬.৩ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়া, জর্জিয়ায় “সবুজ পরিবহন” প্রচারের জন্য ডেলয়েটকে ২৫ মিলিয়ন ডলার এবং নারীবাদী গণতান্ত্রিক নীতির প্রচারের জন্য ডিজিটাল স্থান রূপান্তরের লক্ষ্যে ৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, কয়েক দশক ধরে ইউএসএইড’র আমলারা বিশ্বাস করতেন যে তারা কারও কাছে জবাবদিহি করবেন না। কিন্তু সেই যুগ শেষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অপচয়, জালিয়াতি ও অপব্যবহার বন্ধ করছেন।

এই নথিপত্র ফাঁস হওয়ার পর প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এটি জনগণের করের অর্থের হাস্যকর অপচয়। ইউএসএইড হল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বৃহত্তম মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা, যার বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০,০০০ কর্মী রয়েছে এবং বার্ষিক বাজেট কোটি কোটি ডলার। সংস্থাটি মানবিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদিত তহবিল ব্যবহার করে। সূত্র : চ্যানেল আই