নিউইয়র্ক ০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার পদত্যাগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯ বার পঠিত

টানা প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে ইসরায়েলে দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রও সরবরাহ করছে দেশটি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র নীরব। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মানবাধিকার কর্মকর্তার নাম অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতির বিরোধিতায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ কর্মী তিনি।

আল জাজিরা বলছে, শেলিন বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মূলত তিনি এমন এক সময়ে বাইডেন প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন যখন গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান প্রায় ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

শেলিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমি সত্যিই আমার কাজ আর করতে পারিনি। মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

শেলিনের পদত্যাগের আগে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক।

এছাড়া একই কারণে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারী পদে ছিলেন। আল জাজিরার সাথে কথা বলার সময় হাবাশ বলেছেন, অ্যানেল শেলিনের চলে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত সেটিই স্পষ্ট করছে যে, গাজা যুদ্ধের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক নয়, এমন কিছু লোক আছেন যারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও তারা মনে করছেন, তারা তাদের কাজ করতে অক্ষম। (শেলিন) হয়তো বুঝতে পেরেছেন, একমাত্র উপায় যে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন তা হলো তার চলে যাওয়া, কারণ প্রায় ছয় মাসে আমরা (মার্কিন) নীতিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখিনি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের প্রভাব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

আল জাজিরা বলছে, ব্যুরো অব নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের অংশ হিসাবে ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, লেবার এবং হিউম্যান রাইটস (ডিআরএল)-এর একটি ফেলোশিপের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেছিলেন অ্যানেল শেলিন। তাকে মানবাধিকারের প্রচার এবং এই ইস্যুতে বার্ষিক প্রতিবেদন সংকলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে এবং এর আগে তিনি কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফটের গবেষক ছিলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলজুড়ে কর্মী এবং সুশীল সমাজের গ্রুপগুলোর সাথে সমন্বয় করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যানেল শেলিন বলেন, যুদ্ধের অগ্রগতির সাথে সাথে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে হ্রাস পেয়েছে তা তিনি নিজেই দেখেছেন।

শেলিন এই অঞ্চলজুড়ে যে গোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করেছেন তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি তারা জড়িত হতে ইচ্ছুক হয়, তবে তাদের বেশিরভাগই গাজা সম্পর্কে কথা বলতে চায়, তারা (ফিলিস্তিনিরা) চরম দমন-পীড়ন বা কারাবাসের হুমকি মোকাবিলা করছে। তারা প্রথম যে পয়েন্টটি সামনে নিয়ে আসে, তা হলো: এটি কীভাবে ঘটছে?’

আল জাজিরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শেলিনের প্রস্থান এমন এক সময়ে হলো যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে, এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে প্রত্যাশিত স্থল অভিযান সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেওয়ার সময়ও।

এছাড়া ইসরায়েল রাফাহতে স্থল হামলা চালালে সেটির ‘পরিণাম’ সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হ্যারিসের মন্তব্যের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এতে প্রস্তাবটি পাস হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘লিখিত আশ্বাস’ পেয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যদিও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছে।

সেদিন মিলার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এখনও পর্যন্ত নিজেদের ‘চলমান’ মূল্যায়নে গাজায় ইসরায়েলের আইন লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ পায়নি।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার পদত্যাগ

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টানা প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে ইসরায়েলে দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রও সরবরাহ করছে দেশটি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র নীরব। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মানবাধিকার কর্মকর্তার নাম অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতির বিরোধিতায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ কর্মী তিনি।

আল জাজিরা বলছে, শেলিন বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মূলত তিনি এমন এক সময়ে বাইডেন প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন যখন গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান প্রায় ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

শেলিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমি সত্যিই আমার কাজ আর করতে পারিনি। মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

শেলিনের পদত্যাগের আগে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক।

এছাড়া একই কারণে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারী পদে ছিলেন। আল জাজিরার সাথে কথা বলার সময় হাবাশ বলেছেন, অ্যানেল শেলিনের চলে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত সেটিই স্পষ্ট করছে যে, গাজা যুদ্ধের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক নয়, এমন কিছু লোক আছেন যারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও তারা মনে করছেন, তারা তাদের কাজ করতে অক্ষম। (শেলিন) হয়তো বুঝতে পেরেছেন, একমাত্র উপায় যে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন তা হলো তার চলে যাওয়া, কারণ প্রায় ছয় মাসে আমরা (মার্কিন) নীতিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখিনি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের প্রভাব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

আল জাজিরা বলছে, ব্যুরো অব নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের অংশ হিসাবে ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, লেবার এবং হিউম্যান রাইটস (ডিআরএল)-এর একটি ফেলোশিপের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেছিলেন অ্যানেল শেলিন। তাকে মানবাধিকারের প্রচার এবং এই ইস্যুতে বার্ষিক প্রতিবেদন সংকলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে এবং এর আগে তিনি কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফটের গবেষক ছিলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলজুড়ে কর্মী এবং সুশীল সমাজের গ্রুপগুলোর সাথে সমন্বয় করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যানেল শেলিন বলেন, যুদ্ধের অগ্রগতির সাথে সাথে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে হ্রাস পেয়েছে তা তিনি নিজেই দেখেছেন।

শেলিন এই অঞ্চলজুড়ে যে গোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করেছেন তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি তারা জড়িত হতে ইচ্ছুক হয়, তবে তাদের বেশিরভাগই গাজা সম্পর্কে কথা বলতে চায়, তারা (ফিলিস্তিনিরা) চরম দমন-পীড়ন বা কারাবাসের হুমকি মোকাবিলা করছে। তারা প্রথম যে পয়েন্টটি সামনে নিয়ে আসে, তা হলো: এটি কীভাবে ঘটছে?’

আল জাজিরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শেলিনের প্রস্থান এমন এক সময়ে হলো যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে, এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে প্রত্যাশিত স্থল অভিযান সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেওয়ার সময়ও।

এছাড়া ইসরায়েল রাফাহতে স্থল হামলা চালালে সেটির ‘পরিণাম’ সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হ্যারিসের মন্তব্যের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এতে প্রস্তাবটি পাস হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘লিখিত আশ্বাস’ পেয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যদিও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছে।

সেদিন মিলার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এখনও পর্যন্ত নিজেদের ‘চলমান’ মূল্যায়নে গাজায় ইসরায়েলের আইন লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ পায়নি।

হককথা/নাছরিন