নিউইয়র্ক ০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৫ হাজার থেকে মৃত্যু ৬৪ হাজারে, সনাক্ত ২ লাখ থেকে ১১ লাখ, টেস্ট সম্পন্ন হলো ৬৪ লাখ মানুষের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
  • / ১২৩ বার পঠিত

এমদাদ চৌধুরী দীপু: মহাকালে হারিয়ে গেলো এপ্রিল মাস। শংকা, ভয়, আশা-হতাশার এই মাস যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে কাঁদিয়েছে। ইতিহাসে ২০২০ সালের এই মাস স্বজন হারানোর মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। গেলো এপ্রিলর শোকের চাদরে মোড়ানো এক ভীতিকর মাস। বৈশ্বিক মহামারী করোনা বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রকে টার্গেট করলো কেন সে রহস্য উদঘাটনের জন্য আজো প্রতিদিন নানা আলোচনা এবং বিশ্লেষন চলছে বিশ্বজুড়ে।
স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় ২শতাধিক বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর মাসজুড়ে শিরোনাম হয়েছে পত্রিকার পাতায়। এপ্রিল মাসের শুরুতে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ হারানোর আশংকার খবর, রাষ্ট্রের মৃত্যু বেগ প্রস্তুত রাখার খবর পড়ে চোখ ভিজেছে লোনা জলে। গণকবরের খবর হীম আতংক ছড়িয়েছে নগর থেকে নগরে, জনপদ থেকে জনপদে। আততায়ীর আতংকে মানুষ মাস পার করেছেন প্রার্থনায়। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য কামনায়। মাসের শুরুতে যেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল ৫ হাজারের, মাস শেষে সে মৃত্যুএখন ৬৪ হাজারে।
ভাবা যায় বিশ্বের শীর্ষ এই দেশ বিস্ময় সৃষ্টি করছে মৃত্যুতে। বিস্ময়ের পর বিস্ময় সব কিছুতে। বৃহৎ এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে অদৃশ্য এক শত্রæর শব্দহীন আক্রমন। একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করা সব শিরোনাম: করোনায় বিশ্বে সর্বোচ্চ সনাক্ত, সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত (৬ মিলিয়নের উপরে) ৬৪ লাখ মানুষের কোভিড-১৯ পজেটিভ/নেগেটিভ টেস্ট সম্পন্ন করার মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রায় ১১ লাখ করোনা শনাক্ত হওয়া মানুষের দেশ। এই সংখ্যা পুরো বিশ্বে সনাক্ত সংখ্যার এক তুতীয়াংশ। এপ্রিল মাসের শুরুতে ২ লাখ ১৫ হাজার ছিল সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা। এই দেশের অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্ক এখন পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে করোনা সনাক্ত বিচেনায়। এখন নিউইয়র্কে সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজারের উপরে। মাসের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল এক লাখের অনেক নীচে প্রায় ৮৪ হাজার। একমাসে নিউইয়র্কে সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ২লাখ। মাসের শুরুতে মৃত্যু ছিল ২২১৯ জন, এপ্রিল মাসের শেষদিনে সেটি দাঁড়িয়েছে ২৩,৭৮০জন। একমাসে ২০ হাজার মানুষের প্রাণকেড়েছে করোনা মহামারী।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে শিশুদের শেখানো হয়:’দিস ইজ ওকে ইউ নট এ্যাবল, বাট দিজ ইজ নট ওকে ইউ নট ট্রাই”। এই বাণীতে দীক্ষিত আমেরিকাবাসীর চেষ্টায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন এক লাখ ৫২ হাজার মানুষ। সুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখ থেকে যারা ফিরে এসেছেন তারা বলছেন আমরা কিয়ামত দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ফিরে আসা রোগীরা দিয়েছেন চিকিৎসক, নার্সদের আন্তরিক সেবা এবং জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টার বর্ননা। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা অবহেলা, কিংবা অব্যবস্থাপনার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এক অদৃশ্য শত্রæ। এই রোগ সৃষ্টি করেছে ভয়, আবেগ, আর্তনাদ, আহাজারী সারা বিশ্বময়। এই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেডে কর্মরত কর্মী, সাংবাদিক, সম্মূখসারীতে কাজকরা বীরদের প্রাণ কেড়েছে। হারিয়ে গেছেন কমিউনিটির শীর্ষ অনেক নেতা, ক্রীড়াবিদ, এমটিএ কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন। করোনা কাউকে করেছে পিতা-মাতা হারা, কাউকে করেছে স্বামীহারা। কেউ কেউ স্ত্রী হারিয়েছেন, আছে পিতৃবিয়োগ, মাতৃবিয়োগ এর অসংখ্য গল্প। এই মহামারীতে হতাশাগ্রস্থ প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন বৃহৎ কমিউনিটি সংগঠন ফলে জানাজা, দাফনসহ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় বিদায় জানানো হয়েছে প্রিয়জনকে যারা করোনায় জীবন দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে টেস্টিংকে গুরুত্ব দেয়ার কারনে ৩০ এপ্রিল নতুন করে সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার। মোট সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা ১০ লাখ ৯৫ হাজার এর উপরে। মোট মৃত্যু ৬৩,৮৬১ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২২০৫জন। নিউইয়র্কে মোট সনাক্ত রোগী প্রায় ৩ লাখ ১১ হাজার জন। মৃত্যু ২৩৭৮০ জন, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৩০৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
এই মে মাসেই নিউইয়র্কসহ অন্যান্য বড় বড় রাজ্যে লকডাউন তুলে নেয়া হবে এমন প্রত্যাশা ও প্রার্থনা বাংলাদেশীসহ যুক্তরাষ্ট্রের সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি, গোষ্ঠীর মানুষের।
নিউইয়র্ক সময় পহেলা মে’র প্রথম প্রহরে একদিনে সুস্থ হওয়া এবং সনাক্ত হওয়ার মধ্যে আবার বিরাট ফারাক। মৃত্যু আবার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি মাঝে মাস শুরু হয়েছে।
এসব তথ্য বৈশ্বিক তথ্য বাতায়ন ওয়ার্ল্ডোমেটার থেকে পাওয়া গেছে। এই ওয়েবপেইজে ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন করে ৬ জনের মারা যাওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রাজ্যগুলোর চিত্র হচ্ছে: নিউজার্সীতে সনাক্ত এক লাখ ১৮ হাজার এর উপরে, মৃত্যু ৭,২২৮ জন, সুস্থ মাত্র ১৫শ। টেস্ট করা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজারের। ম্যসাচুয়েটস অঙ্গরাজ্য যেখানে সনাক্ত রোগী প্রায় ৬২ হাজার, মারা গেছেন ৩,৫৬২জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার, টেস্ট করা হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজারের। মিশিগানে মারা গেছেন ৩,৭৮৯ জন, এ যাবত সনাক্ত ৪১ হাজারের উপরে, এই রাজ্যে সুস্থতা ৭ হাজার জনের। টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজারের। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে মৃত্যু ২,৩৫৫ জনের, সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার, সুস্থতার তথ্য নেই।
৫০ হাজারের উপরে সনাক্ত রোগী এখন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে, মৃত্যু ২,০২৯ জনের, সুস্থ ৪ হাজার জনের, টেস্ট করা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষের শরীরে। পেনসেলভেনিয়ায় সনাক্ত প্রায় ৪৮ হাজার, মারা গেছেন ২,৫৪১ জন, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ হাজার, টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার জনের মধ্যে। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

৫ হাজার থেকে মৃত্যু ৬৪ হাজারে, সনাক্ত ২ লাখ থেকে ১১ লাখ, টেস্ট সম্পন্ন হলো ৬৪ লাখ মানুষের

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

এমদাদ চৌধুরী দীপু: মহাকালে হারিয়ে গেলো এপ্রিল মাস। শংকা, ভয়, আশা-হতাশার এই মাস যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে কাঁদিয়েছে। ইতিহাসে ২০২০ সালের এই মাস স্বজন হারানোর মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। গেলো এপ্রিলর শোকের চাদরে মোড়ানো এক ভীতিকর মাস। বৈশ্বিক মহামারী করোনা বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রকে টার্গেট করলো কেন সে রহস্য উদঘাটনের জন্য আজো প্রতিদিন নানা আলোচনা এবং বিশ্লেষন চলছে বিশ্বজুড়ে।
স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় ২শতাধিক বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর মাসজুড়ে শিরোনাম হয়েছে পত্রিকার পাতায়। এপ্রিল মাসের শুরুতে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ হারানোর আশংকার খবর, রাষ্ট্রের মৃত্যু বেগ প্রস্তুত রাখার খবর পড়ে চোখ ভিজেছে লোনা জলে। গণকবরের খবর হীম আতংক ছড়িয়েছে নগর থেকে নগরে, জনপদ থেকে জনপদে। আততায়ীর আতংকে মানুষ মাস পার করেছেন প্রার্থনায়। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য কামনায়। মাসের শুরুতে যেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল ৫ হাজারের, মাস শেষে সে মৃত্যুএখন ৬৪ হাজারে।
ভাবা যায় বিশ্বের শীর্ষ এই দেশ বিস্ময় সৃষ্টি করছে মৃত্যুতে। বিস্ময়ের পর বিস্ময় সব কিছুতে। বৃহৎ এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে অদৃশ্য এক শত্রæর শব্দহীন আক্রমন। একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করা সব শিরোনাম: করোনায় বিশ্বে সর্বোচ্চ সনাক্ত, সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত (৬ মিলিয়নের উপরে) ৬৪ লাখ মানুষের কোভিড-১৯ পজেটিভ/নেগেটিভ টেস্ট সম্পন্ন করার মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রায় ১১ লাখ করোনা শনাক্ত হওয়া মানুষের দেশ। এই সংখ্যা পুরো বিশ্বে সনাক্ত সংখ্যার এক তুতীয়াংশ। এপ্রিল মাসের শুরুতে ২ লাখ ১৫ হাজার ছিল সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা। এই দেশের অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্ক এখন পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে করোনা সনাক্ত বিচেনায়। এখন নিউইয়র্কে সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজারের উপরে। মাসের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল এক লাখের অনেক নীচে প্রায় ৮৪ হাজার। একমাসে নিউইয়র্কে সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ২লাখ। মাসের শুরুতে মৃত্যু ছিল ২২১৯ জন, এপ্রিল মাসের শেষদিনে সেটি দাঁড়িয়েছে ২৩,৭৮০জন। একমাসে ২০ হাজার মানুষের প্রাণকেড়েছে করোনা মহামারী।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে শিশুদের শেখানো হয়:’দিস ইজ ওকে ইউ নট এ্যাবল, বাট দিজ ইজ নট ওকে ইউ নট ট্রাই”। এই বাণীতে দীক্ষিত আমেরিকাবাসীর চেষ্টায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন এক লাখ ৫২ হাজার মানুষ। সুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখ থেকে যারা ফিরে এসেছেন তারা বলছেন আমরা কিয়ামত দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ফিরে আসা রোগীরা দিয়েছেন চিকিৎসক, নার্সদের আন্তরিক সেবা এবং জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টার বর্ননা। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা অবহেলা, কিংবা অব্যবস্থাপনার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এক অদৃশ্য শত্রæ। এই রোগ সৃষ্টি করেছে ভয়, আবেগ, আর্তনাদ, আহাজারী সারা বিশ্বময়। এই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেডে কর্মরত কর্মী, সাংবাদিক, সম্মূখসারীতে কাজকরা বীরদের প্রাণ কেড়েছে। হারিয়ে গেছেন কমিউনিটির শীর্ষ অনেক নেতা, ক্রীড়াবিদ, এমটিএ কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন। করোনা কাউকে করেছে পিতা-মাতা হারা, কাউকে করেছে স্বামীহারা। কেউ কেউ স্ত্রী হারিয়েছেন, আছে পিতৃবিয়োগ, মাতৃবিয়োগ এর অসংখ্য গল্প। এই মহামারীতে হতাশাগ্রস্থ প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন বৃহৎ কমিউনিটি সংগঠন ফলে জানাজা, দাফনসহ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় বিদায় জানানো হয়েছে প্রিয়জনকে যারা করোনায় জীবন দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে টেস্টিংকে গুরুত্ব দেয়ার কারনে ৩০ এপ্রিল নতুন করে সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার। মোট সনাক্ত হওয়ার সংখ্যা ১০ লাখ ৯৫ হাজার এর উপরে। মোট মৃত্যু ৬৩,৮৬১ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২২০৫জন। নিউইয়র্কে মোট সনাক্ত রোগী প্রায় ৩ লাখ ১১ হাজার জন। মৃত্যু ২৩৭৮০ জন, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৩০৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
এই মে মাসেই নিউইয়র্কসহ অন্যান্য বড় বড় রাজ্যে লকডাউন তুলে নেয়া হবে এমন প্রত্যাশা ও প্রার্থনা বাংলাদেশীসহ যুক্তরাষ্ট্রের সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি, গোষ্ঠীর মানুষের।
নিউইয়র্ক সময় পহেলা মে’র প্রথম প্রহরে একদিনে সুস্থ হওয়া এবং সনাক্ত হওয়ার মধ্যে আবার বিরাট ফারাক। মৃত্যু আবার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি মাঝে মাস শুরু হয়েছে।
এসব তথ্য বৈশ্বিক তথ্য বাতায়ন ওয়ার্ল্ডোমেটার থেকে পাওয়া গেছে। এই ওয়েবপেইজে ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন করে ৬ জনের মারা যাওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রাজ্যগুলোর চিত্র হচ্ছে: নিউজার্সীতে সনাক্ত এক লাখ ১৮ হাজার এর উপরে, মৃত্যু ৭,২২৮ জন, সুস্থ মাত্র ১৫শ। টেস্ট করা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজারের। ম্যসাচুয়েটস অঙ্গরাজ্য যেখানে সনাক্ত রোগী প্রায় ৬২ হাজার, মারা গেছেন ৩,৫৬২জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার, টেস্ট করা হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজারের। মিশিগানে মারা গেছেন ৩,৭৮৯ জন, এ যাবত সনাক্ত ৪১ হাজারের উপরে, এই রাজ্যে সুস্থতা ৭ হাজার জনের। টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজারের। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে মৃত্যু ২,৩৫৫ জনের, সনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার, সুস্থতার তথ্য নেই।
৫০ হাজারের উপরে সনাক্ত রোগী এখন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে, মৃত্যু ২,০২৯ জনের, সুস্থ ৪ হাজার জনের, টেস্ট করা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষের শরীরে। পেনসেলভেনিয়ায় সনাক্ত প্রায় ৪৮ হাজার, মারা গেছেন ২,৫৪১ জন, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ হাজার, টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার জনের মধ্যে। (বাংলা পত্রিকা)