নিউইয়র্ক ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধ

কামালা হ্যারিস জিততে পারবেন?

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮ বার পঠিত

আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বাগাড়ম্বপূর্ণ প্রচারাভিযান চলছিল তা একপ্রকার শেষ হয়েছে। ঘটনাক্রমে হোয়াইট হাউস দখলের আসল লড়াই হবে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিসের মধ্যে, যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টিভি বিতর্কে শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাইডেনের ওপর নিজ দলের ভেতর থেকেই চাপ বাড়ছিল। শুরুর দিকে তা প্রত্যাখ্যান করলেও শেষ পর্যন্ত সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করতেই হলো তাকে।

এরপর গত সপ্তাহে (২১ জুলাই) অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। যা তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার একটা বড় সুযোগ তৈরি করেছে।

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শুরু থেকেই বাইডেনের চেয়ে বেশ এগিয়েই ছিলেন ট্রাম্প। তবে প্রধান প্রতিপক্ষের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর তিনি কার্যত ‘কমান্ডিং পজিশনে’ চলে আসেন। অন্যদিকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিস।

নির্বাচন হতে এখনও ১০০ দিনেরও বেশি সময় রয়েছে। জনমত ঘুরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এটা তার জন্য যথেষ্ট। তবে সে সামর্থ্য তার আছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

আগের বারের মতো এবারও ট্রাম্পের প্রধান স্লোগান, ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’। সংক্ষেপে ‘মাগা’। এই স্লোগানের কারণে ট্রাম্পের একটা বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। তবে এই গোষ্ঠীর বাইরে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কম। কামালা হ্যারিসকে জিততে হলে তার প্রধান কাজ হলো এই নির্বাচনকে গণভোট করে তোলা।

যদি বিপরীতটা ঘটে অর্থাৎ নির্বাচনে যদি বাইডেন প্রশাসনের গত চার বছরের কাজের রেকর্ড এবং এতে কামালার ভূমিকা বিবেচনা হয়, তাহলে তার পরাজয়ের শঙ্কা রয়েছে। তাকে যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয় পেতে হয়, তাহলে অবশ্যই ভোটারদের বোঝাতে হবে যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সমান যোগ্য।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেন যে প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন, তার সব কার্যত বেকার হয়ে গেছে। কারণ তার দুর্বলতা ও অযোগ্যতা সবার সামনে প্রকাশ পেয়েছে। এজন্য বারবার জনগণের সামনে উপস্থিত হওয়ার পরও একজন বিভ্রান্ত বৃদ্ধ ব্যক্তির যে ইমেজ গড়ে উঠেছিল তা তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হিসেবেই হাজির হন।

বিকল্প প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের যে কয়দিন আছে কামালাকে নিজেকে নতুন করে পরিচিত তুলে ধরতে হবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক খবর যে, ট্রাম্পের কাছে এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে যা কামালার ইমেজ ধ্বংস করে দিতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি-জেনারেল হিসেবে সান ফ্রান্সিসকোর মতো বহু শহরের গৃহহীনতা, মাদক ও অপরাধের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে আছে।

এছাড়া গতবার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে বিপর্যয়কর রেকর্ড করার দৃষ্টান্ত রয়েছে তার। মনোনয়ন দৌড়ে শুরুতে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া ভাড়ায় ভর্তুকির মতো গণসম্পৃক্ততা ইস্যুতে বামপন্থি অবস্থান নিয়েছিলেন। বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন ও (রিপাবলিকান দৃষ্টিতে) অপরাধের বিষয়ে তার রেকর্ড ভালো নয়।

কামালার আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। বরাবরই বক্তৃতা ও সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় তাকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। তাহলে কামালা কি করতে পারেন? তার সাফল্যের সম্ভাবনা এখন অনেকটা ভাগ্য এবং তার রাজনৈতিক প্রবৃত্তির তিনটি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে।

ভাগ্য ভালো যে বাইডেন অনেক দেরিতে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যদি আরও আগে চলে যেতেন, তাহলে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে একটি উন্মুক্ত প্রাইমারির আয়োজন করতে হতো। সেক্ষেত্রে হেরেও যেতে পারতেন কামালা।

কিন্তু নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন বাইডেন সরে যাওয়ায় তাকে সেই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি। বরং উত্তরাধিকারসূত্রে সবকিছু একটা ‘রেডিমেড’ অবস্থায় পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থী নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদেরও স্বস্তি দিয়েছে।

মাত্র ৫৯ বছর বয়সি কামালা বয়সের বিষয়টিকে এখন তার প্রতিপক্ষ ৭৮ বছরের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করেছেন। যে বিষয়টি তার পূর্বসূরী বাইডেনকে বিপর্যস্ত করেছিল। ট্রাম্পই এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক মনোনীত প্রার্থী। কিন্তু ভাগ্যই যথেষ্ট হবে না। জিততে হলে কামালা হ্যারিসকেও রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রথম পরীক্ষাটি হলো জনহিতকর প্রকল্পগুলোর প্রতিশ্রুতিতে ফাঁকি না দিয়ে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা যা হবে তার ক্ষমতার ভিত্তি। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার যে পরিচয়, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ‘আমেরিকান ড্রিম’ বলে যে ব্যাপার রয়েছে তাকে তার প্রতীক করে তুলতে পারে। প্রগতিশীলদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার পরিবর্তে তার উচিত হবে বাস্তববাদী নীতিগুলিকে সমর্থন করা যা দেশের সাধারণ জনগণের কাজে লাগে।

দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধ থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধ

কামালা হ্যারিস জিততে পারবেন?

