নিউইয়র্ক ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত, পাল্টা শুল্ক কার্যকর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৫ বার পঠিত

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সোমবার থেকে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রধান পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর করেছে। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় চীনও একইভাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

চীনের নতুন শুল্কের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক। এর আগে রবিবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সমস্ত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য দেশগুলোর ওপরও পাল্টা শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, যদিও তিনি নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

এদিকে, চীন কেবল শুল্ক আরোপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শুরু করেছে এবং ক্যালভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিগারের মালিকানাধীন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি পিভিএইচ-কে “অবিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি, চীন ২৫টি মূল্যবান ধাতুর ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং সামরিক যন্ত্রাংশ তৈরির প্রধান উপাদান।

চীনের পাল্টা শুল্ক কার্যকরের পর দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) অভিযোগ দায়ের করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক এবং রক্ষণশীল নীতির প্রতিফলন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, WTO-এর নিষ্পত্তি প্যানেল বর্তমানে অকার্যকর থাকায় চীনের পক্ষে রায় আসার সম্ভাবনা কম। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর এ বাণিজ্যযুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা ছিল, তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, তিনি আলোচনায় তাড়াহুড়ো করতে চান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের তুলনায় চীন এখন বাণিজ্য নিয়ে আরও প্রস্তুত এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সূত্র : বিবিসি

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত, পাল্টা শুল্ক কার্যকর

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সোমবার থেকে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রধান পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর করেছে। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় চীনও একইভাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

চীনের নতুন শুল্কের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক। এর আগে রবিবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সমস্ত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য দেশগুলোর ওপরও পাল্টা শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, যদিও তিনি নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

এদিকে, চীন কেবল শুল্ক আরোপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শুরু করেছে এবং ক্যালভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিগারের মালিকানাধীন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি পিভিএইচ-কে “অবিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি, চীন ২৫টি মূল্যবান ধাতুর ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং সামরিক যন্ত্রাংশ তৈরির প্রধান উপাদান।

চীনের পাল্টা শুল্ক কার্যকরের পর দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) অভিযোগ দায়ের করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক এবং রক্ষণশীল নীতির প্রতিফলন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, WTO-এর নিষ্পত্তি প্যানেল বর্তমানে অকার্যকর থাকায় চীনের পক্ষে রায় আসার সম্ভাবনা কম। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর এ বাণিজ্যযুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা ছিল, তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, তিনি আলোচনায় তাড়াহুড়ো করতে চান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের তুলনায় চীন এখন বাণিজ্য নিয়ে আরও প্রস্তুত এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সূত্র : বিবিসি