যুক্তরাষ্ট্রের‘প্রেসিডেন্ট’ পদ নিয়ে রিপাবলিকানের টানাটানি
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
- / ৫৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে রিপাবলিকান দলে নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়েছে টানাটানি। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে ট্রাম্প প্রচারণা শুরু করেছিলেন আগেই। তা সত্ত্বেও বুধবার রিপাবলিকানেরই আরেক প্রার্থী রন ডিস্যান্টিস প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রেসেডিন্ট প্রার্থী হতে চান তিনিও। টুইটারের একটি লাইভ ইভেন্টের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে নিজের প্রথম নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন এদিনই। টুইটারের এ প্রচারণাতেই বাঁধে বিপত্তি। টুইটারের স্বত্বাধিকারী ইলন মাস্ক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চক্রে রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে গেছেন ডিস্যান্টিস। অপ্রতাশ্যিত ঘটনাটির পর এমনটাই বলছেন ডিস্যান্টিসের সমর্থক ও তার প্রচার শিবির। টুইটারের মালিকানা ক্রয়ের সময় থেকেই ইলন-ট্রাম্পের সখ্যের গুঞ্জন উঠেছিল। ডিস্যান্টিসের নির্বাচনি প্রচারে ঘটে যাওয়া এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাতে সেই ‘গোলক ধাঁধা’ই আরও পরিষ্কার হয়ে উঠল। এএফপি।
বহুল আলোচিত অনলাইন লঞ্চ ইভেন্টটির শুরুও হয় কিছুটা দেরি করে। মাস্ক আর ডিস্যান্টিসের মধ্যে বিজ্ঞাপনী কথোপকথন প্রায় ২০ মিনিট দেরি করে শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ‘আমি রন ডিস্যান্টিস আর আমি আমাদের দুর্দান্ত আমেরিকান প্রত্যাবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্বিতা করছি’ বলে ডিস্যান্টিস টুইটারের লাইভ ইভেন্টে তার নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। কিন্তু শুরুর পরও বারবার কেটে যাচ্ছিল অডিও। এ সময় প্রায় চার লাখেও বেশি অংশগ্রহণকারীকে আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়। অনলাইনে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী যুক্ত থাকায় সার্ভার কিছুটা চাপে ছিল বলে অডিওটি বারবার কেটে যাচ্ছে, জানায় মাস্ক।
লাইভ ইভেন্টে ডিস্যান্টিসের নির্বাচনি প্রচারণার আয়োজকরা প্রচারণা আয়োজনের জনপ্রিয়তা সবার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করলেও অনেকেই তা নিয়ে ব্যঙ্গ করতে থাকেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার লাল বোতামটি আরও ভালো, বড় আর শক্তিশালী। আর এটি কাজও করে।’ ডিস্যান্টিসের এই প্রচারণা অনুষ্ঠানকে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। প্রচারাভিযানটির ত্রুটি খুঁজে বের করার পুঁজি সংগ্রহে ব্যস্ত ছিল তার ডেমোক্রেটিক দল। এমনকি বাইডেন তহবিল সংগ্রহ পেজের একটি লিঙ্ক টুইট করে লেখেন, ‘এই লিঙ্কটি কাজ করে।’
ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠপুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ‘ডিসেস্টর’ হ্যাশট্যাগে টুইট করেছেন। ট্রাম্প প্রচারণার এক মুখপাত্র উপহাস করে লেখেন, ‘অস্বস্তিকর, প্রযুক্তিগত সমস্যা, অস্বস্তিকর নীরবতা, চালু করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। এক মেয়াদেই পরপর দুবার অভিসংশনের মুখে পড়া ট্রাম্পের তুলনায় সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দেখা হয় ডিস্যান্টিসকে। প্রথমে তিনি ছিলেন ইয়লের একজন বেসবল তারকা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিনি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নৌবাহিনীতে ছয় বছর সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ইরাকেও তিনি কর্মরত ছিলেন। ডিস্যান্টিস কংগ্রেসে পাঁচ বছর আর যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন চার বছর।
ট্রাম্প তার আইনি সমস্যার কারণে সবার আলোচনার মুখে আর এদিকে ডিস্যান্টিস নিজেকে উপস্থাপন করেন সাধারণ আমেরিকানদের সংগ্রামের মুখপাত্র আর প্রগতিশীল মূল্যবোধে বিভাজন সৃষ্টি করে ডিস্যান্টিস ফ্লোরিডার প্রধান নির্বাহী হিসাবে রক্ষণশীল কৃতিত্বে একটি তালিকা তৈরিতে তার অবস্থান ব্যবহার করেছেন। স্কুল ও অন্যান্য পাবলিক প্রতিষ্ঠানে ‘ওক ইনডকট্রিনেশন’ লক্ষ্য করে প্রায় ৮০টি রাষ্ট্রীয় আইনে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলে লিঙ্গ ও যৌন পরিচয় নিয়ে আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈচিত্র্যকে উন্নীত করার অর্থায়ন প্রচেষ্টায় বাধা আর দেশের অন্যতম নিষেধাজ্ঞামূলক গর্ভপাত আইন।
সুমি/হককথা