নিউইয়র্ক ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হোয়াইট হাউজের ঈদ অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মুসলিম মেয়র !

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৮৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসের শেষ এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে গত সোমবার (১ মে) হোয়াইট হাউজে এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অথচ মুসলিমদের জন্য আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না দেশটির এক মুসলিম মেয়রই।

বার্তা সংস্থা এপি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হোয়াইট হাউজে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে নিউ জার্সির প্রসপেক্ট পার্কের মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহকে ফোন করে জানানো হয়, তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। ফলে তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। অনুষ্ঠানটিতে কয়েকশ অতিথির সামনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাইডেন।

সিরীয় বংশোদ্ভূত খায়রুল্লাহ জানান, সিক্রেট সার্ভিস তাকে কেন হোয়াইট হাউজে ঢোকার অনুমতি দেয়নি, তা জানানো হয়নি। ঈদের অনুষ্ঠানে যোগদানে বাধা পাওয়ার বিষয়টি আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের নিউ জার্সি কাউন্সিলকে জানিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এ মুসলিম নেতা।

সংগঠনটি এফবিআইয়ের তথাকথিত ‘টেররিস্ট স্ক্রিনিং ডেটা সেট’-এর তথ্য প্রচার বন্ধ করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি খায়রুল্লাহকে জানিয়েছে, তার নাম ও জন্মতারিখসহ এক ব্যক্তি এফবিআই’র ওই ডেটা সেটে ছিলেন, যা তাদের অ্যাটর্নিরা ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন।

খায়রুল্লাহর জন্ম সিরিয়ায়। ১৯৮০র দশকের গোড়ার দিকে হাফেজ আল-আসাদের সরকারের দমন-পীড়নে তার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। পরিবারটি সৌদি আরবে পালিয়ে যায়। ১৯৯১ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পৌঁছান। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস করছেন।

২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ এবং ২০০১ সালে প্রথমবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও প্রায় ১৪ বছর স্বেচ্ছাসেবী অগ্নিনির্বাপক হিসেবে কাজ করেছেন।খায়রুল্লাহ সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি এবং ওয়াতান ফাউন্ডেশনের মানবিক কাজে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও সিরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন।

ক্ষমতায় থাকতে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিত করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপের অন্যতম কঠোর সমালোচক ছিলেন মেয়র খায়রুল্লাহ।হোয়াইট হাউজের ঈদ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটি আমাকে বিস্মিত, হতবাক ও হতাশ করেছে।টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খায়রুল্লাহ বলেন, অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি, তার জন্য নয়। কেন যাইনি সেটাই বিষয়। এটি একটি তালিকা যা কেবল পরিচয়ের কারণে আমাকে নিশানা বানিয়েছে। আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কার্যালয়ে এ ধরনের প্রোফাইলিং থাকা উচিত নয়।

সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি নিশ্চিত করেছেন, খায়রুল্লাহকে হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে কেন, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হোয়াইট হাউজের ঈদ অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মুসলিম মেয়র !

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

হককথা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসের শেষ এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে গত সোমবার (১ মে) হোয়াইট হাউজে এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অথচ মুসলিমদের জন্য আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না দেশটির এক মুসলিম মেয়রই।

বার্তা সংস্থা এপি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হোয়াইট হাউজে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে নিউ জার্সির প্রসপেক্ট পার্কের মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহকে ফোন করে জানানো হয়, তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। ফলে তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। অনুষ্ঠানটিতে কয়েকশ অতিথির সামনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাইডেন।

সিরীয় বংশোদ্ভূত খায়রুল্লাহ জানান, সিক্রেট সার্ভিস তাকে কেন হোয়াইট হাউজে ঢোকার অনুমতি দেয়নি, তা জানানো হয়নি। ঈদের অনুষ্ঠানে যোগদানে বাধা পাওয়ার বিষয়টি আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের নিউ জার্সি কাউন্সিলকে জানিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এ মুসলিম নেতা।

সংগঠনটি এফবিআইয়ের তথাকথিত ‘টেররিস্ট স্ক্রিনিং ডেটা সেট’-এর তথ্য প্রচার বন্ধ করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি খায়রুল্লাহকে জানিয়েছে, তার নাম ও জন্মতারিখসহ এক ব্যক্তি এফবিআই’র ওই ডেটা সেটে ছিলেন, যা তাদের অ্যাটর্নিরা ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন।

খায়রুল্লাহর জন্ম সিরিয়ায়। ১৯৮০র দশকের গোড়ার দিকে হাফেজ আল-আসাদের সরকারের দমন-পীড়নে তার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। পরিবারটি সৌদি আরবে পালিয়ে যায়। ১৯৯১ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পৌঁছান। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস করছেন।

২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ এবং ২০০১ সালে প্রথমবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও প্রায় ১৪ বছর স্বেচ্ছাসেবী অগ্নিনির্বাপক হিসেবে কাজ করেছেন।খায়রুল্লাহ সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি এবং ওয়াতান ফাউন্ডেশনের মানবিক কাজে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও সিরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন।

ক্ষমতায় থাকতে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিত করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপের অন্যতম কঠোর সমালোচক ছিলেন মেয়র খায়রুল্লাহ।হোয়াইট হাউজের ঈদ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটি আমাকে বিস্মিত, হতবাক ও হতাশ করেছে।টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খায়রুল্লাহ বলেন, অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি, তার জন্য নয়। কেন যাইনি সেটাই বিষয়। এটি একটি তালিকা যা কেবল পরিচয়ের কারণে আমাকে নিশানা বানিয়েছে। আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কার্যালয়ে এ ধরনের প্রোফাইলিং থাকা উচিত নয়।

সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি নিশ্চিত করেছেন, খায়রুল্লাহকে হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে কেন, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।