প্রতি লিটার বোতলজাত পানিতে মিলল ২.৪ লাখ প্লাস্টিকের টুকরো
- প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৮৭ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : বোতলজাত পানি কমবেশি সবাই খেয়ে থাকে। আর সেই জল নিয়ে সামনে এল ভয়ংকর তথ্য। কারণ, একটি নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গড়ে এক লিটার বোতলজাত পানিতে প্রায় ২.৪ লাখ প্লাস্টিকের টুকরো থাকতে পারে।
আমেরিকায় বিক্রি হওয়া তিনটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বোতলজাত পানি পরীক্ষা করেন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। সেখানে প্লাস্টিকের কণা ১০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই গবেষণায় তারা প্রতি লিটারে প্রায় ১.১-৩.৭ লাখ প্লাস্টিকের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ন্যানোপ্লাস্টিক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। গবেষণাটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মাটি, পানি, খাদ্য এমনকি মেরু বরফের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি হয় যখন বড় প্লাস্টিক ধীরে ধীরে ছোটো ছোটো টুকরোতে ভেঙে যায়। এই প্লাস্টিকগুলো মানুষ এবং অন্য প্রাণীর মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য এবং বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। গবেষকরা আর একটি প্লাস্টিক খুঁজে পেয়েছেন, যার নাম পলিমাইড। এতে এক ধরনের নাইলন, পলিমাইড পাওয়া গেছে পিইটি থেকে বেশি পরিমাণে।
নাইলন প্লাস্টিকের ফাইবার দিয়ে তৈরি হতে পারে, যা বোতলজাত করার আগে পানিকে বিশুদ্ধ করে। এর মধ্যে অন্য সাধারণ প্লাস্টিকগুলো খুঁজে পাওয়া যায় তা হলো— পলিস্টাইরিন, পলিভিনাইল ক্লোরাইড এবং পলিমিথাইল মেথাক্রাইলেট। এ সব বিভিন্ন শিল্পের কাজে ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, গবেষকরা যে সাতটি প্লাস্টিকের ধরন আবিষ্কার করেছেন, তা বোতলজাত পানির নমুনাগুলোতে পাওয়া সমস্ত ন্যানো পার্টিকেলের প্রায় ১০ শতাংশ তৈরি করেছে।
গবেষকরা জানান, বাকিগুলো কী তা তারা জানেন না। তবে যে ফলাফল মিলেছে তা থেকে পরিষ্কার যে, এটি আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ জলের নমুনার ভেতরে জটিল কণার গঠন নির্দেশ করে। অধ্যয়নের জন্য, গবেষকরা রমন স্ক্যাটারিং মাইক্রোস্কোপি নামে একটি কৌশল তৈরি করেছিলেন, যা নির্দিষ্ট অণুগুলোকে অনুরণিত করতে একই সঙ্গে দুটি লেজারের নমুনাগুলো পরীক্ষা করে। তারপরে তারা ডেটা বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করার জন্য অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছিল। দলটি এখন বোতলজাত পানি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট
হককথা/নাছরিন