যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বাতিল হওয়ায় ভারতে ট্রান্সজেন্ডারদের ৩ ক্লিনিক বন্ধ

- প্রকাশের সময় : ০৩:১০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ৪৮ বার পঠিত
সবরকম আন্তর্জাতিক অনুদান বাতিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর বন্ধ হয়েছে ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার ক্লিনিক। গত মাসেই হায়দারাবাদে ওই ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার ক্লিনিক গড়ে ওঠে হায়দরাবাদে। তার নাম মিত্র ক্লিনিক। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চিকিৎসাসহ নানা পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই ক্লিনিক খোলা হয়েছিল। সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি এইচআইভির কাউন্সেলিং, স্ক্রিনিং, চিকিৎসা করা হতো এই সব ক্লিনিকে।
এছাড়া, এইচআইভি আক্রান্তদের সামাজিক এবং আইনি সাহায্যও করা হতো এই সব ক্লিনিকের মাধ্যমে। ট্রান্সজেন্ডাররাও সেসব ক্লিনিকে কাজ করতেন। হায়দরাবাদে মিত্র ক্লিনিকের সাফল্য দেখে পুনে এবং কল্যাণে আরও ২টি ক্লিনিক খোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধের কারণে তিনটি ক্লিনিকই এখন বন্ধ। এতদিন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা মানবিক কাজের জন্য অনুদান দিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ৯০ দিনের জন্য এই অনুদান স্থগিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার প্রভাব পড়েছে ভারতেও।
মিত্র ক্লিনিকের সঙ্গে জড়িত ট্রান্স হেলথ এক্সপার্ট রচনা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানুয়ারি মাসের একেবারে শেষে অনুদান বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে ক্লিনিক। হায়দরাবাদের মিত্র ক্লিনিকে ৭ জন কাজ করতেন। তারা ১৫০ থেকে ২০০ জন এলজিবিটিকিউআইএ-র সদস্যদের প্রতি মাসে পরিষেবা দিয়ে থাকেন। হঠাৎ করে এই সব ক্লিনিক বন্ধের জেরে ওই সব ট্রান্সজেন্ডাররা তো কাজ হারালেনই, পাশাপাশি পরিষেবা নিতে যারা ক্লিনিকে আসছিলেন তাদেরও সমস্যা বেড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই এইচআইভি পজিটিভ। ক্লিনিক বন্ধের জেরে তাদের চিকিৎসা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে।২০২৪ সালের জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, হায়দরাবাদের দেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার ক্লিনিকে নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ৪ হাজার ৯০০ জন। এরমধ্যে ৬ শতাংশ ছিলেন এইচআইভি পজিটিভ।