নিউইয়র্ক ০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৯ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে। কঠোর অভিবাসন নীতি, গাজা ঘিরে ট্রাম্পের কূটকৌশল, ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তুলে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজপথে নামেন আমেরিকানবাসী। সেসময় ট্রাম্পকে স্বৈরাচার বলেও আখ্যা দেন তারা।

ক্ষমতা গ্রহণের মাস না পেরুতেই বিক্ষোভের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউজের সামনে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নির্মূলে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তারা। একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা আসলে নতুন নয়। ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে একেবারে সরিয়ে দিতে চায়, এটাই স্বাভাবিক। ১৯৪৮ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে।’

অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্র ও অর্থপ্রদান বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে চাইছেন, ট্রাম্পও তাই করছেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কও কাঁপছে বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে। বুধবার শহরটির সিটি হলের সামনে ট্রাম্পের ২০২৫ সালের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের দাবিতে এক হন আমেরিকানরা। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে একত্বতা থাকায় ধনকুবের ইলন মাস্কেরও সমালোচনা করেন তারা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এগুলো দেখার জন্য জনগণ ট্রাম্পকে ভোট দেয়নি। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছেন ট্রাম্প। মানুষকে ধরে ধরে গুয়েন্তেমালা বে’তে বন্দিশালায় পাঠানো হচ্ছে, যা খুবই ভয়ানক। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সঙ্গে এক হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের বারোটা বাজাচ্ছেন ট্রাম্প।’ ইউএস এইডের প্রায় সব কর্মীকে ছাঁটাই প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের সামনে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন কংগ্রেসের সিনেটর ও প্রতিনিধি সভার সদস্যরা। অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনের সময় ট্রাম্পকে ২৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছেন ইলন মাস্ক । আর এর প্রতিদানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ মাস্কের হাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ক্রিস ভান হুলেন বলেন, ‘ইতিহাসের ভয়াবহ দুর্নীতির সাক্ষী হতে যাচ্ছি। ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে ২৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে। আর তার হাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প। এ অনৈতিক ক্ষমতার অবসান করতে হবে। এবং আমরা তা করবো। মাঝপথ থেকে ফিরবো না।’ লস এঞ্জেলেসেও ট্রাম্পকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ যুক্তরাষ্ট্রের।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘গত ১৬ দিনে ক্রমেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জোড়ালো হয়েছে। সবাই সচেতন হয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমেছে।’ একজন অভিবাসী বলেন, ‘অভিবাসীদের এখানে থাকার অধিকার রয়েছে। তাদের যদি এখান থেকে বিতাড়িত করা হয় তাহলে অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’ স্থানীয় একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ গর্ভপাত, সম-অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ সব ধরনের সংখ্যালঘুদের পক্ষে। তাদের সমর্থনেই আজকে আমরা এখানে।’ সূত্র : এখন টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে। কঠোর অভিবাসন নীতি, গাজা ঘিরে ট্রাম্পের কূটকৌশল, ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তুলে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজপথে নামেন আমেরিকানবাসী। সেসময় ট্রাম্পকে স্বৈরাচার বলেও আখ্যা দেন তারা।

ক্ষমতা গ্রহণের মাস না পেরুতেই বিক্ষোভের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউজের সামনে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নির্মূলে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তারা। একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা আসলে নতুন নয়। ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে একেবারে সরিয়ে দিতে চায়, এটাই স্বাভাবিক। ১৯৪৮ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে।’

অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্র ও অর্থপ্রদান বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে চাইছেন, ট্রাম্পও তাই করছেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কও কাঁপছে বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে। বুধবার শহরটির সিটি হলের সামনে ট্রাম্পের ২০২৫ সালের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের দাবিতে এক হন আমেরিকানরা। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে একত্বতা থাকায় ধনকুবের ইলন মাস্কেরও সমালোচনা করেন তারা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এগুলো দেখার জন্য জনগণ ট্রাম্পকে ভোট দেয়নি। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছেন ট্রাম্প। মানুষকে ধরে ধরে গুয়েন্তেমালা বে’তে বন্দিশালায় পাঠানো হচ্ছে, যা খুবই ভয়ানক। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সঙ্গে এক হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের বারোটা বাজাচ্ছেন ট্রাম্প।’ ইউএস এইডের প্রায় সব কর্মীকে ছাঁটাই প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের সামনে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন কংগ্রেসের সিনেটর ও প্রতিনিধি সভার সদস্যরা। অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনের সময় ট্রাম্পকে ২৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছেন ইলন মাস্ক । আর এর প্রতিদানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ মাস্কের হাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ক্রিস ভান হুলেন বলেন, ‘ইতিহাসের ভয়াবহ দুর্নীতির সাক্ষী হতে যাচ্ছি। ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে ২৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে। আর তার হাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প। এ অনৈতিক ক্ষমতার অবসান করতে হবে। এবং আমরা তা করবো। মাঝপথ থেকে ফিরবো না।’ লস এঞ্জেলেসেও ট্রাম্পকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ যুক্তরাষ্ট্রের।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘গত ১৬ দিনে ক্রমেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জোড়ালো হয়েছে। সবাই সচেতন হয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমেছে।’ একজন অভিবাসী বলেন, ‘অভিবাসীদের এখানে থাকার অধিকার রয়েছে। তাদের যদি এখান থেকে বিতাড়িত করা হয় তাহলে অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’ স্থানীয় একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ গর্ভপাত, সম-অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ সব ধরনের সংখ্যালঘুদের পক্ষে। তাদের সমর্থনেই আজকে আমরা এখানে।’ সূত্র : এখন টিভি।