নিউইয়র্ক ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মোহাম্মদ আলীর জানাজায় এরদোগানকে ‘হেনস্তা’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০১৬
  • / ৮১৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: লিজেন্ড মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর জানাজা অনুষ্ঠানে রীতিমতো ‘হেনস্তা’র শিকার হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান। শেষ পর্যন্ত আলীকে দাফন করার সময় উপস্থিত না থেকেই ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রে ওই সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রেসিডেন্সিয়াল সূত্র জানায়, এরদোগান এবং সরকারের অন্যান্য প্রতিনিধিরা কেন্টাকির লুইসভিলে আলীর পুরো জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে না থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আলীর জানাজা অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং মেসখাটিয়ান তুর্কিদের সঙ্গে ইফতার করেন। জানাজার সময় আলীর কফিনে এরদোগান পবিত্র কাবা শরীফের এক টুকরা কাপড় দিতে গেলে তাকে অনুমতি দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং দিয়ানেট প্রধান মেহমেত গরমেজকে কোরআন তেলাওয়াত করতে না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান গাড়িতে উঠার সময় একইস্থানে দাঁড়ানো নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পৌঁছানোর আগেই পর্যাপ্ত সময় নেই অজুহাত দেখিয়ে আয়োজকরা বক্তার তালিকা থেকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নাম বাদ দিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার ও যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন কিংবদন্তি মুষ্টিযুদ্ধা মোহাম্মদ আলী গত ৩ জুন ৭৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্তেকাল করেন। (যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

মোহাম্মদ আলীর জানাজায় এরদোগানকে ‘হেনস্তা’

প্রকাশের সময় : ১০:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০১৬

নিউইয়র্ক: লিজেন্ড মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর জানাজা অনুষ্ঠানে রীতিমতো ‘হেনস্তা’র শিকার হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান। শেষ পর্যন্ত আলীকে দাফন করার সময় উপস্থিত না থেকেই ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রে ওই সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রেসিডেন্সিয়াল সূত্র জানায়, এরদোগান এবং সরকারের অন্যান্য প্রতিনিধিরা কেন্টাকির লুইসভিলে আলীর পুরো জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে না থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আলীর জানাজা অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং মেসখাটিয়ান তুর্কিদের সঙ্গে ইফতার করেন। জানাজার সময় আলীর কফিনে এরদোগান পবিত্র কাবা শরীফের এক টুকরা কাপড় দিতে গেলে তাকে অনুমতি দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং দিয়ানেট প্রধান মেহমেত গরমেজকে কোরআন তেলাওয়াত করতে না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান গাড়িতে উঠার সময় একইস্থানে দাঁড়ানো নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পৌঁছানোর আগেই পর্যাপ্ত সময় নেই অজুহাত দেখিয়ে আয়োজকরা বক্তার তালিকা থেকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নাম বাদ দিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার ও যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন কিংবদন্তি মুষ্টিযুদ্ধা মোহাম্মদ আলী গত ৩ জুন ৭৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্তেকাল করেন। (যুগান্তর)