নিউইয়র্ক ০১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১২ বছর আগের নগ্ন ছবি ভাইরাল, নিউইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে নারী কর্মকর্তার মামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৪ বার পঠিত

এক যুগ আগে সহকর্মী ও সাবেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে শেয়ার করা বেশ কিছু নগ্ন ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ওই বয়ফ্রেন্ড তাঁর সহকর্মীদের মাঝে ছবিগুলো শেয়ার করার পর তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিসা বাজরাকতারেভিচ দাবি করেছেন, তাঁর ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টে করা মামলায় ৩৪ বছর বয়সী এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ছবিগুলো তিনি ১২ বছর আগে লেফটেন্যান্ট মার্ক রিভেরাকে পাঠিয়েছিলেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা ২০১২ সালে বাহিনীতে যোগ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, আলিসা এবং লেফটেন্যান্ট রিভেরা ২০১২ সালে কয়েক মাস সম্পর্কে ছিলেন। লেফটেন্যান্ট রিভেরা তাঁর সহকর্মীদের একটি গ্রুপ টেক্সটে আলিসার টপলেস ছবি শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। আলিসা আরও অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইউনিয়নের নেতারা তাঁকে এই ঘটনায় অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।আলিসা বলেন, ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধিকে তাঁকে বলেছিলেন—আপনিই প্রথম বা শেষ নারী নন যার সঙ্গে এটি ঘটেছে বা ঘটবে!

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিগুলো প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত বছরের এপ্রিল মাসে। আলিসা তাঁর তখনকার প্রেমিক কেলভিন হার্নান্দেজকে নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় অফিসারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা ব্রঙ্কসে তাঁর গাড়ি আটকেছিলেন। আলিসা ও তাঁর ৩৩ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। আলিসা জোর দিয়ে বলেন, তাঁর প্রেমিক মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন।

ওই সময় হার্নান্দেজ নিজের গ্রেপ্তার ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ বিভাগীয় মামলা চলমান। এই কথিত মাদক ব্যবসায়ী প্রেমিকের গাড়ি আটকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে আলিসাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আলিসা বলেছেন, তাঁর টপলেস ছবিগুলো নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গ্রুপ চ্যাট এবং টেক্সট মেসেজ চেইনে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে তাঁর বাবা–মার ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে কথোপকথনে আলিসা বলেছেন, ‘এটা খুব ঘৃণ্য কাজ। ১২ বছর ধরে তারা তাদের ফোনে এগুলো রেখেছে। এরপর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এটা গুন্ডামি। আমিই প্রথম নই এবং আমি অবশ্যই শেষ নই কিন্তু, কখন এটি থামবে? কেউ নিশ্চিতভাবে এটির জন্য নিজের ক্ষতি করতে চলেছে।’

যারা তাঁর সম্মতি ছাড়াই ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আলিসা। তিনি বলেন, এই কাজ আইন বিরুদ্ধ। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, তারা কোনো প্রকারের বৈষম্য বা যৌন হয়রানি সহ্য করে না। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

১২ বছর আগের নগ্ন ছবি ভাইরাল, নিউইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে নারী কর্মকর্তার মামলা

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

এক যুগ আগে সহকর্মী ও সাবেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে শেয়ার করা বেশ কিছু নগ্ন ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ওই বয়ফ্রেন্ড তাঁর সহকর্মীদের মাঝে ছবিগুলো শেয়ার করার পর তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিসা বাজরাকতারেভিচ দাবি করেছেন, তাঁর ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টে করা মামলায় ৩৪ বছর বয়সী এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ছবিগুলো তিনি ১২ বছর আগে লেফটেন্যান্ট মার্ক রিভেরাকে পাঠিয়েছিলেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা ২০১২ সালে বাহিনীতে যোগ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, আলিসা এবং লেফটেন্যান্ট রিভেরা ২০১২ সালে কয়েক মাস সম্পর্কে ছিলেন। লেফটেন্যান্ট রিভেরা তাঁর সহকর্মীদের একটি গ্রুপ টেক্সটে আলিসার টপলেস ছবি শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। আলিসা আরও অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইউনিয়নের নেতারা তাঁকে এই ঘটনায় অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।আলিসা বলেন, ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধিকে তাঁকে বলেছিলেন—আপনিই প্রথম বা শেষ নারী নন যার সঙ্গে এটি ঘটেছে বা ঘটবে!

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিগুলো প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত বছরের এপ্রিল মাসে। আলিসা তাঁর তখনকার প্রেমিক কেলভিন হার্নান্দেজকে নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় অফিসারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা ব্রঙ্কসে তাঁর গাড়ি আটকেছিলেন। আলিসা ও তাঁর ৩৩ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। আলিসা জোর দিয়ে বলেন, তাঁর প্রেমিক মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন।

ওই সময় হার্নান্দেজ নিজের গ্রেপ্তার ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ বিভাগীয় মামলা চলমান। এই কথিত মাদক ব্যবসায়ী প্রেমিকের গাড়ি আটকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে আলিসাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আলিসা বলেছেন, তাঁর টপলেস ছবিগুলো নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গ্রুপ চ্যাট এবং টেক্সট মেসেজ চেইনে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে তাঁর বাবা–মার ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে কথোপকথনে আলিসা বলেছেন, ‘এটা খুব ঘৃণ্য কাজ। ১২ বছর ধরে তারা তাদের ফোনে এগুলো রেখেছে। এরপর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এটা গুন্ডামি। আমিই প্রথম নই এবং আমি অবশ্যই শেষ নই কিন্তু, কখন এটি থামবে? কেউ নিশ্চিতভাবে এটির জন্য নিজের ক্ষতি করতে চলেছে।’

যারা তাঁর সম্মতি ছাড়াই ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আলিসা। তিনি বলেন, এই কাজ আইন বিরুদ্ধ। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, তারা কোনো প্রকারের বৈষম্য বা যৌন হয়রানি সহ্য করে না। সূত্র : আজকের পত্রিকা।