নিউইয়র্ক ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ১৬৩ বার পঠিত

সংসদে বাৎসরিক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যকালে নিজের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধী পক্ষ ও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করলেন। ভোটারদের মন জয় করতে কিছু ঘোষণাও করলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না। বয়সের কারণে তিনি আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা, সেই বিতর্ক তাঁর পুনর্নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলছে। অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন।

এমনই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাইডেন। ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরো প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির উপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করলেন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি। তবে সংসদে বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে পড়েনি। সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি ‘আমার পূর্বসূরি’ হিসেবে তাঁর উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিষোগও করেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন।

ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই বিল পাশ হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেন। সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তাঁর ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরও ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে সেই নির্দেশ দিলেও গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রবেশ করবে না বলে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি গাজায় অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির ডাক দেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

সংসদে বাৎসরিক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যকালে নিজের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধী পক্ষ ও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করলেন। ভোটারদের মন জয় করতে কিছু ঘোষণাও করলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না। বয়সের কারণে তিনি আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা, সেই বিতর্ক তাঁর পুনর্নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলছে। অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন।

এমনই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাইডেন। ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরো প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির উপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করলেন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি। তবে সংসদে বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে পড়েনি। সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি ‘আমার পূর্বসূরি’ হিসেবে তাঁর উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিষোগও করেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন।

ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই বিল পাশ হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেন। সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তাঁর ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরও ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে সেই নির্দেশ দিলেও গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রবেশ করবে না বলে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি গাজায় অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির ডাক দেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে