ডেমোক্রেট কনভেনশনকে ঘিরে শিকাগো সরগরম : এবারের থিম ‘ফর দ্য ফিউচার’
কলমার পক্ষে ঐক্যবব্ধ হওয়ার আহ্বান বাইডেন-হিলারী’র
- প্রকাশের সময় : ১২:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৬৭ বার পঠিত
আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের ‘ডিএনসি’ নামে পরিচিত ‘ডেমোক্র্যাট ন্যাশনাল কনভেনশন’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিকাগোর ‘ইউনাইটেড সেন্টার অ্যারিনা’। ১৯ আগষ্ট সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই কনভেনশন। চলবে আগামী ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই কনভেনশন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন ‘ইউনাইটেড সেন্টার অ্যারিনা’। সংশ্লিস্টরা বলছে, চার দিনের এই সম্মেলনে দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে উল্লাস এবং নভেম্বরের নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর লাগাতার আক্রমণ চলবে।
এদিকে কনভেনশনের প্রথম দিনে সোমবার কমলা হ্যারিস ছাড়াও সাবেক ফাস্টলেডী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ও প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় নেতা, সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যগণ ভাষণ দেন। তাঁরা তাদের ভাষণে নভেম্বরে নির্বাচনে কলমা হ্যারিসের পক্ষে ঐক্যবব্ধ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় শত শত ডেলিগেট বিপুল করতালীর মাধ্যমে নেতৃবৃন্দের ভাষণকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, কমলা হ্যারিস এক মাসেরও কম সময় আগে প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনী দৌড়ে যোগ দেন, যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শারীরিক অবসবথা বিবেচনা আর দলীয় নেতাদের চাপের মুখে তার পুনর্র্নিবাচনের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। গত জুন মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেন খুব বাজেভাবে হোঁচট খান। ভোটার জরিপে তার সমর্থন কমে যাওয়া দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে প্রেসিডেন্ট তার পূর্বসূরির কাছে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৮১ বছর বয়সী বাইডেন দ্রুত তার ৫৯ বছর বয়সী সেকেন্ড-ইন-কমান্ড (ভাইস প্রেসিডেন্ট) কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। আরো উল্লেখ্য, জয়ী হলে কমলা হ্যারিস হবেন আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, বারাক ওবামার পর দেশটির দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট এবং দেশের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বনেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র আড়াই মাসের মতো বাকি। এ সময়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দেয়ার জন্য এই সম্মেলন। ১৮৩০-এর দশক থেকে শুরু হয়েছে এই ধারা। ওই সময়ে প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রু জ্যাকসনকে ডেমোক্রেট দলের একদল ডেলিগেট বাল্টিমোরে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে সমবেত হয়েছিলেন। সেই থেকে এই ধারা প্রচলিত। তবে এ বছর ডেমোক্রেটদের জন্য এই সম্মেলন কিছুটা ভিন্ন। কার্যত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস দলের মনোনয়ন পেয়ে গেছেন। কারণ, মনোনীত হতে তার যতগুলো ডেলিগেট প্রয়োজন, তা তিনি আগেই পেয়ে গেছেন।
ফলে ডেমোক্র্যাটদের এই সম্মেলনকে বিবিসি শুধু রোল কল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তবু কিছুটা বাকি থেকে যায়। এতে উপস্থিত হওয়ার কথা সেলিব্রেটিদের। দলীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। তা তাদেরকে চলার পথে শক্তি যোগাবে, উৎসাহীত করবে।
এদিকে অনলাইন বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী কমালা হ্যারিস তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে টম ওয়ালজকে বেছে নিয়েছেন। তারা দু’জনেই মনোনীত হয়েছেন এরই মধ্যে। ফলে এ বছরের সম্মেলনে ডেমোক্রেট প্রথম সারির নেতাদের মুখে বাণীর দিকে দৃষ্টি থাকবে সবার। তারা দলীয় এই প্ল্যাটফরমকে ব্যবহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। সেখানে কি কি বলা হবে তার একটি খসড়া আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আছে বিভিন্ন ইস্যু।
এর মধ্যে আছে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা, অস্ত্র দিয়ে সহিংসতা মোকাবিলা ইত্যাদি। শিকাগোর এই মঞ্চে উঠার কথা রয়েছে ডেমোক্রেট দলের কয়েক ডজন প্রথম সারির নেতা ও সেলিব্রেটিদের। সোমবার (১৯ আগষ্ট) রাতে এতে বক্তব্য রাখার কথা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তিনি এবারের নির্বাচন থেকে এক মাস আগে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। তার বক্তব্য শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন উপস্থিতরা।
এছাড়াও এ রাতে বক্তব্য রাখার কথা শিকাগোর মেয়র ব্রান্ডন জনসন এবং ডেমোক্রেট অন্য নেতাদের। মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) বক্তব্য রাখবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই দিন বক্তব্য রাখবেন ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার, কমালা হ্যারিসের স্বামী ডগ এমহোফ। বুধবার (২১ আগষ্ট) বক্তব্য রাখার কথা সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও অন্যদের। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর বুধবার রাতে মূল বক্তব্য রাখবেন কমালা হ্যারিসের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী) মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ।
ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কনভেনশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) রাত। এদিন মঞ্চে উঠবেন সময়ের সবচেয়ে আলোচিত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমালা হ্যারিস। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন গ্রহণ করবেন এবং ‘ফর দ্য ফিউচার’ থিমকে সামনে রেখে এ রাতে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে সম্মেলন চলাকালে যেকোনো সময় মঞ্চে উঠতে পারেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন, সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার, প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস। এ বছরের সম্মেলনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছেন ডেমোক্র্যাট দলের হাজার হাজার ডেলিগেট, সুপারি ডেলিগেট, নির্বাচিত সদস্য, ডেমোক্রেট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা, ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কমিটির সদস্যরা। এর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন মিডিয়ার হাজারো সদস্য।
