চ্যালেঞ্জের মুখে বাইডেন
- প্রকাশের সময় : ১০:৫১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। ঘটনার সূত্রপাত রবার্ট হুরের স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে। ওই প্রতিবেদনে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনকে ‘এল্ডারলি ম্যান উইথ পুওর মেমোরি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি এ কাউন্সেলের তদন্তে উঠে এসেছে, বাইডেনের ছেলে ঠিক কবে মারা গেছে সেটিই তিনি মনে করতে পারেন না।
স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনের পর খোদ ডেমোক্রেটিক মহলেও প্রশ্ন উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এখন তাদের নতুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী খোঁজা উচিত কিনা। জানা গেছে, বাইডেনের বয়স নিয়ে সংশয় ডেমোক্রাটদের মধ্যেও। এরই মধ্যে স্মৃতিশক্তি বিতর্ক নির্বাচনের আগে রিপাবলিকানদের সুবিধা দেবে বলেই মনে করছেন তারা।
কী আছে স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনে
রবার্ট হুরের স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনে বাইডেনের বিরুদ্ধে নিজের আত্মজীবনীর ঘোস্টরাইটারের কাছে গোপন স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন অতি গোপন নথি রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করতে পারেননি এবং নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মনে করতে পারেননি। বিশেষ কাউন্সেল বলেছেন, বাইডেন মনে করতে পারেননি কখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন কিংবা কয়েক বছরের মধ্যে তার ছেলে বিউ কবে মারা গিয়েছিলেন।
বাইডেনকে অযোগ্য বলছেন রিপাবলিকানরা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের ভুল ব্যবস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ হতে একেবারে অক্ষম একজন ব্যক্তি অবশ্যই ওভাল অফিসের জন্য ‘অযোগ্য’। রিপাবলিকান নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, স্পেশাল কাউন্সেলের অনুসন্ধানে এটা স্পষ্ট যে বাইডেন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি।
প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: হোয়াইট হাউজ
স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদন অসংগত বলে উল্লেখ করা হয়। হোয়াইট হাউজের কাউন্সেল অফিসের মুখপাত্র ইয়ান স্যাম বলেন, ‘আমরা এটি (প্রতিবেদন) পর্যবেক্ষণ করছি। শিগগিরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাইডেন নিজেও। বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমার সন্তান বিউ কবে মারা গেছে, সেটা নিশ্চয়ই কাউকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’ স্পেশাল কাউন্সেলের কাছে সাক্ষাৎকারের বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘সেদিন আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আমি তখন একটি আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে কাজ করছিলাম।’ যদিও এদিন সাংবাদিকদের সামনে কথা বলার সময় শেষের দিকে বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ‘মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধন করে ভুল করে বসেন, যা আরো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বাইডেনের জন্য।
তবে বাইডেনের বয়স ও স্মৃতিশক্তি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা, শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জোট পুনর্গঠনের মাধ্যমে বরাবরই তিনি তার দলের প্রগতিশীল এবং মধ্যপন্থী উইংকে আদর্শিকভাবে সন্তুষ্ট করেছেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এবার নির্বাচনী প্রচারণায় এ ইস্যুতে বাইডেন বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো। সূত্র : বণিক বার্তা।