নিউইয়র্ক ১০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের জন্য ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের নতুন মানবিক সহায়তা ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সহায়তার কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তার বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি জানান, এই অর্থ বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের কল্যানে ব্যয় করা হবে।

নেড প্রাইস বলেন, নতুন এই সহায়তার ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.১ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে অব্যাহতভাবে দেশটি সহায়তা পাঠিয়ে আসছে। ওই সময়ই মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। নেড প্রাইস বলেন, নতুন এই তহবিল মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জীবন রক্ষায় আমাদের অংশীদারদের সহায়তা করবে।

আমেরিকান  পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরেন। বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ, জাতিগত নির্মূল এবং গণহত্যা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়তে হয়েছিল এই রোহিঙ্গাদের। তাদের কারণে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশেরই ৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন সহায়তায় তাদেরকেও সুবিধা দেয়া হবে।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঠেকাতে তৎপর হোয়াইট হাউস

তিনি বাংলাদেশ সরকারের মহানুভবতার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নেড প্রাইস বলেন, আমরা এই সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই মানবিক সংকট সমাধান করতে বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরের জনগণের সাথে অংশীদারিত্ব চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবের প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকতে হবে। বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই শরণার্থী সংকট সাম্প্রতিক ইতিহাসে সৃষ্ট সবচেয়ে বড়, দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া সংকটগুলোর একটি। রোহিঙ্গারা প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল তারা। প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিধনযজ্ঞ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের একটি সৃষ্টি করেছে। এদিকে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সূত্র : মানবজমিন

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশের সময় : ০৩:১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

হককথা ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের জন্য ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের নতুন মানবিক সহায়তা ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সহায়তার কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তার বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি জানান, এই অর্থ বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের কল্যানে ব্যয় করা হবে।

নেড প্রাইস বলেন, নতুন এই সহায়তার ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.১ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে অব্যাহতভাবে দেশটি সহায়তা পাঠিয়ে আসছে। ওই সময়ই মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। নেড প্রাইস বলেন, নতুন এই তহবিল মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জীবন রক্ষায় আমাদের অংশীদারদের সহায়তা করবে।

আমেরিকান  পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরেন। বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ, জাতিগত নির্মূল এবং গণহত্যা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়তে হয়েছিল এই রোহিঙ্গাদের। তাদের কারণে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশেরই ৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন সহায়তায় তাদেরকেও সুবিধা দেয়া হবে।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঠেকাতে তৎপর হোয়াইট হাউস

তিনি বাংলাদেশ সরকারের মহানুভবতার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নেড প্রাইস বলেন, আমরা এই সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই মানবিক সংকট সমাধান করতে বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরের জনগণের সাথে অংশীদারিত্ব চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবের প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকতে হবে। বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই শরণার্থী সংকট সাম্প্রতিক ইতিহাসে সৃষ্ট সবচেয়ে বড়, দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া সংকটগুলোর একটি। রোহিঙ্গারা প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল তারা। প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিধনযজ্ঞ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের একটি সৃষ্টি করেছে। এদিকে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সূত্র : মানবজমিন

সাথী / হককথা