নিউইয়র্ক ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার গোপন তথ্য জানালেন বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬১ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন। স্ত্রী জিলের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৪৭ বছরের সংসার। কীভাবে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, সে বিষয়ে বেশ পটু সবচেয়ে বয়স্ক এই প্রেসিডেন্ট।এবার বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করার গোপন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। বাইডেনের মতে, বিবাহিত জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্য প্রয়োজন ‘গুড সেক্সের’। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ব্রিটিশ এই গণমাধ্যমটি সোমবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের নিয়ে একটি বাই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা কেইটি রজার্স। চলতি সপ্তাহেই ‘আমেরিকান ওম্যান- দ্য ট্রান্সফরম্যাশন অব দ্য মডার্ন ফার্স্ট লেডি, ফরম হিলারি ক্লিনটন টু জিল বাইডেন’ নামের বইটি মুক্তি পাবে। ২৭৬ পৃষ্ঠার বাইটিতে সেক্স নিয়ে অল্প কিছুই লেখা হয়েছে। তবে, সেটিই এখন হেডলাইন হয়ে উঠছে।

সেখানে মজার ছলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার এক সহায়তাকারী বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনের মূল চাবিকাঠি হল, ‘গুড সেক্স’।

গণমাধ্যমকর্মী রজার্স তার বইয়ে লেখেছেন, ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের বিরোধী ছিলেন। বিষয়টি যখন এক সহায়তাকারীকে জানাচ্ছিলেন ঠিক তখনই হল্টার টপ পরিধান করে সেখানে আসেন জিল বাইডেন। পেটে হাত রেখে বেখেয়ালিভাবে তিনি বলেন, ‘নো’।

ঐ সময় সমর্থকরা বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার বাছাইয়ে লড়তে আহ্বান করলেও তিনি এতে সাড়া দেননি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাড়িতে থাকা শ্রেয়। সন্তানদের ঘুমানোর পরে আমি স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে চাই।’ বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিতে এক মুখপাত্রের ওপর দায়িত্ব দেন বাইডেন। ঐ সময় সেই মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘সিনেটর বাইডেন তার স্ত্রীর প্রেমে মজেছেন।’

বইটি রজার্স বলেন, ১৯৭২ সালে স্ত্রী নিলিয়া ও মেয়ে নাওমিকে হারিয়ে বিরাট যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেন। ঐ বছরে এক সড়ক দুর্ঘটনা স্ত্রী ও মেয়েকে হারান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এরপরেই ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় জিলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাইডেনের। পাঁচবার প্রস্তাবের পর জিল বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ায় সায় দেন। ১৯৭৭ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

নিজের বইয়ে রজার্স লেখেন, পঞ্চমবারের মতো জিলকে যখন বাইডেন প্রস্তাব দেয় তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমি এতটা ধৈর্য্যশীল কীভাবে রয়েছি তা আমি জানি না। তবে, আমি রেগে রয়েছি। তুমি আমাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নাও না হয় আমি আর আসবো না। আমি বিষয়টি নিয়ে আর তোমাকে বলবো না।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জিল জানান, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেসময় তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তারা তা ঠিক করে নিতো। এর মাধ্যমে তারা ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকত।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার গোপন তথ্য জানালেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন। স্ত্রী জিলের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৪৭ বছরের সংসার। কীভাবে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, সে বিষয়ে বেশ পটু সবচেয়ে বয়স্ক এই প্রেসিডেন্ট।এবার বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করার গোপন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। বাইডেনের মতে, বিবাহিত জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্য প্রয়োজন ‘গুড সেক্সের’। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ব্রিটিশ এই গণমাধ্যমটি সোমবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের নিয়ে একটি বাই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা কেইটি রজার্স। চলতি সপ্তাহেই ‘আমেরিকান ওম্যান- দ্য ট্রান্সফরম্যাশন অব দ্য মডার্ন ফার্স্ট লেডি, ফরম হিলারি ক্লিনটন টু জিল বাইডেন’ নামের বইটি মুক্তি পাবে। ২৭৬ পৃষ্ঠার বাইটিতে সেক্স নিয়ে অল্প কিছুই লেখা হয়েছে। তবে, সেটিই এখন হেডলাইন হয়ে উঠছে।

সেখানে মজার ছলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার এক সহায়তাকারী বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনের মূল চাবিকাঠি হল, ‘গুড সেক্স’।

গণমাধ্যমকর্মী রজার্স তার বইয়ে লেখেছেন, ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের বিরোধী ছিলেন। বিষয়টি যখন এক সহায়তাকারীকে জানাচ্ছিলেন ঠিক তখনই হল্টার টপ পরিধান করে সেখানে আসেন জিল বাইডেন। পেটে হাত রেখে বেখেয়ালিভাবে তিনি বলেন, ‘নো’।

ঐ সময় সমর্থকরা বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার বাছাইয়ে লড়তে আহ্বান করলেও তিনি এতে সাড়া দেননি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাড়িতে থাকা শ্রেয়। সন্তানদের ঘুমানোর পরে আমি স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে চাই।’ বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিতে এক মুখপাত্রের ওপর দায়িত্ব দেন বাইডেন। ঐ সময় সেই মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘সিনেটর বাইডেন তার স্ত্রীর প্রেমে মজেছেন।’

বইটি রজার্স বলেন, ১৯৭২ সালে স্ত্রী নিলিয়া ও মেয়ে নাওমিকে হারিয়ে বিরাট যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেন। ঐ বছরে এক সড়ক দুর্ঘটনা স্ত্রী ও মেয়েকে হারান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এরপরেই ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় জিলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাইডেনের। পাঁচবার প্রস্তাবের পর জিল বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ায় সায় দেন। ১৯৭৭ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

নিজের বইয়ে রজার্স লেখেন, পঞ্চমবারের মতো জিলকে যখন বাইডেন প্রস্তাব দেয় তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমি এতটা ধৈর্য্যশীল কীভাবে রয়েছি তা আমি জানি না। তবে, আমি রেগে রয়েছি। তুমি আমাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নাও না হয় আমি আর আসবো না। আমি বিষয়টি নিয়ে আর তোমাকে বলবো না।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জিল জানান, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেসময় তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তারা তা ঠিক করে নিতো। এর মাধ্যমে তারা ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকত।

হককথা/নাছরিন