প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বাগাড়ম্বপূর্ণ প্রচারাভিযান চলছিল তা একপ্রকার শেষ হয়েছে। ঘটনাক্রমে হোয়াইট হাউস দখলের আসল লড়াই হবে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিসের মধ্যে, যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টিভি বিতর্কে শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাইডেনের ওপর নিজ দলের ভেতর থেকেই চাপ বাড়ছিল। শুরুর দিকে তা প্রত্যাখ্যান করলেও শেষ পর্যন্ত সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করতেই হলো তাকে।

এরপর গত সপ্তাহে (২১ জুলাই) অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। যা তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার একটা বড় সুযোগ তৈরি করেছে।

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শুরু থেকেই বাইডেনের চেয়ে বেশ এগিয়েই ছিলেন ট্রাম্প। তবে প্রধান প্রতিপক্ষের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর তিনি কার্যত ‘কমান্ডিং পজিশনে’ চলে আসেন। অন্যদিকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিস।

নির্বাচন হতে এখনও ১০০ দিনেরও বেশি সময় রয়েছে। জনমত ঘুরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এটা তার জন্য যথেষ্ট। তবে সে সামর্থ্য তার আছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

আগের বারের মতো এবারও ট্রাম্পের প্রধান স্লোগান, ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’। সংক্ষেপে ‘মাগা’। এই স্লোগানের কারণে ট্রাম্পের একটা বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। তবে এই গোষ্ঠীর বাইরে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কম। কামালা হ্যারিসকে জিততে হলে তার প্রধান কাজ হলো এই নির্বাচনকে গণভোট করে তোলা।

যদি বিপরীতটা ঘটে অর্থাৎ নির্বাচনে যদি বাইডেন প্রশাসনের গত চার বছরের কাজের রেকর্ড এবং এতে কামালার ভূমিকা বিবেচনা হয়, তাহলে তার পরাজয়ের শঙ্কা রয়েছে। তাকে যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয় পেতে হয়, তাহলে অবশ্যই ভোটারদের বোঝাতে হবে যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সমান যোগ্য।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেন যে প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন, তার সব কার্যত বেকার হয়ে গেছে। কারণ তার দুর্বলতা ও অযোগ্যতা সবার সামনে প্রকাশ পেয়েছে। এজন্য বারবার জনগণের সামনে উপস্থিত হওয়ার পরও একজন বিভ্রান্ত বৃদ্ধ ব্যক্তির যে ইমেজ গড়ে উঠেছিল তা তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হিসেবেই হাজির হন।

বিকল্প প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের যে কয়দিন আছে কামালাকে নিজেকে নতুন করে পরিচিত তুলে ধরতে হবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক খবর যে, ট্রাম্পের কাছে এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে যা কামালার ইমেজ ধ্বংস করে দিতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি-জেনারেল হিসেবে সান ফ্রান্সিসকোর মতো বহু শহরের গৃহহীনতা, মাদক ও অপরাধের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে আছে।

এছাড়া গতবার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে বিপর্যয়কর রেকর্ড করার দৃষ্টান্ত রয়েছে তার। মনোনয়ন দৌড়ে শুরুতে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া ভাড়ায় ভর্তুকির মতো গণসম্পৃক্ততা ইস্যুতে বামপন্থি অবস্থান নিয়েছিলেন। বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন ও (রিপাবলিকান দৃষ্টিতে) অপরাধের বিষয়ে তার রেকর্ড ভালো নয়।

কামালার আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। বরাবরই বক্তৃতা ও সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় তাকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। তাহলে কামালা কি করতে পারেন? তার সাফল্যের সম্ভাবনা এখন অনেকটা ভাগ্য এবং তার রাজনৈতিক প্রবৃত্তির তিনটি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে।

ভাগ্য ভালো যে বাইডেন অনেক দেরিতে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যদি আরও আগে চলে যেতেন, তাহলে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে একটি উন্মুক্ত প্রাইমারির আয়োজন করতে হতো। সেক্ষেত্রে হেরেও যেতে পারতেন কামালা।

কিন্তু নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন বাইডেন সরে যাওয়ায় তাকে সেই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি। বরং উত্তরাধিকারসূত্রে সবকিছু একটা ‘রেডিমেড’ অবস্থায় পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থী নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদেরও স্বস্তি দিয়েছে।

মাত্র ৫৯ বছর বয়সি কামালা বয়সের বিষয়টিকে এখন তার প্রতিপক্ষ ৭৮ বছরের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করেছেন। যে বিষয়টি তার পূর্বসূরী বাইডেনকে বিপর্যস্ত করেছিল। ট্রাম্পই এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক মনোনীত প্রার্থী। কিন্তু ভাগ্যই যথেষ্ট হবে না। জিততে হলে কামালা হ্যারিসকেও রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রথম পরীক্ষাটি হলো জনহিতকর প্রকল্পগুলোর প্রতিশ্রুতিতে ফাঁকি না দিয়ে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা যা হবে তার ক্ষমতার ভিত্তি। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার যে পরিচয়, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ‘আমেরিকান ড্রিম’ বলে যে ব্যাপার রয়েছে তাকে তার প্রতীক করে তুলতে পারে। প্রগতিশীলদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার পরিবর্তে তার উচিত হবে বাস্তববাদী নীতিগুলিকে সমর্থন করা যা দেশের সাধারণ জনগণের কাজে লাগে।

দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধ থেকে সংক্ষেপে অনূদিত