নিউইয়র্ক ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বিকৃতি, বাংলাদেশিরা উদ্বিগ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল বিকৃত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত কয়েক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় গুরুত্বপূর্ণ কোনও ম্যুরাল বিকৃতির ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ-উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বিকৃত করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইউএসএ-এর সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, ‘এটি ভেঙে গেছে।’ ড. আলম বলেন, ভাংচুরকারীরা এমন একটি ম্যুরাল লক্ষ্যবস্তু করেছে যা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ব্যবহৃত হয়।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন : আমীর খসরু

শেখ মুজিবুর রহমান একজন জাতীয় বীর এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামকের কন্যান্ট এবং ক্যালির কোণে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ একটি ম্যুরাল রয়েছে। ড. আলম বলেন, ‘ম্যুরালের যে পুরো মুখটি দেখা যাচ্ছে, তাতে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সিবিএস নিউজ বলছে, গত শুক্রবার ভাঙচুরকারীরা সিমেন্ট ও রং দিয়ে ম্যুরালের মুখ ঢেকে দেয়। ড. মোহাম্মদ আলম বলেন, গত কয়েক মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকৃতি বিকৃত করা হলো।

আরোও পড়ুন । এবারও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে নেই বাংলাদেশ

এছাড়া জেনস পার্কে ‘বাংলাটাউনে স্বাগতম’ লেখা একটি চিহ্নও ভাংচুর করা হয়েছে।এদিকে সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মোহাম্মদ আলম বলছেন, ‘এটি জঘন্য ঘৃণামূলক অপরাধ, এলোমেলো কোনও কাজ নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব ঘটনায় মানুষ বিচলিত, মানুষ চিন্তিত, মানুষ উদ্বিগ্ন। মানুষ সত্যিই বুঝতে পারছে না কি ঘটছে এবং কেন ঘটছে।’ ড. আলম বলেছেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ভয় দেখানোর জন্য ঘৃণামূলক এই অপরাধ ঘটানো হচ্ছে।
সাথী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বিকৃতি, বাংলাদেশিরা উদ্বিগ্ন

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল বিকৃত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত কয়েক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় গুরুত্বপূর্ণ কোনও ম্যুরাল বিকৃতির ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ-উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বিকৃত করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইউএসএ-এর সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, ‘এটি ভেঙে গেছে।’ ড. আলম বলেন, ভাংচুরকারীরা এমন একটি ম্যুরাল লক্ষ্যবস্তু করেছে যা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ব্যবহৃত হয়।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন : আমীর খসরু

শেখ মুজিবুর রহমান একজন জাতীয় বীর এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামকের কন্যান্ট এবং ক্যালির কোণে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ একটি ম্যুরাল রয়েছে। ড. আলম বলেন, ‘ম্যুরালের যে পুরো মুখটি দেখা যাচ্ছে, তাতে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সিবিএস নিউজ বলছে, গত শুক্রবার ভাঙচুরকারীরা সিমেন্ট ও রং দিয়ে ম্যুরালের মুখ ঢেকে দেয়। ড. মোহাম্মদ আলম বলেন, গত কয়েক মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকৃতি বিকৃত করা হলো।

আরোও পড়ুন । এবারও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে নেই বাংলাদেশ

এছাড়া জেনস পার্কে ‘বাংলাটাউনে স্বাগতম’ লেখা একটি চিহ্নও ভাংচুর করা হয়েছে।এদিকে সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মোহাম্মদ আলম বলছেন, ‘এটি জঘন্য ঘৃণামূলক অপরাধ, এলোমেলো কোনও কাজ নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব ঘটনায় মানুষ বিচলিত, মানুষ চিন্তিত, মানুষ উদ্বিগ্ন। মানুষ সত্যিই বুঝতে পারছে না কি ঘটছে এবং কেন ঘটছে।’ ড. আলম বলেছেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ভয় দেখানোর জন্য ঘৃণামূলক এই অপরাধ ঘটানো হচ্ছে।
সাথী/হককথা