যুক্তরাষ্ট্রে ফোনালাপে গোয়েন্দা নজরদারি অবৈধ

- প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ২৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সাধারণ নাগরিকদের ফোনালাপের ওপর নজরদারিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির আদালত। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক লাখ মানুষের ফোনালাপ গোপনে রেকর্ড করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নজরদারির প্রসঙ্গটি ফাঁস করে দেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অব অ্যাপিলস বলেছে, গোয়েন্দা সংস্থাটি এতদিন মিথ্যা বলেছে, জানিয়েছে বিবিসি। আদালতের আদেশের পর স্নোডেন বলেন, এখন প্রমাণিত হয়েছে আমি ঠিক ছিলাম।
বর্তমানে তিনি মস্কোতে নির্বাসনে আছেন। কিন্তু গত বছর তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দেশে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মামলা চলছে। আদালতের রুলিংয়ের পর স্নোডেন বলেন, আমি কখনো ভাবিনি আদালত এনএসএ’র কার্যক্রমকে বেআইনি ঘোষণা করবে তা জীবনে কখনো দেখে যেতে পারবো। শুধু তাই নয়, সেটা প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য আদালত আমাকে বাহবা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও সেই দিনটি এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে স্নোডেন এই তথ্য সামনে আনার আগ পর্যন্ত মানুষের কল রেকর্ড করার কথা এনএসএ কখনো স্বীকার করেনি। তবে তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর এনএসএ কর্মকর্তারা বলেন, এনএসএর এই নজরদারির কর্মসূচি থাকার কারণেই আল-শাবাব জঙ্গীদের মদদদাতা সান দিয়েগোতে বসবাসকারী বাসালি সাইদ মোয়ালিন, আহমেদ নাসির তালিল মহমুদ, মোহাম্মদ মোহামুদ এবং ইসা দোরেহকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) কোর্ট অব আপিলস বলেছে, তাদের এসব দাবির সঙ্গে তাদের কার্যক্রম বিষয়ে পাওয়া তথ্যের মিল নেই। উল্লেখ্য, এই রুলিং এ বিষয়ে ২০১৩ সালে দেওয়া রায়ের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন এক বার্তায় বলেছে, আজকের এই রুলিং আমাদের গোপনীয়তার অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এক বড় বিজয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো এনএসএ লাখ লাখ আমেরিকানের ফোন কল রেকর্ড করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। (দৈনিক সংবাদ)