নিউইয়র্ক ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যে কারণে রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাননি বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ১০০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ ঘোষণা করেছিলেন। এরপর দশকের পর দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। কিন্তু তারপরেও বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  যুক্তরাষ্ট্র  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন সুযোগ পুরো এক জীবনে দুই-একবারের বেশি পাওয়া যায় না। তারপরেও বাইডেন কেনো গেলেন না এই অনুষ্ঠানে?

বিবিসি জানিয়েছে, শুধু বাইডেনই নয়, এখন পর্যন্ত কোনো  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টই বৃটেনের রাজ পরিবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। সবথেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এর পেছনে কোনো কারণও নেই। বৃটিশ রাজাদের অভিষেকে যোগ না দেয়াকেই সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে যে, বাইডেন অভিষেক অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্ত তিনি নিজে না গিয়ে তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও একটি কূটনৈতিক দল পাঠাবেন বলে রাজা চার্লসকে ফোনে জানিয়েছেন। তবে বাইডেন কেন অনুপস্থিত থাকবেন সে বিষয়ে হোয়াইট হাউজ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তারা বলেছে, বাইডেন ভবিষ্যতে কোনো এক সময় বৃটেনে গিয়ে রাজার সাথে দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

তবে বাইডেনের এই অনুপস্থিত থাকার খবর কিছুটা আলোড়নই তৈরি করেছে। টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কনজার্ভেটিভ এমপি বব সিলি মন্তব্য করেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইডেন বৃটেনকে ‘কিছুটা অবহেলা’ করছেন বলেই মনে হচ্ছে। যদিও ডেইলি মেইল পত্রিকার সহ সম্পাদক স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাইডেনের না আসার কারণ তার পূর্ব পুরুষদের আইরিশ আভিজাত্যের অহংকার। কিন্তু তাহলে তার পূর্ববর্তী  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টরা কেনো কখনও এই অভিষেক অনুষ্ঠানে আসেননি? ইতিহাসবিদদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের এই অনুষ্ঠানে না আসার পেছনে সেরকম রাজনৈতিক কারণ নেই। রাজ অভিষেক অনুষ্ঠানে  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের না যাওয়ার প্রথাটা আসলে তাদের শত বছরের ঐতিহ্য।

আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বৃটেন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর লরা বিয়ারস বলেন, অভিষেকে না যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষ থেকে কোনো অপমানসূচক ইঙ্গিত বলে আমি মনে করি না। তিনি যাচ্ছেন না কারণ কোনো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত অভিষেকে যাননি। কাজেই এই একবিংশ শতকে এসে নতুন করে কেন শুরু করা! রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলের আগে বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শত্রুতামূলক সম্পর্কই ছিল। রানী ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়, বৃটিশ রাজতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুগ্ধতা তৈরি হয়। কিন্তু তবুও সেসময়কার যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেকে অংশগ্রহণ করেননি। সে সময়কার বাস্তবতায় একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বৃটেনে উপস্থিত হয়ে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া কার্যত সম্ভব ছিল না। আর সে কারণেই এর পর থেকে এটি রীতি হিসেবে তৈরি হয়ে গেছে।

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যে কারণে রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাননি বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৩:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

হককথা ডেস্ক : বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ ঘোষণা করেছিলেন। এরপর দশকের পর দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। কিন্তু তারপরেও বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  যুক্তরাষ্ট্র  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন সুযোগ পুরো এক জীবনে দুই-একবারের বেশি পাওয়া যায় না। তারপরেও বাইডেন কেনো গেলেন না এই অনুষ্ঠানে?

বিবিসি জানিয়েছে, শুধু বাইডেনই নয়, এখন পর্যন্ত কোনো  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টই বৃটেনের রাজ পরিবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। সবথেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এর পেছনে কোনো কারণও নেই। বৃটিশ রাজাদের অভিষেকে যোগ না দেয়াকেই সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে যে, বাইডেন অভিষেক অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্ত তিনি নিজে না গিয়ে তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও একটি কূটনৈতিক দল পাঠাবেন বলে রাজা চার্লসকে ফোনে জানিয়েছেন। তবে বাইডেন কেন অনুপস্থিত থাকবেন সে বিষয়ে হোয়াইট হাউজ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তারা বলেছে, বাইডেন ভবিষ্যতে কোনো এক সময় বৃটেনে গিয়ে রাজার সাথে দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

তবে বাইডেনের এই অনুপস্থিত থাকার খবর কিছুটা আলোড়নই তৈরি করেছে। টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কনজার্ভেটিভ এমপি বব সিলি মন্তব্য করেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইডেন বৃটেনকে ‘কিছুটা অবহেলা’ করছেন বলেই মনে হচ্ছে। যদিও ডেইলি মেইল পত্রিকার সহ সম্পাদক স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাইডেনের না আসার কারণ তার পূর্ব পুরুষদের আইরিশ আভিজাত্যের অহংকার। কিন্তু তাহলে তার পূর্ববর্তী  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টরা কেনো কখনও এই অভিষেক অনুষ্ঠানে আসেননি? ইতিহাসবিদদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের এই অনুষ্ঠানে না আসার পেছনে সেরকম রাজনৈতিক কারণ নেই। রাজ অভিষেক অনুষ্ঠানে  যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের না যাওয়ার প্রথাটা আসলে তাদের শত বছরের ঐতিহ্য।

আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বৃটেন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর লরা বিয়ারস বলেন, অভিষেকে না যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষ থেকে কোনো অপমানসূচক ইঙ্গিত বলে আমি মনে করি না। তিনি যাচ্ছেন না কারণ কোনো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত অভিষেকে যাননি। কাজেই এই একবিংশ শতকে এসে নতুন করে কেন শুরু করা! রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলের আগে বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শত্রুতামূলক সম্পর্কই ছিল। রানী ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়, বৃটিশ রাজতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুগ্ধতা তৈরি হয়। কিন্তু তবুও সেসময়কার যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেকে অংশগ্রহণ করেননি। সে সময়কার বাস্তবতায় একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বৃটেনে উপস্থিত হয়ে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া কার্যত সম্ভব ছিল না। আর সে কারণেই এর পর থেকে এটি রীতি হিসেবে তৈরি হয়ে গেছে।

বেলী / হককথা