নিউইয়র্ক ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিল চীন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৫১ বার পঠিত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ফাইল ছবি

দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিপাইনে চীনা দূতাবাস সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ বা দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে মঙ্গলবার দেশটির সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এরপরই এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দাবি নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইন ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যে ফিলিপাইন সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধি। ওই বিবৃতিতে ফিলিপাইনে চীনের দূতাবাস বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা কার্যকলাপ ‘বৈধ এবং আইনসম্মত’। বিবৃতিটিতে বলা হয়, এই সত্য উপেক্ষা করে চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগ এনেছেন ব্লিংকেন।

বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, ব্লিংকেন আবারও ‘তথাকথিত যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন যৌথ সামরিক চুক্তির বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে চীনকে হুমকি দিয়েছেন।’ চীন দৃঢ়ভাবে এই চুক্তির বিরোধিতা করে।

১৯৫১ সালের একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হয় ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষের যে কোনো দেশের ওপর হামলা হলে তাদের একে অপরকে সমর্থন করতে হবে। গত বছর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রকে সেই নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির পরিসর স্পষ্ট করতে চাপ দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব এনরিক মানালোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং দৃঢ় প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। চুক্তিটি ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি জাহাজ ও বিমান এবং দেশটির উপকূলরক্ষীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে।

ব্লিংকেনের এমন ঘোষণাকে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে চীন। দেশটি বলেছে, এ অঞ্চলের ইস্যুতে মাথা ঘামানো যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয় এবং ফিলিপাইন ও চীনের সামুদ্রিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই তাদের। খবর রয়টার্সের।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিল চীন

প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিপাইনে চীনা দূতাবাস সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ বা দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে মঙ্গলবার দেশটির সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এরপরই এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দাবি নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইন ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যে ফিলিপাইন সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধি। ওই বিবৃতিতে ফিলিপাইনে চীনের দূতাবাস বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা কার্যকলাপ ‘বৈধ এবং আইনসম্মত’। বিবৃতিটিতে বলা হয়, এই সত্য উপেক্ষা করে চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগ এনেছেন ব্লিংকেন।

বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, ব্লিংকেন আবারও ‘তথাকথিত যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন যৌথ সামরিক চুক্তির বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে চীনকে হুমকি দিয়েছেন।’ চীন দৃঢ়ভাবে এই চুক্তির বিরোধিতা করে।

১৯৫১ সালের একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হয় ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষের যে কোনো দেশের ওপর হামলা হলে তাদের একে অপরকে সমর্থন করতে হবে। গত বছর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রকে সেই নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির পরিসর স্পষ্ট করতে চাপ দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব এনরিক মানালোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং দৃঢ় প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। চুক্তিটি ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি জাহাজ ও বিমান এবং দেশটির উপকূলরক্ষীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে।

ব্লিংকেনের এমন ঘোষণাকে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে চীন। দেশটি বলেছে, এ অঞ্চলের ইস্যুতে মাথা ঘামানো যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয় এবং ফিলিপাইন ও চীনের সামুদ্রিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই তাদের। খবর রয়টার্সের।

হককথা/নাছরিন