যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি ও গ্যাসের দাম: ইয়েলেন
- প্রকাশের সময় : ০৩:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৬২ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আবার বাড়তে পারে গ্যাসের দাম ও মূল্যস্ফীতি। এর ফলে নতুন করে বিপাকে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা, এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ও আসন্ন জ্বালানি সংকট নিয়ে রোববার এ মন্তব্য করেন ইয়েলেন। ইয়েলেন “স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন”-এ সিএনএন সাংবাদিক ডানা বাশকে বলেন, এটি একটি ঝুঁকি এবং আমরা সেটাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই শীতে মূলত রাশান তেল কেনা বন্ধ করবে এবং রাশিয়া থেকে তেল পরিবহন পরিষেবা নিষিদ্ধ করবে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়াতে পারে। রাশিয়ার জ্বালানির উপর প্রাইস ক্যাপ (নিদিষ্ট দাম নির্ধারন) আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবটি রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং এই অবৈধ যুদ্ধ বন্ধ হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি, এটি এমন কিছু যা অপরিহার্য হতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জি-৭ জোটের অর্থমন্ত্রীরা বলেছিলেন, তারা রাশিয়ার জ্বালানির উপর প্রাইস ক্যাপ আরোপ করতে চান। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতেই ইউরোপের এই ২৭টি দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশ্লেষকরা।
এদিকে রুশ জ্বালানির উপর যদি প্রাইস ক্যাপ নির্ধারন করে দেয়া হয় বা এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়, সেক্ষত্রে সমস্ত ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। আমাদেরকে রাশিয়ার রাজস্ব কমাতে হবে। যে রাজস্ব দিয়ে পুতিন ইউক্রেইনে তার যুদ্ধের খরচ চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকেই মস্কোর উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। জবাবে ইউরোপের একাধিক দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। চাপে রয়েছে জার্মানিসহ ইউরোপের একাধিক দেশ।
হককথা/এমউএ