বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফের যোগ দেবে আমেরিকা?
- প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪০ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগদানের ইঙ্গিত দিলেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। কিন্তু জানিয়ে দিলেন সেক্ষেত্রে তার একটি শর্ত রয়েছে।
লাস ভেগাসে এক জনসভায় ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা এটা নিয়ে আবার ভাবতেই পারি। আমি জানি না ঠিক, হয়তো… তবে ওদের বিষয়টা পরিষ্কার করতে হবে।’ ঠিক কী পরিষ্কার করার কথা বলতে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট? আসলে তার দাবি, ‘আমরা বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিই। অথচ চীন দেয় ৩৯ মিলিয়ন। ভেবে দেখুন একবার! ওদের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি!’
এরপরই তিনি বলেন, ‘ওরা (ডব্লিউএইচও) বলেছে আমাকে ৩৯ মিলিয়ন দিলেই হবে। অর্থাৎ ৫০০ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ৩৯ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছি। তবে বিষয়টা নিয়ে ভাবা যেতেই পারে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার করতে হবে।’
এদিকে ‘ডব্লিউএইচও’ থেকে আমেরিকা সরে দাঁড়ানোয় সংস্থাটি চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডব্লিউএইচও’র মোট বাজেটের এক-পঞ্চমাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল থেকে। সেক্ষেত্রে আমেরিকা সরে গেলে বাজেটে ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা সমূহ।
অন্যদিকে ‘ডব্লিউএইচও’ থেকে সরে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরও সমস্যা হবে। কেননা তারা বিশ্বের সবচেয়ে ছোঁয়াচে প্রাণঘাতী অসুখ যক্ষ্মা অথবা এইচআইভি/এইডসের মতো অসুখে বা অন্যান্যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প রেকর্ডসংখ্যক এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন ট্রাম্প। নিঃসন্দেহে যার অন্যতম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম সরানো। এছাড়াও জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ তুলে দেয়া কিংবা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার মতো নানা বিষয় রয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।