নিউইয়র্ক ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব ত্যাগের হিড়িক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে যেন নাগরিকত্ব ত্যাগের হিড়িক লেগেছে। চলতি বছর আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি আমেরিকান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন ২ হাজার ৭২ জন। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮শ’র বেশি। খবর সিএনএন’র।
নিউইয়র্কভিত্তিক বেমব্রিজ অ্যাকাউনটেন্টস-এর এক পরিসংখ্যানে রোববার (৯ আগষ্ট) এ তথ্য উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা বিভিন্ন সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা নিশ্চিত হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে থাকে আমেরিকান সরকার। সেখানে নাগরিকত্ব ত্যাগ করা লোকজনের নাম প্রকাশ করা হয়। বেমব্রিজ অ্যাকাউনটেন্টস প্রতিষ্ঠানের একজন অংশীদার আলিস্টেয়ার বেমব্রিজ। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটা মূলত: সেসব লোকজনের তালিকা যারা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা আর ফিরবেন না।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারণে যা ঘটছে তার জন্যই লোকজন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মতাদর্শ, করোনাভাইরাস মহামারি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এগুলো-সহ আরও বেশ কিছু বিষয়ের কারণে লোকজন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন।
অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অসন্তুষ্ট। এছাড়া আরও অনেকেই বলছেন ট্যাক্সের কথা। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক বিদেশে থাকলেও তাকে প্রতিবছর ট্যাক্স দিতে হয়। এমনকি বিদেশে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সস্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়।
যেসব আমেরিকান নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে চান তারা যদি আমেরিকার বাইরে অন্য কোনো দেশে থাকেন তবে তাদের সে দেশের ইউএস দূতাবাসে যেতে হবে। সেখানে তাদের অবশ্যই ২ হাজার ৩৫০ ডলার পরিশোধ করতে হবে।
আলিস্টেয়ার বেমব্রিজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন আসন্ন এই নির্বাচনে কি হয়। যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুণরায় জয়ী হন তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়ার ¯্রােত আরও বেড়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব ত্যাগের হিড়িক

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে যেন নাগরিকত্ব ত্যাগের হিড়িক লেগেছে। চলতি বছর আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি আমেরিকান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন ২ হাজার ৭২ জন। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮শ’র বেশি। খবর সিএনএন’র।
নিউইয়র্কভিত্তিক বেমব্রিজ অ্যাকাউনটেন্টস-এর এক পরিসংখ্যানে রোববার (৯ আগষ্ট) এ তথ্য উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা বিভিন্ন সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা নিশ্চিত হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে থাকে আমেরিকান সরকার। সেখানে নাগরিকত্ব ত্যাগ করা লোকজনের নাম প্রকাশ করা হয়। বেমব্রিজ অ্যাকাউনটেন্টস প্রতিষ্ঠানের একজন অংশীদার আলিস্টেয়ার বেমব্রিজ। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটা মূলত: সেসব লোকজনের তালিকা যারা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা আর ফিরবেন না।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারণে যা ঘটছে তার জন্যই লোকজন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মতাদর্শ, করোনাভাইরাস মহামারি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এগুলো-সহ আরও বেশ কিছু বিষয়ের কারণে লোকজন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন।
অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অসন্তুষ্ট। এছাড়া আরও অনেকেই বলছেন ট্যাক্সের কথা। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক বিদেশে থাকলেও তাকে প্রতিবছর ট্যাক্স দিতে হয়। এমনকি বিদেশে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সস্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়।
যেসব আমেরিকান নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে চান তারা যদি আমেরিকার বাইরে অন্য কোনো দেশে থাকেন তবে তাদের সে দেশের ইউএস দূতাবাসে যেতে হবে। সেখানে তাদের অবশ্যই ২ হাজার ৩৫০ ডলার পরিশোধ করতে হবে।
আলিস্টেয়ার বেমব্রিজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন আসন্ন এই নির্বাচনে কি হয়। যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুণরায় জয়ী হন তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়ার ¯্রােত আরও বেড়ে যাবে।