ইসরাইল নীতিতে সমর্থন হারাচ্ছেন বাইডেন, দাতাদের ক্ষোভ

- প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
- / ১৭৪ বার পঠিত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যাকে সমর্থন দেয়ায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এক চিঠিতে সেই শঙ্কার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শতাধিক দাতা বলছেন, এর ফলে আসন্ন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বাইডেনকে সতর্ক করে পাঠানো এক চিঠিতে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওই দাতারা। ২০২০ সালের মতো ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খরচের জন্য এই দাতারাই বাইডেনকে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন।
চিঠিতে বাইডেন নীতির সমালোচনা করে তারা বলছেন, দখলদার ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটাররা দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ভোটারদের অনেকেই এখন প্রশ্ন করছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের মূল্যবোধের বিষয়ে কী অবস্থান নিয়েছে? চিঠিতে আরও বলে হয়েছে, পার্টির সমর্থকরা যদি ভোটের দিন বাড়িতে বসে থাকে বা অন্য প্রার্থীকে ভোট দেয়, তাহলে সামনে সত্যিকারের বিপদ রয়েছে। এমনকি নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন পরাজিত হতে পারেন।
সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ফিলিস্তিনের যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের পদক্ষেপকে সমর্থন করেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের চিত্র দেখে তরুণ ডেমোক্র্যাট এবং সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ভোটবাক্সের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি ইসরাইল নীতির কারণে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় গণহত্যা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর পরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। শুধু আকাশপথে নির্বিচার বোমা হামলা নয়, গাজায় স্থল অভিযানও চালিয়ে আসছে দখলদার বাহিনী। গাজায় চলমান এই গণহত্যায় ইসরাইলকে সরাসরি অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া, ইরানের মতো দেশগুলো এ গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
হককথা/নাছরিন