আসন্ন বাজেটে ধনী ও করপোরেটদের কর বাড়াবেন বাইডেন
- প্রকাশের সময় : ০৬:১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ৬৮ বার পঠিত
ধনী এবং বড় কোম্পানির ওপর কর বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। বাইডেন ন্যূনতম করপোরেট ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং নির্বাহীদের বেতন ও করপোরেট জেটগুলোর জন্য কর ছাড়ের পরিমাণ হ্রাসের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
আগামী সপ্তাহেই ২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রকাশ করা হবে। বাইডেন এই ঘোষণা প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কেই ধারণা দিয়েছে। এবারের বাজেটের লক্ষ্য ১০ বছরে ফেডারেল বাজেট ঘাটতি ৩ ট্রিলিয়ন ডলার কমানো। এর মধ্যে থাকছে, নিম্ন–আয়ের আমেরিকানদের জন্য কর কমানো এবং বাড়ির মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের সহায়তা করা।
বাইডেন তাঁর ভাষণে একটি নতুন ট্যাক্স ক্রেডিট প্রস্তাব করেছেন। এর মাধ্যমে আমেরিকানদের প্রথম বাড়ি কিনতে বা আরও বড় বাড়ি কেনায় বিনিয়োগে সহায়তা করবে। মর্টগেজে উচ্চ সুদের হার মোকাবিলায় পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রতি মাসে ৪০০ ডলারের সমতুল্য ট্যাক্স ক্রেডিট দেওয়া হবে।
বাইডেন ফেডারেল সরকার সমর্থিত মর্টগেজগুলোর পুনঃঅর্থায়নের ওপর নিরাপত্তা বিমা বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপ বাড়ির মালিকদের ১ হাজার ডলার বা তার বেশি অর্থ বাঁচিয়ে দিতে পারে।
রাজনীতি পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ট্যাক্স পরিকল্পনাগুলো ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পুনর্নির্বাচনী প্রচারের মূল অংশ হতে পারে। যেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালের এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন যেখানে, কোম্পানি, ধনী এবং অনেক মধ্যবিত্ত আমেরিকানের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বাইডেন বলেন, ‘আমি একজন পুঁজিবাদী। আপনি লাখ লাখ বা কোটি কোটি টাকা কামাতে চান? এটা দুর্দান্ত ব্যাপার। শুধু করের ক্ষেত্রে আপনার ন্যায্য অংশটি দিন।’ ট্রাম্প যুগের ট্যাক্স কমানোর নীতি ফেডারেল বাজেট ঘাটতি অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে আগামী নভেম্বরে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বাইডেনের বেশির ভাগ কর প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। সাম্প্রতিক জরিপগুলো ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যাচ্ছে না।
এদিকে বাইডেনের প্রস্তাবগুলোর তীব্র বিরোধিতা করেছে ইউএস চেম্বার অব কমার্স। তারা ২০১৭ সালের রিপাবলিকান কর নীতিকেই শীর্ষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
চেম্বারের চিফ পলিসি অফিসার নিল ব্র্যাডলি বলেছেন, বাইডেনের নীতিগুলো আসলে কম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কম নতুন উদ্যোগ, কম কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমেরিকান পরিবারের জন্য কম পছন্দের কারণ হবে।
হককথা/নাছরিন