নিউইয়র্ক ১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না কলোরাডো : যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

বিদ্রোহ দমনের সাংবিধানিক ধারার উল্লেখ করে একক কোনো রাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এমন আদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত এই রায় কলোরাডো রাজ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের জন্য যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল সেগুলো বাতিল হয়ে গেল।

কলোরাডো ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের প্রাইমারিতে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল যে তিনি ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন। আদালত তার রায়ে বলেছে যে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা শুধু কংগ্রেসের রয়েছে, কোনো রাজ্যের নয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কলোরাডোর প্রাইমারিতে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়ে গেল। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সাথে বেশ ভালো টক্কর দেবেন তিনি।

সোমবার এই রুল জারির পর সাবেক প্রেসিডেন্ট তার ট্রুথ নামে সামাজিক মাধ্যমে বিজয় ঘোষণা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি ‘আমেরিকার জন্য বড় জয়।’ এই বার্তার পর পরই নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল সংগ্রহের জন্য তার সমর্থকদের কাছে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। এরপর তিনি ফ্লোরিডায় তার বাসভবন মার-এ-লাগোতে এক বক্তৃতায় বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘খুবই সুচিন্তিত’ এবং ‘দেশকে একত্রিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে যা এই মুহূর্তে দরকার।’

ট্রাম্প বলেন, ‘তোমার বিরোধীরা চায় বলেই তুমি কাউকে কোনো প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দিতে পারো না।’ কলোরাডোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিনা গ্রিসওয়াল্ড বলেন, এই রুল জারির কারণে তিনি হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ ভঙ্গ করে বিদ্রোহে উসকানি দেয়াটাকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার ক্ষমতা কলোরাডোর থাকা উচিত।’

একইসাথে ওয়াচডগ সংস্থা সিটিজেন ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড ইথিকস ইন ওয়াশিংটন-সিআরইডাব্লিউ যারা বিষয়টি কলোরাডোতে উত্থাপিত করেছে তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, আদালত ‘সময়ের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলেও’ এটা ‘এখনো গণতন্ত্রের জন্য একটি বিজয়। কারণ ট্রাম্প ইতিহাসে বিদ্রোহীবাদী হিসেবেই উল্লেখ থাকবেন।’

মেইনি এবং ইলিনয়ও কলোরাডোর মতো ট্রাম্পকে একই অভিযোগে নির্বাচন থেকে বাতিল ঘোষণা করেছে। তবে কলোরাডোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার কারণে ওই দুই রাজ্যের সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত রয়েছে। আদালত রায়ে বলেছে, ‘আমরা সম্মত হয়েছি যে রাজ্যগুলো হয়তো কোনো ব্যক্তিকে রাজ্য সরকারে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকারে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদ কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা রাজ্যগুলোর নেই।’

নয়জন বিচারকের সবাই রুল জারি করে বলেন, শুধু কংগ্রেসই ফেডারেল কর্মকর্তা এবং প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ধারা জারি করতে পারবে।

গৃহযুদ্ধকালীন সংশোধনীর মাধ্যমে আনা সেকশন থ্রি অনুযায়ী, ফেডারেল, রাজ্য এবং সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে অংশগ্রহণের’ কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে সে আবার কোনো দফতরে পুনর্বহাল হতে পারবেন না। ফ্রি স্পিচ ফর পিপল এর মতো গোষ্ঠীগুলো বলছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সংবিধানে উল্লেখিত বিদ্রোহের সংজ্ঞার সাথে মিলে যায়।

আদালতের একজন বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেট আলাদাভাবে লিখেছেন, নয়জন বিচারপতি মামলার বিষয়ে যে রায় দিয়েছেন, সেই বার্তাটিই ‘আমেরিকানদের গ্রহণ করা উচিত।’ বিচারপতি ব্যারেট লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই অস্থিতিশীল সময়ে আদালত রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত একটি ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালতের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় উদ্বেগ না বেড়ে কমা উচিত।’

