নিউইয়র্ক ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ্য হওয়ার আহ্বান বাইডেনের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • / ৩৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার মধ্যেই জার্মানিতে শুরু হলো জি-৭ সম্মেলন। রুশ আগ্রাসন ও তার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য সঙ্কট জি-৭ সম্মেলনের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বৈঠকের শুরুতেই জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো রুশ সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করল।
এদিকে সম্মেলনে অংশ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, জি-৭ সম্মেলনে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি, তা সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে ব্রিটেন ও তার মিত্রশক্তিরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ জুন) জি-৭ এর পক্ষ থেকে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। সোনা রপ্তানি করে রাশিয়া ব্যাপক লাভবান হয়। ব্যাপক পরিমাণে রাজস্ব জমা হয়। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, গত বছর রাশিয়া ১৫.৪৫ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ডলারের সোনা রপ্তানি করেছিল ।
জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পরেই রাশিয়া অপরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে দেয়। বিশ্ব বাজারে যখন হু হু করে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে, রাশিয়া তখন অনেক কম মূল্যে তেল বিক্রি করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ফলেও অনেক দেশ রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে আগ্রহী হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসঙ্কটের একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জি-৭ সম্মেলনে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাকে সামনে রেখে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছরেই এই খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আগামী বছরে তা প্রকট আকার নেবে।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। যা পশ্চিমা দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চীন নিয়ে জি-৭ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ন্যাটো নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা শুরু হয়েছে। জার্মানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো ও ন্যাটো আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন পুতিনের সাম্রাজ্যবাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তেমনি খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত। সূত্র: রয়টার্স
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ্য হওয়ার আহ্বান বাইডেনের

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

হককথা ডেস্ক : রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার মধ্যেই জার্মানিতে শুরু হলো জি-৭ সম্মেলন। রুশ আগ্রাসন ও তার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য সঙ্কট জি-৭ সম্মেলনের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বৈঠকের শুরুতেই জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো রুশ সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করল।
এদিকে সম্মেলনে অংশ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, জি-৭ সম্মেলনে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি, তা সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে ব্রিটেন ও তার মিত্রশক্তিরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ জুন) জি-৭ এর পক্ষ থেকে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। সোনা রপ্তানি করে রাশিয়া ব্যাপক লাভবান হয়। ব্যাপক পরিমাণে রাজস্ব জমা হয়। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, গত বছর রাশিয়া ১৫.৪৫ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ডলারের সোনা রপ্তানি করেছিল ।
জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পরেই রাশিয়া অপরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে দেয়। বিশ্ব বাজারে যখন হু হু করে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে, রাশিয়া তখন অনেক কম মূল্যে তেল বিক্রি করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ফলেও অনেক দেশ রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে আগ্রহী হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসঙ্কটের একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জি-৭ সম্মেলনে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাকে সামনে রেখে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছরেই এই খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আগামী বছরে তা প্রকট আকার নেবে।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। যা পশ্চিমা দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চীন নিয়ে জি-৭ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ন্যাটো নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা শুরু হয়েছে। জার্মানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো ও ন্যাটো আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন পুতিনের সাম্রাজ্যবাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তেমনি খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত। সূত্র: রয়টার্স
হককথা/এমউএ