বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া আর অপরাধ নয় আমেরিকায়!
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩৩ বার পঠিত
ঘুষবিরোধী আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে বিদেশি কর্মকর্তাদের ব্যবসার প্রয়োজনে ঘুষ দেওয়া আর অপরাধ বলে গণ্য হবে না আমেরিকায়। মঙ্গলবার তিনি এ আদেশে স্বাক্ষর করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশীয় কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঘুষের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। মূলত অন্যদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুবিধার্থে সেখানকার সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের কারণে দায়েরকৃত মামলা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে তিনি এ আদেশ দেন। নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন থেকে আমেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পাবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রায় অর্ধ শতাব্দী পুরনো বৈদেশিক দুর্নীতি অনুশীলন আইন (ফরেন করাপ্ট প্র্যাক্টিসেস অ্যাক্ট বা এফসিপিএ) স্থগিত করলেন ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে এফসিপিএ-এর অধীনে থাকা মামলাগুলো পর্যালোচনা করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এখনই এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এ সংক্রান্ত বর্তমান ও পুরোনো পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে আইন প্রয়োগের নতুন নির্দেশিকা প্রস্তুতির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বনডিকে আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
১৯৭৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর রয়েছে এফসিপিএ আইন। এই আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে নথিভুক্ত কোনো সংস্থা ব্যবসা বা অন্য কোনো উদ্দেশে বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে পারবেন না। যদি কেউ নিয়ম ভেঙে সেই অপরাধ করেন এবং তা প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে বিপুল টাকা জরিমানা তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রে তার বিচার হবে এবং কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেই এই আইন বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন সফল না হলেও এবার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আইনটির ওপর স্থগিতাদেশ দিতে সক্ষম হলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এই আইনের আওতায় বিচারকাজ চলছে ভারতের বিশিষ্ট ধনকুবের গৌতম আদানির। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ঘুষ সংক্রান্ত তিনটি মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির কাজ পেতে অন্ধ্রপ্রদেশসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের (যার মধ্যে মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন) ঘুষ দিয়েছিল আদানির মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’ (এজিএল)। ঘুষের পরিমাণ সাড়ে ২৬ কোটি ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, এফসিপিএ আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সুবিধা পাবেন গৌতম আদানি। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট