নিউইয়র্ক ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন : সিনেটে রিপাবলিকানদের জয় প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্রেটদের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৪০৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নির্বাচনের আগে যেমনটা পূর্বাভাস করা হয়েছিল ঠিক যেন তেমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মঙ্গলবারের (৬ নভেম্বর) নির্বাচনে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। উচ্চকক্ষ বলে পরিচিত সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটদের হাতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কেননা এখন নিম্নকক্ষ সহজেই প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে পারবে। যদি সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বা ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাধা দিয়েছেন এমনটি প্রমাণিত হয়। এক্ষেত্রে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারের প্রতিবেদন অনুসারে নিম্নকক্ষ আরেকটি তদন্ত শুরু করতে পারে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে পারবে না কংগ্রেস। কেননা সে জন্য উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার হবে। আর এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ এই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। সিএনএন বলেছে, ডেমোক্রেটরা নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ২২২টি আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ডেমোক্রেটদের যত আসন দরকার ছিল, তার চেয়ে ৪টি আসন বেশি পেয়েছে দলটি। আর রিপাবলিকানরা নিম্নকক্ষে পেয়েছে ১৯৯টি আসন। অন্যদিকে, সিনেটে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা।
সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য তাদের যে ৫০টি আসন দরকার ছিল, তার চেয়ে এক আসন বেশি অর্থাৎ ৫১টি আসন পেয়েছে তারা। বিপরীতে ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৪৫টি আসন। দলটি ইন্ডিয়ানা, টেক্সাস ও নর্থ ডাকোটার মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। আগামী ২০২০ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আর জাতীয় কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এ সময়ে প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের নিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাকি ২ বছর পার করতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি গণভোট হিসেবে দেখা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশিত হয়নি।
সফলতা দেখছেন ট্রাম্প: কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলকে ‘চমৎকার সফলতা’ বলে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে তিনি এ নিয়ে প্রথম টুইট করেন। তার দল রিপাবলিকান কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তবে হারিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ। একে তিনি চমৎকার সফলতা হিসেবে দেখছেন। এর কারণও আছে। কারণ, এর আগের নির্বাচনগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। একে তিনি বড় সফলতা মনে করতেই পারেন।
নিম্নকক্ষে ডেমোক্রেটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কী প্রভাব ফেলবে: কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন এখন আগের মতো একতরফাভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। একই সঙ্গে ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেয়া বিতর্কিত পদক্ষেপগুলো তদন্ত করতে পারবে। এছাড়া, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোও আটকে দিতে পারবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদের বৈরী পরিবেশের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারেন। কেননা কোনো রকমের পূর্বাভাস ছাড়াই তিনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে বেশ অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে তিনি ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে বাধা প্রদানের অভিযোগ তুলতে পারেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সমঝোতাও করতে পারেন। নির্বাচনের ফল অনুসারে, ডেমোক্রেটরা আগামী জানুয়ারীতে আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ লাভ করবে। এর ফলে প্রথমবারের মতো রিপাবলিকানদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন প্রতিকূল পরিবেশ কিভাবে মোকাবেলা করেন সেটিই দেখার বিষয়। কেননা এর আগে তাকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কংগ্রেসে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়নি। কিন্তু আগামী বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে ডেমোক্রেটরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একতরফাভাবে নিজের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে অভ্যস্ত ট্রাম্প ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বিতর্কিত বিষয়গুলোর চেয়ে দেশের সার্বজনীন সমস্যা সমাধানে বেশি মনোনিবেশ করতে পারেন।
ইউএস কংগ্রেসে নির্বাচিত দুই মুসলিম নারী। সোমালীয় বংশোদ্ভুত ইলহান ওমর (বায়ে), ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভুত রাশিদা তালিব (ডানে)। 

প্রথমবারের মতো দুই মুসলিম নারী নির্বাচিত: প্রথমবারের মতো দুই মুসলিম নারী ইউএস কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- মিশিগানের রাশিদা তৈয়ব ও মিনেসোটার ইলহান ওমর। তারা দু’জনই ডেমোক্রেটদের পক্ষে নির্বাচন করেন। এদের মধ্যে ইলহান ওমর সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত। মিনেসোটায় তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী জেনিফার জিলিনস্কিকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সোমালি বংশোদ্ভূত আমেরিকান মুসলিম নারী নির্বাচিত হলেন। এছাড়া, গোটা নির্বাচনে নারী প্রার্থীরা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে সবচেয়ে কমবয়সী নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ ও অ্যাবি ফিঙ্কেনার।(মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন : সিনেটে রিপাবলিকানদের জয় প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্রেটদের

