নিউইয়র্ক ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে মুসলিম বিদ্বেষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও আক্রমণ রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। এর পেছনে ছিল ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ও বছরের শেষ দিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রসন ঘিরে সৃষ্ট পক্ষপাত। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (অ্যাডভোকেসি গ্রুপ) কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) এ তথ্য জানায়।

সিএআইআর তিন দশক আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ নিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করতে শুরু করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৬১টি মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার অভিযোগ এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছর ধরে যে তথ্য রেখেছে, তার মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে বেশি মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘটেছে ৩ হাজার ৬০০ ঘটনা।

সিএআইআরের মতো একই তথ্য পাওয়া গেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনেও। এসব প্রতিবেদনে বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার মধ্যে রয়েছে গত অক্টোবরে ইলিনয়ে ছয় বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, নভেম্বরে ভারমন্টে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন শিক্ষার্থীকে গুলি করা, টেক্সাসে গত ফেব্রুয়ারিতে এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকানকে ছুরিকাঘাতের মতো নানা ঘটনা।

সিএআইআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষের অভিযোগ কমতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত বছর তা আবার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে। এর প্রধান কারণ ছিল গত অক্টোবরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সহিংসতার জেরে ইসলামোফোবিয়ার বিষয়টি বেড়ে যাওয়া।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে মুসলিম বিদ্বেষ

প্রকাশের সময় : ১১:০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও আক্রমণ রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। এর পেছনে ছিল ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ও বছরের শেষ দিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রসন ঘিরে সৃষ্ট পক্ষপাত। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (অ্যাডভোকেসি গ্রুপ) কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) এ তথ্য জানায়।

সিএআইআর তিন দশক আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ নিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করতে শুরু করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৬১টি মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার অভিযোগ এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছর ধরে যে তথ্য রেখেছে, তার মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে বেশি মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘটেছে ৩ হাজার ৬০০ ঘটনা।

সিএআইআরের মতো একই তথ্য পাওয়া গেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনেও। এসব প্রতিবেদনে বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার মধ্যে রয়েছে গত অক্টোবরে ইলিনয়ে ছয় বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, নভেম্বরে ভারমন্টে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন শিক্ষার্থীকে গুলি করা, টেক্সাসে গত ফেব্রুয়ারিতে এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকানকে ছুরিকাঘাতের মতো নানা ঘটনা।

সিএআইআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষের অভিযোগ কমতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত বছর তা আবার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে। এর প্রধান কারণ ছিল গত অক্টোবরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সহিংসতার জেরে ইসলামোফোবিয়ার বিষয়টি বেড়ে যাওয়া।