নিউইয়র্ক ০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজোট ইউরোপের নেতারা,নেতৃত্বে ম‍্যাখোঁ?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫২ বার পঠিত

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল যেন বদলে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। বাইডেনের শাসনামলে যেখানে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরফা সমর্থন পেয়ে এসেছে, সেখানে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন। কিয়েভে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইউক্রেন কিংবা ইউরোপ নয়, বরং রাশিয়ার সঙ্গেই আলোচনার টেবিলে বসতে বেশি আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না রাশিয়াও। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই। আলোচনার জন্য তাদের আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ফলে বিশ্বনেতাদের এমন পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপজুড়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এমন পরিস্থিতে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়া ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান‍্যুয়েল ম‍্যাখোঁ। সোমবার তার আমন্ত্রণে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে প্যারিসে জরুরি বৈঠকে যোগ দেন ইউরোপীয় নেতারা। শুধু তাই নয়, বৈঠক শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন ম্যানখোঁ। প্রায় বিশ মিনিট ধরে চলা সেই ফোনালাপেও প্রধান্য পায় রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু।

প্যারিসের জরুরি সেই বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্ক ছাড়াও বাল্টিক এবং নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব ছিল বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে ইউক্রেনের সার্বিক পরিস্থিতি উঠে আসে। আলোচনা শেষে ইউক্রেন ও ইউরোপকে বাদ দিয়ে শান্তি চুক্তি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকানিদের বৈঠকের সমালোচনা করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সহ অন্যান্য নেতারা।

এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য পাঠাতে যুক্তরাজ্য রাজি আছে এবং তাদের সেই প্রস্তুতিও আছে। ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। ফলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, ব্রেক্সিটের পর যে তিক্ততা দেখা গিয়েছিল, সেটা ভুলে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আরও একবার সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিতে পারে এই ইউক্রেন ইস্যু। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় ইউরোপকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি হয়তো এখনও পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেন না ইউরোপীয় নেতারা। চাপের মুখে থাকা ইউরোপ নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে সরিয়ে রেখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয় ও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ফ্রন্ট গঠন করতে পারবে কিনা সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজোট ইউরোপের নেতারা,নেতৃত্বে ম‍্যাখোঁ?

প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল যেন বদলে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। বাইডেনের শাসনামলে যেখানে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরফা সমর্থন পেয়ে এসেছে, সেখানে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন। কিয়েভে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইউক্রেন কিংবা ইউরোপ নয়, বরং রাশিয়ার সঙ্গেই আলোচনার টেবিলে বসতে বেশি আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না রাশিয়াও। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই। আলোচনার জন্য তাদের আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ফলে বিশ্বনেতাদের এমন পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপজুড়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এমন পরিস্থিতে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়া ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান‍্যুয়েল ম‍্যাখোঁ। সোমবার তার আমন্ত্রণে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে প্যারিসে জরুরি বৈঠকে যোগ দেন ইউরোপীয় নেতারা। শুধু তাই নয়, বৈঠক শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন ম্যানখোঁ। প্রায় বিশ মিনিট ধরে চলা সেই ফোনালাপেও প্রধান্য পায় রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু।

প্যারিসের জরুরি সেই বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্ক ছাড়াও বাল্টিক এবং নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব ছিল বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে ইউক্রেনের সার্বিক পরিস্থিতি উঠে আসে। আলোচনা শেষে ইউক্রেন ও ইউরোপকে বাদ দিয়ে শান্তি চুক্তি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকানিদের বৈঠকের সমালোচনা করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সহ অন্যান্য নেতারা।

এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য পাঠাতে যুক্তরাজ্য রাজি আছে এবং তাদের সেই প্রস্তুতিও আছে। ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। ফলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, ব্রেক্সিটের পর যে তিক্ততা দেখা গিয়েছিল, সেটা ভুলে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আরও একবার সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিতে পারে এই ইউক্রেন ইস্যু। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় ইউরোপকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি হয়তো এখনও পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেন না ইউরোপীয় নেতারা। চাপের মুখে থাকা ইউরোপ নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে সরিয়ে রেখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয় ও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ফ্রন্ট গঠন করতে পারবে কিনা সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। সূত্র : বাংলাভিশন।