নিউইয়র্ক ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে হিলারি হাওয়া?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৮১৭ বার পঠিত

ঢাকা: গত কয়েক মাস ধরে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন কি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন? জবাব এখন স্পষ্ট। মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দীর্ঘ ও কষ্টকর পথ বেয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হিলারি ক্লিনটন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাওয়ার আগে নিজ দলের চূড়ান্ত টিকিট পেতে নামতে হবে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে। রাজনৈতিক বিরোধীদের মোকাবিলা, অভিযোগ-সমালোচনা খান, পাল্টা ইস্যু তৈরি, গল্প-ক্ষুধার্ত মিডিয়াকে সামলানো, সাংবাদিক সৈনিকদের তীর্যক তীর এড়িয়ে যাওয়া, জনগণের মন কাড়া- এ সব যোগ্যতার সুসংহত বহিঃপ্রকাশই তাকে সফলতা এনে দিতে পারে।
হিলারির ক্লিনটনের জন্য সুবিধা এই যে, আগে দুইবার প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে প্রথমবার স্বামী বিল ক্লিনটনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০০৮ সালে নিজেই বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ডেমোক্রেট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন তিনি। সেবার হেরে গেলেও এবার ডেমোক্রেট দলের টিকিটপ্রাপ্তি খুব সহজ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বারাক ওবামার মতো স্বপ্ন দেখানো ও প্রজন্মের প্রতিনিধি এবার তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছেন না। কিংবা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন এডওয়ার্ডসের মতো যুদ্ধ-পরীক্ষিত দক্ষ খেলোয়াড় ও বিল রিচার্ডসনের মতো হিস্পানিক গভর্নর প্রতিদ্বন্ধিতা হিসেবে মাঠে থাকছেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডেমোক্রেট দলের প্রার্থিতা পেতে বেগ পেতে না হলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ কতটা সহজ হবে? উত্তরটা বেশ কঠিন। রিপাবলিকান প্রার্থীকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের দখল নেয়ার পথ অত্যন্ত দুরূহ। ইতিমধ্যে রিপাবলিকানের প্রতি জনমতের সাড়া পাওয়া গেছে মধ্যবর্তী নির্বাচনে। কংগ্রেসে ডেমোক্রেটের প্রভাবই নেই। এর মধ্যে বেনগাজির মার্কিন দূতাবাসে হামলা নিয়ে হিলারির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের তদন্ত করছে কংগ্রেস কমিটি। রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিতর্ক রয়েছে। তবে এবার অনেকটাই পরিণত হিলারি। আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। বারাক ওবামার প্রচারণা কমিটির অনেককে উপদেষ্টা বানিয়েছেন। দেশ-বিদেশের নারী অধিকার ইস্যু, অর্থনৈতিক অসমতা দূরীকরণের মতো কর্মসূচি হাতে নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চান তিনি।
জানা গেছে, হাস্যরস, নম্রতা আর নীতিদক্ষতা- এই তিন নীতিতে এগোতে চান হিলারি। এতেই স্বপ্ন দেখেন সাফল্যের সিঁড়িতে হাঁটার।
ওবামা-হিলারির সম্পর্ক পুননির্ণয়: ওবামার কাছে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিযোগিতায় হেরেছিলেন হিলারি। তারপর ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে কাজ করেছেন। পরবর্তীকালে সমালোচনাও করেছেন ওবামার নীতির। তবে এবারের নির্বাচনে হিলারিকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন ওবামা। ইতিমধ্যে তিনি বলেছেন, হিলারি একজন উৎকৃষ্ট ও নিখুঁত প্রার্থী হবেন। তার নির্বাচনী তহবিল গঠনেও সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন ওবামা। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্রে হিলারি হাওয়া?

প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: গত কয়েক মাস ধরে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন কি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন? জবাব এখন স্পষ্ট। মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দীর্ঘ ও কষ্টকর পথ বেয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হিলারি ক্লিনটন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাওয়ার আগে নিজ দলের চূড়ান্ত টিকিট পেতে নামতে হবে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে। রাজনৈতিক বিরোধীদের মোকাবিলা, অভিযোগ-সমালোচনা খান, পাল্টা ইস্যু তৈরি, গল্প-ক্ষুধার্ত মিডিয়াকে সামলানো, সাংবাদিক সৈনিকদের তীর্যক তীর এড়িয়ে যাওয়া, জনগণের মন কাড়া- এ সব যোগ্যতার সুসংহত বহিঃপ্রকাশই তাকে সফলতা এনে দিতে পারে।
হিলারির ক্লিনটনের জন্য সুবিধা এই যে, আগে দুইবার প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে প্রথমবার স্বামী বিল ক্লিনটনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০০৮ সালে নিজেই বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ডেমোক্রেট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন তিনি। সেবার হেরে গেলেও এবার ডেমোক্রেট দলের টিকিটপ্রাপ্তি খুব সহজ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বারাক ওবামার মতো স্বপ্ন দেখানো ও প্রজন্মের প্রতিনিধি এবার তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছেন না। কিংবা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন এডওয়ার্ডসের মতো যুদ্ধ-পরীক্ষিত দক্ষ খেলোয়াড় ও বিল রিচার্ডসনের মতো হিস্পানিক গভর্নর প্রতিদ্বন্ধিতা হিসেবে মাঠে থাকছেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডেমোক্রেট দলের প্রার্থিতা পেতে বেগ পেতে না হলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ কতটা সহজ হবে? উত্তরটা বেশ কঠিন। রিপাবলিকান প্রার্থীকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের দখল নেয়ার পথ অত্যন্ত দুরূহ। ইতিমধ্যে রিপাবলিকানের প্রতি জনমতের সাড়া পাওয়া গেছে মধ্যবর্তী নির্বাচনে। কংগ্রেসে ডেমোক্রেটের প্রভাবই নেই। এর মধ্যে বেনগাজির মার্কিন দূতাবাসে হামলা নিয়ে হিলারির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের তদন্ত করছে কংগ্রেস কমিটি। রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিতর্ক রয়েছে। তবে এবার অনেকটাই পরিণত হিলারি। আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। বারাক ওবামার প্রচারণা কমিটির অনেককে উপদেষ্টা বানিয়েছেন। দেশ-বিদেশের নারী অধিকার ইস্যু, অর্থনৈতিক অসমতা দূরীকরণের মতো কর্মসূচি হাতে নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চান তিনি।
জানা গেছে, হাস্যরস, নম্রতা আর নীতিদক্ষতা- এই তিন নীতিতে এগোতে চান হিলারি। এতেই স্বপ্ন দেখেন সাফল্যের সিঁড়িতে হাঁটার।
ওবামা-হিলারির সম্পর্ক পুননির্ণয়: ওবামার কাছে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিযোগিতায় হেরেছিলেন হিলারি। তারপর ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে কাজ করেছেন। পরবর্তীকালে সমালোচনাও করেছেন ওবামার নীতির। তবে এবারের নির্বাচনে হিলারিকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন ওবামা। ইতিমধ্যে তিনি বলেছেন, হিলারি একজন উৎকৃষ্ট ও নিখুঁত প্রার্থী হবেন। তার নির্বাচনী তহবিল গঠনেও সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন ওবামা। (দৈনিক যুগান্তর)