নিউইয়র্ক ০২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র’ বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ১১৬ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতান্ত্রিক মানদণ্ড’ এবং বিশ্বজুড়ে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ প্রচার করছে, যা আরও অশান্তি, সংঘাত ও বিপর্যয় ডেকে আনছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি)-এর সিজিটিএন ও চায়না রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় নতুন যুগ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে পরিচালিত মতামত জরিপে বলা হয়, উত্তরদাতারা অন্যান্য দেশকে দমন করা ও ব্যক্তিগত লাভের জন্য এবং আন্তর্জাতিক সমাজের মধ্যে বিভাজন ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ইস্যুর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট।

মানবজাতির জন্য গণতন্ত্রের একটি সাধারণ মূল্য রয়েছে। গণতন্ত্রকে ভূ-কৌশল এবং মানব উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। জরিপে ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা ‘গণতন্ত্র’ ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং অন্যান্য দেশকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন। ৬২.৩ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক জবরদস্তির অপব্যবহারের আধিপত্য-বাদী আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ জানান।

নিজের আধিপত্য সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে অনেক দেশে ‘রঙ বিপ্লব’ উস্কে দিয়েছে। এটি কোন কোন দেশকে শাসন পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক পতন ও জনগণের জীবিকা নির্বাহের কষ্টের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে। ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট ‘নকল-যুদ্ধ’সহ খারাপ আচরণগুলো নিয়ে খুব চিন্তিত।

যুক্তরাষ্ট্র আর গণতন্ত্রের ‘মডেল’ নয়। ৮৪.৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বিভিন্ন দেশে ও সাংস্কৃতিক পটভূমিতে গণতন্ত্রের বিভিন্ন রূপ আছে। ৮৬.৮ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সম্মান ও পার্থক্য সংরক্ষণ করার সময় সাধারণ ভিত্তি সন্ধান করার ধারণা মেনে চলার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, বিশ্বের ৩২টি দেশের ৩৯ হাজার ৩১৫ জন উত্তরদাতা এবারের মতামত জরিপে অংশগ্রহণ করেন। এতে ‘ইমপ্রেশন অফ আমেরিকা’ জরিপসহ ৩টি বিশ্বব্যাপী জনমত জরিপ অন্তর্ভুক্ত হয়। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র’ বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতান্ত্রিক মানদণ্ড’ এবং বিশ্বজুড়ে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ প্রচার করছে, যা আরও অশান্তি, সংঘাত ও বিপর্যয় ডেকে আনছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি)-এর সিজিটিএন ও চায়না রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় নতুন যুগ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে পরিচালিত মতামত জরিপে বলা হয়, উত্তরদাতারা অন্যান্য দেশকে দমন করা ও ব্যক্তিগত লাভের জন্য এবং আন্তর্জাতিক সমাজের মধ্যে বিভাজন ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ইস্যুর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট।

মানবজাতির জন্য গণতন্ত্রের একটি সাধারণ মূল্য রয়েছে। গণতন্ত্রকে ভূ-কৌশল এবং মানব উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। জরিপে ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা ‘গণতন্ত্র’ ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং অন্যান্য দেশকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন। ৬২.৩ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক জবরদস্তির অপব্যবহারের আধিপত্য-বাদী আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ জানান।

নিজের আধিপত্য সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে অনেক দেশে ‘রঙ বিপ্লব’ উস্কে দিয়েছে। এটি কোন কোন দেশকে শাসন পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক পতন ও জনগণের জীবিকা নির্বাহের কষ্টের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে। ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট ‘নকল-যুদ্ধ’সহ খারাপ আচরণগুলো নিয়ে খুব চিন্তিত।

যুক্তরাষ্ট্র আর গণতন্ত্রের ‘মডেল’ নয়। ৮৪.৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বিভিন্ন দেশে ও সাংস্কৃতিক পটভূমিতে গণতন্ত্রের বিভিন্ন রূপ আছে। ৮৬.৮ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সম্মান ও পার্থক্য সংরক্ষণ করার সময় সাধারণ ভিত্তি সন্ধান করার ধারণা মেনে চলার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, বিশ্বের ৩২টি দেশের ৩৯ হাজার ৩১৫ জন উত্তরদাতা এবারের মতামত জরিপে অংশগ্রহণ করেন। এতে ‘ইমপ্রেশন অফ আমেরিকা’ জরিপসহ ৩টি বিশ্বব্যাপী জনমত জরিপ অন্তর্ভুক্ত হয়। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব

হককথা/নাছরিন