নিউইয়র্ক ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্লেষকদের অভিমত: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৬ বার পঠিত

গাজা কিনে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। যদিও, অনেকেই বলছেন, গাজা দখলে নতুন নতুন পন্থায় খেলছেন কৌশলী ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার আগেই দায়িত্ব নিয়ে হামাস ও ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর শান্তি ফিরেছে গাজা উপত্যকায়। চুক্তি অনুযায়ী দফায় দফায় ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে হামাস। বিনিময়ে তেল আবিবের কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছে ফিলিস্তিনি বন্দিরা। এরইমধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের নেতজারিম করিডর থেকে সেনা সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। ফলে নিজ ভূমিতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছে লাখো ফিলিস্তিনি।

আপাত দৃষ্টিতে গাজা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে মনে হলেও, কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে এর আড়ালে। রোববার ট্রাম্পের গাজা কেনার ঘোষণা থেকেই যা স্পষ্ট। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির দূত এবার থাবা বসিয়েছে গাজায়। এ যেন দুই বানর ও ইদুরের রুটি ভাগাভাগির গল্প। আর এই গল্পে বানরের চরিত্র ট্রাম্প। ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের গাজাখুড়ি গল্প শুনিয়ে পুরো উপত্যকাটি হাতিয়ে নিতে চান তিনি। গাজা নিয়ে ভবিষৎপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বলেন, গাজাকে পুনরায় গড়ে তুলতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চান তিনি। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কিনে ফেলতে চান গোটা গাজা উপত্যকা। আর তার এমন বোমা ফাটানো কথা নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। এখানে বসবাসের কোনো উপায় নেই। গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিরাও অংশ নিতে পারবে। গাজাকে হাতছাড়া করতে চাই না কোনোভাবেই।’ গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন লঙ্ঘন বলে দাবি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

জর্ডানের রাজনীতি বিশ্লেষক ওমর আলি আরমতি বলেন, ‘আইনগতভাবে ট্রাম্পের এ ধরণের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ছেলেখেলা করছে এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেরেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, বিষয়টি আলোচনার বাইরে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ‘গাজা ভূ-খণ্ড ছেড়ে ফিলিস্তিনিরা এক চুলও সরবে না। ৪৭১ দিন তারা এখানে যুদ্ধ করে টিকে রয়েছে। বাকী জীবনও তারা এখানেই থাকবে। যত পরিকল্পনাই করুক গাজা ঘিরে, ফিলিস্তিনিরা তা কোন দিনও বাস্তবায়ন হতে দেবেনা।’ ট্রাম্পের গাজা কিনে নেয়ার পরিকল্পনা আদৌ সফল কিনা তা নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। সূত্র : এখন টিভি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিশ্লেষকদের অভিমত: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজা কিনে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। যদিও, অনেকেই বলছেন, গাজা দখলে নতুন নতুন পন্থায় খেলছেন কৌশলী ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার আগেই দায়িত্ব নিয়ে হামাস ও ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর শান্তি ফিরেছে গাজা উপত্যকায়। চুক্তি অনুযায়ী দফায় দফায় ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে হামাস। বিনিময়ে তেল আবিবের কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছে ফিলিস্তিনি বন্দিরা। এরইমধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের নেতজারিম করিডর থেকে সেনা সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। ফলে নিজ ভূমিতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছে লাখো ফিলিস্তিনি।

আপাত দৃষ্টিতে গাজা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে মনে হলেও, কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে এর আড়ালে। রোববার ট্রাম্পের গাজা কেনার ঘোষণা থেকেই যা স্পষ্ট। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির দূত এবার থাবা বসিয়েছে গাজায়। এ যেন দুই বানর ও ইদুরের রুটি ভাগাভাগির গল্প। আর এই গল্পে বানরের চরিত্র ট্রাম্প। ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের গাজাখুড়ি গল্প শুনিয়ে পুরো উপত্যকাটি হাতিয়ে নিতে চান তিনি। গাজা নিয়ে ভবিষৎপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বলেন, গাজাকে পুনরায় গড়ে তুলতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চান তিনি। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কিনে ফেলতে চান গোটা গাজা উপত্যকা। আর তার এমন বোমা ফাটানো কথা নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। এখানে বসবাসের কোনো উপায় নেই। গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিরাও অংশ নিতে পারবে। গাজাকে হাতছাড়া করতে চাই না কোনোভাবেই।’ গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন লঙ্ঘন বলে দাবি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

জর্ডানের রাজনীতি বিশ্লেষক ওমর আলি আরমতি বলেন, ‘আইনগতভাবে ট্রাম্পের এ ধরণের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ছেলেখেলা করছে এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেরেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, বিষয়টি আলোচনার বাইরে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ‘গাজা ভূ-খণ্ড ছেড়ে ফিলিস্তিনিরা এক চুলও সরবে না। ৪৭১ দিন তারা এখানে যুদ্ধ করে টিকে রয়েছে। বাকী জীবনও তারা এখানেই থাকবে। যত পরিকল্পনাই করুক গাজা ঘিরে, ফিলিস্তিনিরা তা কোন দিনও বাস্তবায়ন হতে দেবেনা।’ ট্রাম্পের গাজা কিনে নেয়ার পরিকল্পনা আদৌ সফল কিনা তা নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। সূত্র : এখন টিভি