এবারের সম্মেলন বেশ কিছু তারকার উপস্থিতিতে আলোকিত হবে। এর মধ্যে থাকতে পারেন মেগা তারকা বেয়ন্সে, টেইলর সুইফট প্রমুখ।
এদিকে ভয়েব অব আমেরিকা (ভোয়া)’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: ডেমোক্র্যাটদের কাছে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কয়েকটি জাতীয় জরিপে দেখা যাচ্ছে যে হ্যারিস বর্তমানে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতেও এগিয়ে আছেন, যেগুলো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে। চলতি মাসের শুরুতে ইলেক্ট্রনিক ভোটের মাধ্যমে কমালা হ্যারিস ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ তাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। ষাট বছর বয়সী ওয়ালজ অবসরপ্রাপ্ত হাই স্কুলের সোশ্যাল স্টাডিজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি দু’বার মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যের গভর্নর পদে জয়ী হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস-এ ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর গভর্নর পদে থাকার সময় একটি উদারপন্থী অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেছিলেন, তবে হ্যারিস তাকে রানিং মেট হিসেবে নির্বাচিত না করা পর্যন্ত তিনি জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেমন সুপরিচিত ছিলেন না।
রাজনৈতিক সহযোগীরা বলছেন, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে কমালা হ্যারিস জয়ী হলে তার সাথে কাজ করার জন্য তিনি সবচেয়ে উপযুক্ত বলে তিনি মনে করেন।
অপরিচিত কমলা
ডেমোক্র্যাটিক দলের যারা দীর্ঘদিন ধরে ধারণা পোষণ করে আসছেন যে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনঃপ্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য এবং হোয়াইট হাউসে আরো চার বছর দায়িত্ব পালনের জন্য বাইডেনের বয়স অনেক বেশি, তারা দ্রুত কমলা হ্যারিসকে ঘিরে একত্রিত হন। তবে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র তিন বছরের বড়। হ্যারিস যদিও দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর এবং সম্প্রতি সাড়ে তিন বছর ধরে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন, তিনিও ওয়ালজের মতোই আমেরিকান জনগণের কাছে তেমন সুপরিচিত ছিলেন না। অনেক ভোটারই প্রথমবারের মতো তার কাছ থেকে দীর্ঘ বক্তব্য শুনতে পাবেন যখন তিনি মনোনয়ন গ্রহণের সময় ভাষণ দেবেন।
কমলা হ্যারিস যে এক মাস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন, তিনি মাঝে মধ্যে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি কোনো বড় কোনো সংবাদ সম্মেলন করতে বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্কের উপস্থাপক বা বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম ব্যক্তিত্বের সাথে এককভাবে সাক্ষাত্কার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগস্টের শেষের দিকে তিনি এ ধরণের সাক্ষাৎকার দিবেন।
‘ট্রাম্পকে আমি চিনি’
হ্যারিস রাজনৈতিক ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলিতে তার নির্বচনী সমাবেশগুলিতে হাজার হাজার সমর্থককে আকৃষ্ট করতে পেরেছেন। ওইসব সমাবেশে তিনি সাবধানতার সাথে আগেভাগে তৈরি করা স্ক্রিপ্ট দিয়ে ভাষণ দিয়েছেন এবং প্রায়ই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় প্রসিকিউটর ছিলেন এবং এরপরেই তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। ‘এই সকল কাজ করার সময়, আমি সব ধরণের অপরাধীদের সঙ্গে কাজ করেছি’, তিনি বলেছেন। ‘তাই যখন বলি তখন আমাকে শুনুন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কী ধরণের তা আমি জানি।
এক নারীকে যৌন নির্যাতন এবং তারপরে তার মানহানি করার জন্য জুরিমন্ডলী ট্রাম্পকে দেওয়ানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। অপরদিকে মে মাসে অন্য জুরিমন্ডলী তাকে এক পর্ণ তারকাকে চুপ রাখার জন্য গোপনে অর্থ দেয়ার সাথে সম্পৃক্ত ৩৪টি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই বছরের শুরুর দিকে একজন বিচারকের রায়ে বলা হয়েছিল যে তিনি তার ব্যবসায়িক নথিপত্র হেরফের করেছিলেন যাতে ব্যাংক এবং বিমাকারীদের কাছ থেকে অনুকূল শর্তে ঋণের পান। এই মামলায় তাকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। ট্রাম্প হ্যারিসকে ইন্টেলেকচ্যুয়াল লাইটওয়েট বলে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, হ্যারিস সাংবাদিকদের কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার মতো যথেষ্ট স্মার্ট নন।
‘গাজা হবে গলার কাঁটা’
বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান ট্রাম্পকে হ্যারিসের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করার এবং তার নীতিগত অবস্থানকে অবজ্ঞা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত আক্রমণ করার অধিকার আছে। আমার মতো করে এটা আমাকে করতে হবে।’
কনভেনশনের বেশিরভাগ প্রতিনিধি হ্যারিসকে সমর্থন করছেন। তবে কয়েক ডজন প্রতিনিধি নিজেদের তালিকাভুক্ত করেছেন তার প্রার্থিতার বিপক্ষে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়’ হিসাবে। তারা সকলেই গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনের প্রতিবাদে জোটবদ্ধ।
কমলা হ্যারিস গাজায় ১০ মাসের যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইসরাইলকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিনিধিদের দাবি, ইসরাইলে আরো সামরিক সহায়তা পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতি সমর্থন জানানর বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।
শিকাগোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গাজায় ক্ষুধার্ত ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। হ্যারিস তার কনভেনশন বক্তৃতায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন কিনা তা জানা যায়নি।