নিউইয়র্ক ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পকে সরানোর ক্ষমতা নেই নির্বাচন বোর্ডের, থাকছেন ইলিনয়ের প্রাইমারিতে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৯ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি।

হককথা ডেস্ক : ইলিনয়ের প্রাইমারি নির্বাচনে ব্যালটে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের নির্বাচন বোর্ড। ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় চলা মামলার ব্যাপারে ট্রাম্পকে ভোট থেকে অপসারণের ক্ষমতা বোর্ডের নেই বলে জানায় তারা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় ট্রাম্প দায়ী কিনা—সে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের ওপরই ন্যস্ত করেছে নির্বাচন বোর্ড। বার্তা সংস্থা এপি একটি প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় ভূমিকা রাখায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন কিনা, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে সে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই এসেছে ইলিনয় নির্বাচন বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত।

বোর্ডের শুনানি কর্মকর্তার মতে, দাঙ্গায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার ব্যাপারে অনেক প্রমাণ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বিদ্রোহে জড়িয়ে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত থেকেই আসার ব্যাপারে সুপারিশ করেন তিনি। এরপরই ট্রাম্পকে ইলিনয়ের প্রাইমারিতে অংশ নিতে দেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মত রায় দেয় নির্বাচন বোর্ড।

চারজন ডেমোক্র্যাট এবং চারজন রিপাবলিকান নিয়ে গঠিত আট সদস্যের বোর্ড তার আইনজীবীর এই সুপারিশের সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা নির্ধারণের ক্ষমতা তাদের নেই বলে জানিয়েছে বোর্ড।

নির্বাচন বোর্ডের সদস্য ক্যাথরিন ম্যাকক্রোরি তার ভোটের আগে বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, ৬ জানুয়ারিতে বিদ্রোহ হয়েছিল বলে বিশ্বাস করে রিপাবলিকানরা। আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি (ট্রাম্প) বিদ্রোহটিতে প্ররোচনা এবং সহায়তা দিয়েছিলেন।’ কিন্তু ম্যাকক্রোরি সম্মত হয়েছেন যে, বোর্ডের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার এখতিয়ার নেই।

ট্রাম্পের অ্যাটর্নি অ্যাডাম মেরিল এই ইস্যুতে বোর্ডকে না জড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। দাঙ্গায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এমন কিছু তখন হয়নি যা বোর্ড নির্ধারণ করতে পারে। নির্বাচন বোর্ডের রায়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে উল্লাস প্রকাশ করে এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যালটে আপনার প্রিয় প্রেসিডেন্টকে (আমি!) রাখার পক্ষে রায় ছিল ৮-০।’

ইলিনয় প্রাইমারিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা ভোটারদের আইনজীবী ম্যাথিউ পিয়ার্স বলেছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে কুক কাউন্টি সার্কিট কোর্টে আপিল করবেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত একটি ইস্যুকে এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইস্যুটি তাই উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির দিকেই যাচ্ছে। কলোরাডো রাজ্যে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে ট্রাম্পকে অযোগ্য বলে রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আপিলের শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে সময় নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এর আগে কখনোই সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারার কোনো মামলার রায় দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের পর ১৮৬৮ সালে গৃহীত এই সংশোধনীর ব্যবহারও খুব কমই দেখা গেছে। পূর্বে শপথ নেওয়া (সিনেটর, প্রতিনিধি, এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা) কোনো ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত হন তবে তাকে সরকারি পদে অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছে এই ধারা। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পকে সরানোর ক্ষমতা নেই নির্বাচন বোর্ডের, থাকছেন ইলিনয়ের প্রাইমারিতে

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : ইলিনয়ের প্রাইমারি নির্বাচনে ব্যালটে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের নির্বাচন বোর্ড। ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় চলা মামলার ব্যাপারে ট্রাম্পকে ভোট থেকে অপসারণের ক্ষমতা বোর্ডের নেই বলে জানায় তারা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় ট্রাম্প দায়ী কিনা—সে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের ওপরই ন্যস্ত করেছে নির্বাচন বোর্ড। বার্তা সংস্থা এপি একটি প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় ভূমিকা রাখায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন কিনা, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে সে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই এসেছে ইলিনয় নির্বাচন বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত।

বোর্ডের শুনানি কর্মকর্তার মতে, দাঙ্গায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার ব্যাপারে অনেক প্রমাণ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বিদ্রোহে জড়িয়ে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত থেকেই আসার ব্যাপারে সুপারিশ করেন তিনি। এরপরই ট্রাম্পকে ইলিনয়ের প্রাইমারিতে অংশ নিতে দেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মত রায় দেয় নির্বাচন বোর্ড।

চারজন ডেমোক্র্যাট এবং চারজন রিপাবলিকান নিয়ে গঠিত আট সদস্যের বোর্ড তার আইনজীবীর এই সুপারিশের সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা নির্ধারণের ক্ষমতা তাদের নেই বলে জানিয়েছে বোর্ড।

নির্বাচন বোর্ডের সদস্য ক্যাথরিন ম্যাকক্রোরি তার ভোটের আগে বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, ৬ জানুয়ারিতে বিদ্রোহ হয়েছিল বলে বিশ্বাস করে রিপাবলিকানরা। আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি (ট্রাম্প) বিদ্রোহটিতে প্ররোচনা এবং সহায়তা দিয়েছিলেন।’ কিন্তু ম্যাকক্রোরি সম্মত হয়েছেন যে, বোর্ডের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার এখতিয়ার নেই।

ট্রাম্পের অ্যাটর্নি অ্যাডাম মেরিল এই ইস্যুতে বোর্ডকে না জড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। দাঙ্গায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এমন কিছু তখন হয়নি যা বোর্ড নির্ধারণ করতে পারে। নির্বাচন বোর্ডের রায়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে উল্লাস প্রকাশ করে এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যালটে আপনার প্রিয় প্রেসিডেন্টকে (আমি!) রাখার পক্ষে রায় ছিল ৮-০।’

ইলিনয় প্রাইমারিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা ভোটারদের আইনজীবী ম্যাথিউ পিয়ার্স বলেছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে কুক কাউন্টি সার্কিট কোর্টে আপিল করবেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত একটি ইস্যুকে এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইস্যুটি তাই উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির দিকেই যাচ্ছে। কলোরাডো রাজ্যে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে ট্রাম্পকে অযোগ্য বলে রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আপিলের শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে সময় নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এর আগে কখনোই সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারার কোনো মামলার রায় দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের পর ১৮৬৮ সালে গৃহীত এই সংশোধনীর ব্যবহারও খুব কমই দেখা গেছে। পূর্বে শপথ নেওয়া (সিনেটর, প্রতিনিধি, এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা) কোনো ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত হন তবে তাকে সরকারি পদে অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছে এই ধারা। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন