সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু

- প্রকাশের সময় : ১২:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৭৬ বার পঠিত

WASHINGTON, DC - FEBRUARY 09: The U.S. Capitol is shown as members of the U.S. Senate listen to opening arguments from House impeachment managers and attorneys representing former U.S. President Donald Trump February 9, 2021 in Washington, DC. House impeachment managers opened their case against Trump in the trial's first day, culminating with a 56-44 vote on whether or not the trial could proceed on constitutional grounds. Win McNamee/Getty Images/AFP == FOR NEWSPAPERS, INTERNET, TELCOS & TELEVISION USE ONLY ==
হককথা ডেস্ক: সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার সাংবিধানিক বলে জানিয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। এতে গত মাসে ক্যাপিটল ভবনে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিচারের পূর্ণ কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন মিলেছে। কিন্তু তাকে দোষী সাব্যস্তকরণ যে কতটা কঠিন হবে; তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটররা। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি’র।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীদের দাবি, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তিনি আর বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন না। তারা এই বিচার কার্যক্রম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সিনেটে বিচার শুরু করার পক্ষে ৫৬-৪৪ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়েছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে যে সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের শুনানি অব্যাহত থাকবে। রিপাবলিকান দলের কয়েকজন সিনেট সদস্যও বিচারের পক্ষে সায় দিয়েছেন। নির্বাচনে জালিয়াতি করে বিজয় কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করে ক্যাপিটল ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে সমর্থকদের উৎসাহিত করেছেন ট্রাম্প। গত ৬ জানুয়ারীতে ট্রাম্পের সেই বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজের মন্তাজ প্রদর্শনের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ম্যারিল্যান্ডের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য জ্যামি রাসকিন বলেন, এটি বড় ধরনের অপরাধ ও অপকর্ম। এটি যদি অভিশংসনযোগ্য অপরাধ না হয়, তবে পরে আরও এমন ঘটনা ঘটবে। এই আবাসন ধনকুবেরের আইনজীবীরা বলেন, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে এই বিরূপ পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া সাংবিধানিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। ডেমোক্র্যাটদলীয় সদস্যরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করছেন বলে তারা দাবি করেন। তাদের ভাষায় এই বিচার ‘পলিটিক্যাল থিয়েটার’।
এদিকে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেন, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা পুরোপুরি অসাংবিধানিক এবং ডেমোক্র্যাটরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে এই চেষ্টা চালাচ্ছে। ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে দুই তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন হবে। ডেমোক্র্যাটদের সকলেই ইমপিচের পক্ষে ভোট দিলেও রিপাবলিকানদের ১৭ ভোট প্রয়োজন হবে। তবে এখন পর্যন্ত এটির সম্ভাবনা খুবই কম বলেই রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন।