যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের দেহে রহস্যজনক রুশ রোগ
- প্রকাশের সময় : ১১:০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / ১০৩ বার পঠিত
হঠাৎ করে বমিবমি ভাব, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো অস্বাভাবিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও কর্মীদের মধ্যে। এমন ঘটনা ঘটেছিল আট বছর আগে কিউবার রাজধানী হাভানার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে। আমেরিকান কর্মকর্তা ও কর্মীদের রহস্যজনক এ অসুস্থতার নেপথ্যে ছিল রাশিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্য ইনসাইডার, দের স্পিগেল এবং সিবিএস সিক্সটি মিনিটসের যৌথ অনুসন্ধানে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা খুব সম্ভবত রাশিয়ার শব্দতরঙ্গ তথা সনিক অস্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। রাশিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীর ইউনিট ২৯১৫৫ এর সদস্যরা খুব সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের মস্তিষ্ক লক্ষ্য করে গোপন কোনো অস্ত্রের মাধ্যমে ‘সরাসরি শক্তি’ ছুড়েছে।
এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রুশ গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা যখন যে সময়ে বিশ্বের যে প্রান্তে দায়িত্বরত ছিল সে সময়ে ওই সব স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা রহস্যময় ওই অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য ২৯১৫৫ ইউনিটের কর্মীদের পুরস্কৃতও করা হয়েছে। হাভানাতেই প্রথম এ ধরনের অসুস্থতার খবর পাওয়া যাওয়ার কারণে এর নাম ‘হাভানা সিনড্রোম’ রাখা হয়।
যদিও নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, তারও প্রায় দুই বছর আগে জার্মানিতে প্রথম এ ধরনের অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তার দেহে হাভানা সিনড্রোমের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল তাদের মধ্যে হোয়াইট হাউস, সিআইএ এবং এফবিআই এর কর্মীরাও ছিলেন। জানা যায়, অন্তত এক হাজারের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা রহস্যজনক ওই অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছিল।
হাভানার ওই ঘটনা নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এ ধরনের দাবিকে সমর্থন করার জন্য কোনো প্রমাণ কখনো উপস্থাপন করা হয়নি। মিডিয়াতে আসা এ অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
২০১৬ সালে হাভানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মীদের শরীরে হঠাৎ করে বমিভাব, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো অস্বাভাবিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত বছর দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলেছিলেন, খুব সম্ভবত এ অসুস্থতার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত নেই।