নিউইয়র্ক ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • / ৮৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ইউক্রেনে দূরপাল্লার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম- (এমএলআরএস) পাঠানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট সিস্টেম ইউক্রেনে পাঠাবে না তারা।’
ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাসে গত এক সপ্তাহে ধরে লড়াই তীব্র হয়েছে। রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে গোটা অঞ্চলটি। সেভেরোডোনেটস্ক এবং ডনবাসের অন্যান্য অংশেও চলছে রকেট, ট্যাংক এবং বিমান হামলা। ভেঙে পড়েছে ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধ।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমএলআরএস সরবরাহের আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
ঊর্ধ্বতন এক আমেরিকান কর্মকর্তার বরাতে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে এমএলআরএস দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে হোয়াইট হাউস। তবে সিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দূর পাল্লার অস্ত্র দেয়া হবে না।
ইউক্রেন সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এম৭৭৭ হাউইৎজার ব্যবহার করছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। এটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। তবে তার চেয়ে অনেক দূরে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এমএলআরএস।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০-৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাকে এমএলআরএস ব্যবহার করেছিল।
যুক্তরাজ্যের কাছেও আছে এমএলআরএস। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন ‘নৃশংস রুশ আর্টিলারির’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের রকেট পাওয়া উচিত। তবে তিনি এসব অস্ত্র সরবরাহ করার কথা বলেননি।
ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের চালানের বিরোধীতা শুরু থেকেই করে আসছে রাশিয়া। দূর পাল্লার এমএলআরএস পাঠানোর খবরও গেছে মস্কোতে। এ ধরনের ভারী অস্ত্র সরবরাহকে উসকানি হিসেবে দেখছে ক্রেমলিন। আর সমর বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে মস্কো।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীদের উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা। পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। এতে উত্তেজনা কেবল বাড়বে।’ সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

হককথা ডেস্ক : ইউক্রেনে দূরপাল্লার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম- (এমএলআরএস) পাঠানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট সিস্টেম ইউক্রেনে পাঠাবে না তারা।’
ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাসে গত এক সপ্তাহে ধরে লড়াই তীব্র হয়েছে। রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে গোটা অঞ্চলটি। সেভেরোডোনেটস্ক এবং ডনবাসের অন্যান্য অংশেও চলছে রকেট, ট্যাংক এবং বিমান হামলা। ভেঙে পড়েছে ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধ।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমএলআরএস সরবরাহের আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
ঊর্ধ্বতন এক আমেরিকান কর্মকর্তার বরাতে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে এমএলআরএস দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে হোয়াইট হাউস। তবে সিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দূর পাল্লার অস্ত্র দেয়া হবে না।
ইউক্রেন সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এম৭৭৭ হাউইৎজার ব্যবহার করছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। এটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। তবে তার চেয়ে অনেক দূরে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এমএলআরএস।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০-৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাকে এমএলআরএস ব্যবহার করেছিল।
যুক্তরাজ্যের কাছেও আছে এমএলআরএস। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন ‘নৃশংস রুশ আর্টিলারির’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের রকেট পাওয়া উচিত। তবে তিনি এসব অস্ত্র সরবরাহ করার কথা বলেননি।
ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের চালানের বিরোধীতা শুরু থেকেই করে আসছে রাশিয়া। দূর পাল্লার এমএলআরএস পাঠানোর খবরও গেছে মস্কোতে। এ ধরনের ভারী অস্ত্র সরবরাহকে উসকানি হিসেবে দেখছে ক্রেমলিন। আর সমর বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে মস্কো।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীদের উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা। পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। এতে উত্তেজনা কেবল বাড়বে।’ সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
হককথা/এমউএ