নিউইয়র্ক ০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪ ধনকুবেরের ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার লোকসান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২০ বার পঠিত

চলতি বছরে শেয়ার বাজারে ধসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চার টেক মোগল মোট ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার লোকসানের শিকার হয়েছে। একসময় তাদের কোম্পানিগুলো উত্তাপ ছড়ালেও এখন শৈত্যপ্রবাহের শিকার হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি পতনের শিকার হয়েছেন টেসলা ও টুইটারের সব এলন মাস্ক। তার লোকসানের পরিমাণ ১৩২ বিলিয়ন ডলার। আর এ কারণে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মর্যাদা খুইয়েছেন।
মাস্কের মহাকাশ প্রতিদ্বন্দ্বী জেফ বেজোসের লোকসান হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পদ কমেছে ৮১ বিলিয়ন ডলার।
তাদের লোকসানের পরিমাণ গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন (৪৪.৬ বিলিয়ন ডলার) ও ল্যারি পেজের (৪৩.৪ বিলিয়ন ডলার) প্রায় দ্বিগুণ।

মাইক্রেসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদ কমেছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। আর কোম্পানির সাবেক সিইও স্টিফ ব্যালমারের ক্ষতি হয়েছে ২০.২ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০৪ বিলিয়ন ডলার। তা কমে মঙ্গলবার হয়েছে ১৩৯ বিলিয়ন ডলার। মাস্কের বেশির ভাগ সম্পদের উৎস হলো টেসলা স্টক। টেক-হেভি নাসদাকের তালিকায় থাকা অন্যান্য ব্লু-চিফ প্রতিষ্ঠানের সাথে তারটিও দ্রুত পতনের মুখে পড়ে।

গত ৩ জানুয়ারি টেসলার স্টকের দাম ছিল প্রতি শেয়ার ৪০০ ডলার। তারপর থেকে এর দাম প্রায় ৭০ ভাগ কমে গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতি শেয়ার বিক্রি হচ্ছিল ১১৩ ডলার করে। শুক্রবার থেকে তা ৮ ভাগ কম।

আর মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিনে বেশি সময় দিতে গত বছর অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব ত্যাগকারী বেজোস মঙ্গলবার পঞ্চম ধনীতম ব্যক্তিতে নেমে গেছেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১০৮ বিলিয়ন ডলার। খারাপ নয়। তবে গত বছরে তা ছিল ২১৪ বিলিয়ন ডলার।

অ্যামাজনের ১০ ভাগ শেয়ারের মালিক ৫৮ বছর বয়স্ক বেজোস। গত বছর এই অনলাইন রিটেইল জায়ান্টের শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ১৮৩ ডলার। তা মঙ্গলবার কমে হয়ে গেছে ৮৩ ডলারে।
ফেসবুকের জাকারবার্গ একসময় শীর্ষ সাত ধনীর অন্যতম ছিলেন। বর্তমানে তালিকায় তার স্থান ২৫তম। মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী তার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪৪.৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত বছর তার ব্যক্তিগত সম্পদ ছিল ১৪০ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের শুরুতেই তার সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পায় ৬৫ ভাগ। মঙ্গলবার তার প্রতিশেয়ার বিক্রি হয় ১১৭ ডলারে। মেটাভার্সে বিপুল বিনিয়োগ করতে গিয়ে তিনি লোকসানের শিকার হয়েছেন।
বিল গেটস বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি। মঙ্গলবার তার নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০৯ বিলিয়ন ডলার।
জনহিতৈষী কাজে নিবেদিতপ্রাণ গেটসের সম্পদের প্রধান উৎস মাইক্রোসফট স্টক। তিনিও চলতি বছর ৩০ ভাগ সম্পদ খুইয়েছেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪ ধনকুবেরের ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার লোকসান

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি বছরে শেয়ার বাজারে ধসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চার টেক মোগল মোট ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার লোকসানের শিকার হয়েছে। একসময় তাদের কোম্পানিগুলো উত্তাপ ছড়ালেও এখন শৈত্যপ্রবাহের শিকার হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি পতনের শিকার হয়েছেন টেসলা ও টুইটারের সব এলন মাস্ক। তার লোকসানের পরিমাণ ১৩২ বিলিয়ন ডলার। আর এ কারণে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মর্যাদা খুইয়েছেন।
মাস্কের মহাকাশ প্রতিদ্বন্দ্বী জেফ বেজোসের লোকসান হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পদ কমেছে ৮১ বিলিয়ন ডলার।
তাদের লোকসানের পরিমাণ গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন (৪৪.৬ বিলিয়ন ডলার) ও ল্যারি পেজের (৪৩.৪ বিলিয়ন ডলার) প্রায় দ্বিগুণ।

মাইক্রেসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদ কমেছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। আর কোম্পানির সাবেক সিইও স্টিফ ব্যালমারের ক্ষতি হয়েছে ২০.২ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০৪ বিলিয়ন ডলার। তা কমে মঙ্গলবার হয়েছে ১৩৯ বিলিয়ন ডলার। মাস্কের বেশির ভাগ সম্পদের উৎস হলো টেসলা স্টক। টেক-হেভি নাসদাকের তালিকায় থাকা অন্যান্য ব্লু-চিফ প্রতিষ্ঠানের সাথে তারটিও দ্রুত পতনের মুখে পড়ে।

গত ৩ জানুয়ারি টেসলার স্টকের দাম ছিল প্রতি শেয়ার ৪০০ ডলার। তারপর থেকে এর দাম প্রায় ৭০ ভাগ কমে গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতি শেয়ার বিক্রি হচ্ছিল ১১৩ ডলার করে। শুক্রবার থেকে তা ৮ ভাগ কম।

আর মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিনে বেশি সময় দিতে গত বছর অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব ত্যাগকারী বেজোস মঙ্গলবার পঞ্চম ধনীতম ব্যক্তিতে নেমে গেছেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১০৮ বিলিয়ন ডলার। খারাপ নয়। তবে গত বছরে তা ছিল ২১৪ বিলিয়ন ডলার।

অ্যামাজনের ১০ ভাগ শেয়ারের মালিক ৫৮ বছর বয়স্ক বেজোস। গত বছর এই অনলাইন রিটেইল জায়ান্টের শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ১৮৩ ডলার। তা মঙ্গলবার কমে হয়ে গেছে ৮৩ ডলারে।
ফেসবুকের জাকারবার্গ একসময় শীর্ষ সাত ধনীর অন্যতম ছিলেন। বর্তমানে তালিকায় তার স্থান ২৫তম। মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী তার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪৪.৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত বছর তার ব্যক্তিগত সম্পদ ছিল ১৪০ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের শুরুতেই তার সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পায় ৬৫ ভাগ। মঙ্গলবার তার প্রতিশেয়ার বিক্রি হয় ১১৭ ডলারে। মেটাভার্সে বিপুল বিনিয়োগ করতে গিয়ে তিনি লোকসানের শিকার হয়েছেন।
বিল গেটস বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি। মঙ্গলবার তার নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০৯ বিলিয়ন ডলার।
জনহিতৈষী কাজে নিবেদিতপ্রাণ গেটসের সম্পদের প্রধান উৎস মাইক্রোসফট স্টক। তিনিও চলতি বছর ৩০ ভাগ সম্পদ খুইয়েছেন।