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮

হককথা ডেস্ক: নির্বাচনের আগে যেমনটা পূর্বাভাস করা হয়েছিল ঠিক যেন তেমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মঙ্গলবারের (৬ নভেম্বর) নির্বাচনে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। উচ্চকক্ষ বলে পরিচিত সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটদের হাতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কেননা এখন নিম্নকক্ষ সহজেই প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে পারবে। যদি সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বা ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাধা দিয়েছেন এমনটি প্রমাণিত হয়। এক্ষেত্রে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারের প্রতিবেদন অনুসারে নিম্নকক্ষ আরেকটি তদন্ত শুরু করতে পারে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে পারবে না কংগ্রেস। কেননা সে জন্য উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার হবে। আর এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ এই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। সিএনএন বলেছে, ডেমোক্রেটরা নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ২২২টি আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ডেমোক্রেটদের যত আসন দরকার ছিল, তার চেয়ে ৪টি আসন বেশি পেয়েছে দলটি। আর রিপাবলিকানরা নিম্নকক্ষে পেয়েছে ১৯৯টি আসন। অন্যদিকে, সিনেটে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা।
সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য তাদের যে ৫০টি আসন দরকার ছিল, তার চেয়ে এক আসন বেশি অর্থাৎ ৫১টি আসন পেয়েছে তারা। বিপরীতে ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৪৫টি আসন। দলটি ইন্ডিয়ানা, টেক্সাস ও নর্থ ডাকোটার মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। আগামী ২০২০ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আর জাতীয় কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এ সময়ে প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের নিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাকি ২ বছর পার করতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি গণভোট হিসেবে দেখা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশিত হয়নি।
সফলতা দেখছেন ট্রাম্প: কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলকে ‘চমৎকার সফলতা’ বলে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে তিনি এ নিয়ে প্রথম টুইট করেন। তার দল রিপাবলিকান কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তবে হারিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ। একে তিনি চমৎকার সফলতা হিসেবে দেখছেন। এর কারণও আছে। কারণ, এর আগের নির্বাচনগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। একে তিনি বড় সফলতা মনে করতেই পারেন।
নিম্নকক্ষে ডেমোক্রেটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কী প্রভাব ফেলবে: কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন এখন আগের মতো একতরফাভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। একই সঙ্গে ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেয়া বিতর্কিত পদক্ষেপগুলো তদন্ত করতে পারবে। এছাড়া, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোও আটকে দিতে পারবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদের বৈরী পরিবেশের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারেন। কেননা কোনো রকমের পূর্বাভাস ছাড়াই তিনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে বেশ অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে তিনি ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে বাধা প্রদানের অভিযোগ তুলতে পারেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সমঝোতাও করতে পারেন। নির্বাচনের ফল অনুসারে, ডেমোক্রেটরা আগামী জানুয়ারীতে আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ লাভ করবে। এর ফলে প্রথমবারের মতো রিপাবলিকানদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন প্রতিকূল পরিবেশ কিভাবে মোকাবেলা করেন সেটিই দেখার বিষয়। কেননা এর আগে তাকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কংগ্রেসে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়নি। কিন্তু আগামী বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে ডেমোক্রেটরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একতরফাভাবে নিজের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে অভ্যস্ত ট্রাম্প ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বিতর্কিত বিষয়গুলোর চেয়ে দেশের সার্বজনীন সমস্যা সমাধানে বেশি মনোনিবেশ করতে পারেন।
ইউএস কংগ্রেসে নির্বাচিত দুই মুসলিম নারী। সোমালীয় বংশোদ্ভুত ইলহান ওমর (বায়ে), ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভুত রাশিদা তালিব (ডানে)। 

প্রথমবারের মতো দুই মুসলিম নারী নির্বাচিত: প্রথমবারের মতো দুই মুসলিম নারী ইউএস কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- মিশিগানের রাশিদা তৈয়ব ও মিনেসোটার ইলহান ওমর। তারা দু’জনই ডেমোক্রেটদের পক্ষে নির্বাচন করেন। এদের মধ্যে ইলহান ওমর সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত। মিনেসোটায় তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী জেনিফার জিলিনস্কিকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সোমালি বংশোদ্ভূত আমেরিকান মুসলিম নারী নির্বাচিত হলেন। এছাড়া, গোটা নির্বাচনে নারী প্রার্থীরা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে সবচেয়ে কমবয়সী নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ ও অ্যাবি ফিঙ্কেনার।(মানবজমিন)