নিউইয়র্ক ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

লটারিতে ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জেতার পর কোম্পানি বলছে ‘ভুল’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪ বার পঠিত

ইমেজ : সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসিতে লটারির ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জেতার পর লটারি প্রতিষ্ঠান বিজয়ী নম্বরটিকে ‘ভুল’ বলে দাবি করেছে। এতে বেজায় ক্ষেপেছেন লটারি বিজয়ী ওই সিটির বাসিন্দা জন চিকস। শেষমেষ তিনি শরণাপন্ন হয়েছেন আদালতের।

জন চিকস ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের যে জ্যাকপট জিতেছেন বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তার এই ভুল ধারণার কারণ হচ্ছে, গেমের ওয়েবসাইট ভুলবশত বিজয়ী সংমিশ্রণ হিসাবে তার নম্বরগুলো দেখানো হয়েছে।

২০২৩ সালের ছয় জানুয়ারি জন চিকস পাওয়ারবল লটারির টিকেট কিনেছিলেন। পরের দিন পাওয়ার বল ড্রয়িংয়ে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, দুই দিন পরে ডিসি লটারির ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত তার নম্বরগুলো খুঁজে পেয়ে অবাক হয়েছিলেন চিকস।

অবশ্য পাওয়ার বল ও ডিসি লটারির দাবি, তার নম্বরগুলো ভুলবশত প্রকাশিত হয়েছিলো। এখন বিশাল জ্যাকপটের সঠিক বিজয়ী নিয়ে বিতর্কিত এই আইনি লড়াইয়ের জন্ম হয়েছে।

এনবিসি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে চিকস বলেছেন, লটারি জেতার দিন আমি একটু উত্তেজিত হয়েছিলাম। আমি শুধু বিনয়ের সঙ্গে এক বন্ধুকে ফোন করেছি। আমি তার সুপারিশ অনুযায়ী একটি ছবি তুলেছিলাম এবং পরে আমি ঘুমাতে চলে যাই।

পরে অফিস অফ লটারি অ্যান্ড গেমিংয়ে (ওএলজি) টিকেট জমা দেই। কিন্তু আমার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো।

আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, প্রশাসকরা চিকসের জ্যাকপট দাবি অস্বীকার করেছেন। তাকে একটি চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, তার পুরস্কারের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ তিনি প্রকৃত বিজয়ী না এবং তাকে এলজি গেমিং সিস্টেমের দ্বারা লটারির বিজয়ী হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে না।

একজন এজেন্ট চিকসকে তার টিকিট ফেলে দেওয়ার জন্য বলে।

কিন্তু চিকস এমনটি করেনি। বরং একটি নিরাপদ ডিপোজিট বাক্সে রেখেছিলেন এবং পাওয়ার বলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিয়েছিলেন। গার্ডিয়ান আরও বলেছে, চিকস মাল্টি-স্টেট লটারি অ্যাসোসিয়েশন ও গেম কন্ট্রাক্টর তাওতি এন্টারপ্রাইজের নামেও মামলা করেছে।

তিনি বর্তমানে ওই জ্যাকপটের পরিমাণ ও তার ওপর যা দৈনিক সুদসহ ক্ষতিপূরণ চাচ্ছেন। মোট ক্ষতিপূরণ ৩৪০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছেন চিকস। চিকসের আইনজীবী রিচার্ড ইভান্স বলেন, বিজয়ী সংখ্যার সঙ্গে চিকসের সংখ্যার মিলে ছিলো। তাই পুরো জ্যাকপটের অর্থ তার পাওয়া উচিত।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী ইভান্স।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

লটারিতে ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জেতার পর কোম্পানি বলছে ‘ভুল’

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসিতে লটারির ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জেতার পর লটারি প্রতিষ্ঠান বিজয়ী নম্বরটিকে ‘ভুল’ বলে দাবি করেছে। এতে বেজায় ক্ষেপেছেন লটারি বিজয়ী ওই সিটির বাসিন্দা জন চিকস। শেষমেষ তিনি শরণাপন্ন হয়েছেন আদালতের।

জন চিকস ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের যে জ্যাকপট জিতেছেন বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তার এই ভুল ধারণার কারণ হচ্ছে, গেমের ওয়েবসাইট ভুলবশত বিজয়ী সংমিশ্রণ হিসাবে তার নম্বরগুলো দেখানো হয়েছে।

২০২৩ সালের ছয় জানুয়ারি জন চিকস পাওয়ারবল লটারির টিকেট কিনেছিলেন। পরের দিন পাওয়ার বল ড্রয়িংয়ে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, দুই দিন পরে ডিসি লটারির ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত তার নম্বরগুলো খুঁজে পেয়ে অবাক হয়েছিলেন চিকস।

অবশ্য পাওয়ার বল ও ডিসি লটারির দাবি, তার নম্বরগুলো ভুলবশত প্রকাশিত হয়েছিলো। এখন বিশাল জ্যাকপটের সঠিক বিজয়ী নিয়ে বিতর্কিত এই আইনি লড়াইয়ের জন্ম হয়েছে।

এনবিসি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে চিকস বলেছেন, লটারি জেতার দিন আমি একটু উত্তেজিত হয়েছিলাম। আমি শুধু বিনয়ের সঙ্গে এক বন্ধুকে ফোন করেছি। আমি তার সুপারিশ অনুযায়ী একটি ছবি তুলেছিলাম এবং পরে আমি ঘুমাতে চলে যাই।

পরে অফিস অফ লটারি অ্যান্ড গেমিংয়ে (ওএলজি) টিকেট জমা দেই। কিন্তু আমার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো।

আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, প্রশাসকরা চিকসের জ্যাকপট দাবি অস্বীকার করেছেন। তাকে একটি চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, তার পুরস্কারের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ তিনি প্রকৃত বিজয়ী না এবং তাকে এলজি গেমিং সিস্টেমের দ্বারা লটারির বিজয়ী হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে না।

একজন এজেন্ট চিকসকে তার টিকিট ফেলে দেওয়ার জন্য বলে।

কিন্তু চিকস এমনটি করেনি। বরং একটি নিরাপদ ডিপোজিট বাক্সে রেখেছিলেন এবং পাওয়ার বলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিয়েছিলেন। গার্ডিয়ান আরও বলেছে, চিকস মাল্টি-স্টেট লটারি অ্যাসোসিয়েশন ও গেম কন্ট্রাক্টর তাওতি এন্টারপ্রাইজের নামেও মামলা করেছে।

তিনি বর্তমানে ওই জ্যাকপটের পরিমাণ ও তার ওপর যা দৈনিক সুদসহ ক্ষতিপূরণ চাচ্ছেন। মোট ক্ষতিপূরণ ৩৪০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছেন চিকস। চিকসের আইনজীবী রিচার্ড ইভান্স বলেন, বিজয়ী সংখ্যার সঙ্গে চিকসের সংখ্যার মিলে ছিলো। তাই পুরো জ্যাকপটের অর্থ তার পাওয়া উচিত।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী ইভান্স।

হককথা/নাছরিন