তবে আদালতের তিনজন লিবারেল বিচারক বলেছেন, এই আদেশের মাধ্যমে ‘আদালত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সাংবিধানিক প্রশ্নে ভবিষ্যতে যাতে বিতর্ক তৈরি না হয়’ সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কারণেই ঘোষণা করা হয়েছে যে ‘বিদ্রোহজনিত কারণে কেউ নির্বাচন করার অযোগ্য হতে পারে শুধুমাত্র যদি কংগ্রেস কখনো এ ধরনের আইন তৈরি করে।’

তারা আরো বলেছেন, ‘এটি করার কারণে সম্ভাব্য অন্য ক্ষেত্রগুলো যেখানে এই নীতি প্রয়োগ করা যেতো তার দ্বার বন্ধ হয়ে গেল।’ওহাইয়োর কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক আতিবা এলিস বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন থেকে ট্রাম্পকে বাতিল করে দেয়ার বিষয়ে আদালতের উদ্বেগ ‘সঠিক’, কিন্তু এই রুলের ‘সুদূরপ্রসারী প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এলিস বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক বিষয়গুলোর ব্যাখ্যার দ্বার উন্মোচন করেছে যা এই মামলার অংশই ছিল না। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে কংগ্রেসে পাঠিয়েছে, যখন পক্ষপাতমূলক অচলাবস্থার কারণে তেমন কোনো পদক্ষেপ আসবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা নিশ্চিত হলো যে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ৩ অনুচ্ছেদের অধীনে সাংবিধানিক সক্ষমতার বিষয়টি ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আর সমাধান হবে না।’

আরেকজন আইন বিশেষজ্ঞ আলবেনি ল স্কুলের রে ব্রেসিয়া বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত এমন একটা পরিস্থিতিকে রোধ করেছে যেখানে ‘রাজ্যগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জোড়াতালি ব্যবস্থা তৈরি করত।’

কলোরাডো ছাড়াও আরো ১৪টি রাজ্যের রিপাবলিকান ভোটাররা মঙ্গলবার প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। ম্যারাথন এ প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ‘সুপার টুয়েসডে’। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসঙ্ঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে পরাজিত করবেন। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না কলোরাডো : যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

বিদ্রোহ দমনের সাংবিধানিক ধারার উল্লেখ করে একক কোনো রাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এমন আদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত এই রায় কলোরাডো রাজ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের জন্য যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল সেগুলো বাতিল হয়ে গেল।

কলোরাডো ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের প্রাইমারিতে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল যে তিনি ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন। আদালত তার রায়ে বলেছে যে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা শুধু কংগ্রেসের রয়েছে, কোনো রাজ্যের নয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কলোরাডোর প্রাইমারিতে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়ে গেল। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সাথে বেশ ভালো টক্কর দেবেন তিনি।

সোমবার এই রুল জারির পর সাবেক প্রেসিডেন্ট তার ট্রুথ নামে সামাজিক মাধ্যমে বিজয় ঘোষণা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি ‘আমেরিকার জন্য বড় জয়।’ এই বার্তার পর পরই নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল সংগ্রহের জন্য তার সমর্থকদের কাছে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। এরপর তিনি ফ্লোরিডায় তার বাসভবন মার-এ-লাগোতে এক বক্তৃতায় বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘খুবই সুচিন্তিত’ এবং ‘দেশকে একত্রিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে যা এই মুহূর্তে দরকার।’

ট্রাম্প বলেন, ‘তোমার বিরোধীরা চায় বলেই তুমি কাউকে কোনো প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দিতে পারো না।’ কলোরাডোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিনা গ্রিসওয়াল্ড বলেন, এই রুল জারির কারণে তিনি হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ ভঙ্গ করে বিদ্রোহে উসকানি দেয়াটাকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার ক্ষমতা কলোরাডোর থাকা উচিত।’

একইসাথে ওয়াচডগ সংস্থা সিটিজেন ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড ইথিকস ইন ওয়াশিংটন-সিআরইডাব্লিউ যারা বিষয়টি কলোরাডোতে উত্থাপিত করেছে তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, আদালত ‘সময়ের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলেও’ এটা ‘এখনো গণতন্ত্রের জন্য একটি বিজয়। কারণ ট্রাম্প ইতিহাসে বিদ্রোহীবাদী হিসেবেই উল্লেখ থাকবেন।’

মেইনি এবং ইলিনয়ও কলোরাডোর মতো ট্রাম্পকে একই অভিযোগে নির্বাচন থেকে বাতিল ঘোষণা করেছে। তবে কলোরাডোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার কারণে ওই দুই রাজ্যের সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত রয়েছে। আদালত রায়ে বলেছে, ‘আমরা সম্মত হয়েছি যে রাজ্যগুলো হয়তো কোনো ব্যক্তিকে রাজ্য সরকারে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকারে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদ কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা রাজ্যগুলোর নেই।’

নয়জন বিচারকের সবাই রুল জারি করে বলেন, শুধু কংগ্রেসই ফেডারেল কর্মকর্তা এবং প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ধারা জারি করতে পারবে।

গৃহযুদ্ধকালীন সংশোধনীর মাধ্যমে আনা সেকশন থ্রি অনুযায়ী, ফেডারেল, রাজ্য এবং সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে অংশগ্রহণের’ কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে সে আবার কোনো দফতরে পুনর্বহাল হতে পারবেন না। ফ্রি স্পিচ ফর পিপল এর মতো গোষ্ঠীগুলো বলছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সংবিধানে উল্লেখিত বিদ্রোহের সংজ্ঞার সাথে মিলে যায়।

আদালতের একজন বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেট আলাদাভাবে লিখেছেন, নয়জন বিচারপতি মামলার বিষয়ে যে রায় দিয়েছেন, সেই বার্তাটিই ‘আমেরিকানদের গ্রহণ করা উচিত।’ বিচারপতি ব্যারেট লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই অস্থিতিশীল সময়ে আদালত রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত একটি ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালতের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় উদ্বেগ না বেড়ে কমা উচিত।’

তবে আদালতের তিনজন লিবারেল বিচারক বলেছেন, এই আদেশের মাধ্যমে ‘আদালত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সাংবিধানিক প্রশ্নে ভবিষ্যতে যাতে বিতর্ক তৈরি না হয়’ সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কারণেই ঘোষণা করা হয়েছে যে ‘বিদ্রোহজনিত কারণে কেউ নির্বাচন করার অযোগ্য হতে পারে শুধুমাত্র যদি কংগ্রেস কখনো এ ধরনের আইন তৈরি করে।’

তারা আরো বলেছেন, ‘এটি করার কারণে সম্ভাব্য অন্য ক্ষেত্রগুলো যেখানে এই নীতি প্রয়োগ করা যেতো তার দ্বার বন্ধ হয়ে গেল।’ওহাইয়োর কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক আতিবা এলিস বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন থেকে ট্রাম্পকে বাতিল করে দেয়ার বিষয়ে আদালতের উদ্বেগ ‘সঠিক’, কিন্তু এই রুলের ‘সুদূরপ্রসারী প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এলিস বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক বিষয়গুলোর ব্যাখ্যার দ্বার উন্মোচন করেছে যা এই মামলার অংশই ছিল না। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে কংগ্রেসে পাঠিয়েছে, যখন পক্ষপাতমূলক অচলাবস্থার কারণে তেমন কোনো পদক্ষেপ আসবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা নিশ্চিত হলো যে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ৩ অনুচ্ছেদের অধীনে সাংবিধানিক সক্ষমতার বিষয়টি ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আর সমাধান হবে না।’

আরেকজন আইন বিশেষজ্ঞ আলবেনি ল স্কুলের রে ব্রেসিয়া বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত এমন একটা পরিস্থিতিকে রোধ করেছে যেখানে ‘রাজ্যগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জোড়াতালি ব্যবস্থা তৈরি করত।’

কলোরাডো ছাড়াও আরো ১৪টি রাজ্যের রিপাবলিকান ভোটাররা মঙ্গলবার প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। ম্যারাথন এ প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ‘সুপার টুয়েসডে’। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসঙ্ঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে পরাজিত করবেন। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন