তীব্র সমালোচনার মুখে বাইডেনের দ্বিমুখী নীতি
- প্রকাশের সময় : ০১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
- / ৪৭ বার পঠিত
যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার সেই একই জাগায় চালানো হচ্ছে হামলা, মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। জো বাইডেনের এমন দ্বি-মুখী নীতিতে এখন সমালোচনা চলছে চারদিকে।
এমনটিই উঠে এসেছে যুক্তরাষ্টের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে। প্রতিবেদনে বলে হয়, গাজায় মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে উড়োজাহাজ থেকে বাইডেনের খাদ্য সহায়তা এবং সেই লক্ষ্যে একটি অস্থায়ী ভাসমান বন্দর নির্মাণ তার নীতির ভারসাম্যহীনতাকেই তুলে ধরেছে। কারণ ঠিক একই সময়ে তিনি গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন।
দুই দিকেই পা দিতে গিয়ে নিজেকেই গুলিয়ে ফেলেছে বাইডেন প্রসাশন। ইসরায়েলি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করা আবার সেই অস্ত্রের আঘাতে আহত ফিলিস্তিনিদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করে নিজের দ্বিচারিতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বোঝাপড়ার অমিলের কারণে বাইডেন ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত সপ্তাহে তার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণেও সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাইডেনের বক্তৃতার পর পরই এক সাক্ষাৎকারে তার দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রো খান্না। তিনি বলেন, গাজায় একই সময়ে খাদ্য এবং খাদ্য ট্রাকগুলোতে বোমা ফেলার জন্য ইসরায়েলকে সহায়তা এমন নীতি কার্যকরের কোনো মানে হয় না। এটি আসলে বাইডেনের দ্বি-মুখী নীতি।
ওয়াশিংটনের আরব সেন্টারের প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল প্রোগ্রামের প্রধান ইউসুফ মুনায়ার বলেছেন, এসবের কোনো মানে হয় না। এটি অনেকটা আগুন জ্বালানি দিয়ে অ্যালার্ম বাজানোর মতো। ভোটারদের ক্ষোভ প্রশমিত করার লক্ষ্যে এই কৃত্রিম ব্যবস্থার মাধ্যমে ভয়ংকর যুদ্ধকে সমর্থন করে যাচ্ছে বাইডেন।
গত মাসে গাজায় ত্রাণ নেয়ার সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গুলি চালালে ১১২ জন নিহত হন। এছাড়া ত্রাণের প্যাকেট পড়ে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সমালোচকরা বলেছেন, এ ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থা খুব সামান্যই উপকারে আসে। স্থলভাগে স্থিতিশীল বিতরণ ব্যবস্থা ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধের ব্যাপারে বাইডেনের নৈতিক দ্বন্দ্বকেই তুলে ধরছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজারের মত মানুষ। ইসরায়েলি তাণ্ডবের কারণে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহ করা না হলে প্রাণ হারাবে আরও বহু মানুষ।
হককথা/নাছরিন