নিউইয়র্ক ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শৌচাগারের দেয়ালে ১০০ বছর আগের প্রেমের চিঠি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : শৌচাগারের একটি দেয়াল ভাঙতেই বেরিয়ে আসে এক জোড়া প্রেমের চিঠি। ধারণা করা হচ্ছে, চিঠি দুটি প্রায় ১০০ বছর আগে লেখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের এক দম্পতি তাদের বাড়ির শৌচাগার ভেঙে সংস্কারের কাজ করাতে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটে।

ম্যাট টেসমার ও ক্যারি টেসমার নামের সেই দম্পতি বলেন, শৌচাগারের পেছনের দেয়ালের ভেতর থেকে চিঠি ছাড়াও ওষুধের পাত্র, গ্লিসারিন, গোলাপজল, রেজার ব্লেড ও দীর্ঘদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিনিয়াপোলিসের কিছু ব্র্যান্ডের তৈরি প্রসাধনী সামগ্রী পেয়েছেন তারা।

এই দম্পতির ভাষ্য, এসবের মধ্যে সবচেয়ে অবাক করা হচ্ছে, সেখানে দুটি প্রেমের চিঠি পাওয়া গেছে। একজন কিশোর দুই কিশোরীর নামে চিঠি দুটি লিখেছে।

পত্র লেখকের জায়গায় লেখা জন বি। চিঠি দুটি লেখা হয়েছে হ্যাজেল ও পলিন নামের দুজনকে। চিঠিতে জন বি দুজনের প্রতি গভীর অনুরাগের কথা লিখেছে। ক্যারি টেসমার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চিঠির কিছু অংশ পড়ার পর তারা বুঝতে পারেন, সেগুলো সম্ভবত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি কোনো কিশোরের লেখা।

তবে ওই দম্পতি বলেন, জন বি নামের এই পত্রলেখক কে হতে পারে, এ নিয়ে দুজনের কথা মনে হচ্ছে তাদের। তাদের মতে, দুজনের একজন হলেন জন পাভলো, যিনি বাড়িটির প্রথম মালিক। গত শতকের বিশ থেকে পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত এ বাড়ি ছিল জন পাভলোর। তার ছেলের নাম ছিল জন।

ক্যারি টেসমার বলেন, জন পাভলো যখন এই বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন, তার বয়স ছিল প্রায় ১৭ বছর। আর দ্বিতীয় যে ব্যক্তিকে ধারণা করা হচ্ছে, তার নাম জন বুক। তার জন্ম গত শতকের ত্রিশের দশকে। ষাটের দশকে যখন ওই ব্যক্তি এই বাড়িতে আসেন, তখন তার বয়স সবে আঠারো হয়েছে।

ক্যারি বলেন, তারা বাড়ির চিলেকোঠায় জন বুকের কিছু পুরোনো কাগজ খুঁজে পেয়েছেন। হতে পারে, কিশোর বয়সের স্মৃতিচিহ্ন শৌচাগারের দেয়ালের ভেতের লুকিয়ে রেখিছেলেন জন বুক। দেয়ালের এই চিঠির পেছনের গল্পটা জানতে চান ক্যারি। তিনি বলেন, কেন চিঠিগুলো প্রাপককে দেওয়া হয়নি, কেন চিঠির শেষ ঠিকানা শৌচাগার হলো—এর নেপথ্য কাহিনি জানতে আগ্রহী তিনি। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শৌচাগারের দেয়ালে ১০০ বছর আগের প্রেমের চিঠি

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : শৌচাগারের একটি দেয়াল ভাঙতেই বেরিয়ে আসে এক জোড়া প্রেমের চিঠি। ধারণা করা হচ্ছে, চিঠি দুটি প্রায় ১০০ বছর আগে লেখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের এক দম্পতি তাদের বাড়ির শৌচাগার ভেঙে সংস্কারের কাজ করাতে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটে।

ম্যাট টেসমার ও ক্যারি টেসমার নামের সেই দম্পতি বলেন, শৌচাগারের পেছনের দেয়ালের ভেতর থেকে চিঠি ছাড়াও ওষুধের পাত্র, গ্লিসারিন, গোলাপজল, রেজার ব্লেড ও দীর্ঘদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিনিয়াপোলিসের কিছু ব্র্যান্ডের তৈরি প্রসাধনী সামগ্রী পেয়েছেন তারা।

এই দম্পতির ভাষ্য, এসবের মধ্যে সবচেয়ে অবাক করা হচ্ছে, সেখানে দুটি প্রেমের চিঠি পাওয়া গেছে। একজন কিশোর দুই কিশোরীর নামে চিঠি দুটি লিখেছে।

পত্র লেখকের জায়গায় লেখা জন বি। চিঠি দুটি লেখা হয়েছে হ্যাজেল ও পলিন নামের দুজনকে। চিঠিতে জন বি দুজনের প্রতি গভীর অনুরাগের কথা লিখেছে। ক্যারি টেসমার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চিঠির কিছু অংশ পড়ার পর তারা বুঝতে পারেন, সেগুলো সম্ভবত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি কোনো কিশোরের লেখা।

তবে ওই দম্পতি বলেন, জন বি নামের এই পত্রলেখক কে হতে পারে, এ নিয়ে দুজনের কথা মনে হচ্ছে তাদের। তাদের মতে, দুজনের একজন হলেন জন পাভলো, যিনি বাড়িটির প্রথম মালিক। গত শতকের বিশ থেকে পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত এ বাড়ি ছিল জন পাভলোর। তার ছেলের নাম ছিল জন।

ক্যারি টেসমার বলেন, জন পাভলো যখন এই বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন, তার বয়স ছিল প্রায় ১৭ বছর। আর দ্বিতীয় যে ব্যক্তিকে ধারণা করা হচ্ছে, তার নাম জন বুক। তার জন্ম গত শতকের ত্রিশের দশকে। ষাটের দশকে যখন ওই ব্যক্তি এই বাড়িতে আসেন, তখন তার বয়স সবে আঠারো হয়েছে।

ক্যারি বলেন, তারা বাড়ির চিলেকোঠায় জন বুকের কিছু পুরোনো কাগজ খুঁজে পেয়েছেন। হতে পারে, কিশোর বয়সের স্মৃতিচিহ্ন শৌচাগারের দেয়ালের ভেতের লুকিয়ে রেখিছেলেন জন বুক। দেয়ালের এই চিঠির পেছনের গল্পটা জানতে চান ক্যারি। তিনি বলেন, কেন চিঠিগুলো প্রাপককে দেওয়া হয়নি, কেন চিঠির শেষ ঠিকানা শৌচাগার হলো—এর নেপথ্য কাহিনি জানতে আগ্রহী তিনি। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন