নিউইয়র্ক ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মুসলিমদের ঈদ উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের বিশেষ আয়োজনে বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৫৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : মুসলিমদের ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সোমবার হোয়াইট হাউসে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য তার প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। ইস্ট রুমে জড়ো হওয়া মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আপনাদের মতো ৩৫ লাখ মানুষ আছেন। আপনারা ভিন্ন ভিন্ন জাতি, বর্ণ এবং ভাষা থেকে এসেছেন। কিন্তু এখন আপনারা একজন আমেরিকান হিসেবে একত্রিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নিজের বক্তব্যে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সুপারহিরো সিনেমা থেকে শুরু করে, খাদ্য, পোশাক, সামরিক ও কূটনৈতিক পরিষেবাগুলোতে ভূমিকা রাখছে মুসলিমরা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজ কংগ্রেসে বেশি মুসলিম রয়েছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য দারুণ।তিনি আন্দ্রে কার্সন এবং ইলহান ওমরের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন। এই দুই কংগ্রেস সদস্য ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঈদুল ফিতর হল রমজানে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর মুসলিমদের সবথেকে বড় উৎসব।

আরোও পড়ুন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার

এদিক মুসলিমরা নিজের পরিবারের সঙ্গে সময়গুলো ভাগ করে নেয় এবং নানা খাবারের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রেও দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এ দিনটি। মিশিগানের দুটি শহর এ বছর ঈদুল ফিতরকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।  যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরগুলিতেও একই উদ্যোগ নিতে কাজ করা হচ্ছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিম-আমেরিকান সম্প্রদায় কয়েক দশক ধরে ইসলামোফোবিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা ইসলামোফোবিয়া সহ সব ধরনের ঘৃণার মোকাবিলা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ বিষয়টি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে আমার প্রশাসন এটি নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, এ কারণেই মুসলিম ও মুসলিম বিরোধী পক্ষপাত ও বৈষম্যমূলক আচরণ চিহ্নিত করতে আমি একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি। মুসলিম-বিরোধী ঘৃণার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো আমাদের জন্য অপরিহার্য। সূত্র : মানবজিমন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মুসলিমদের ঈদ উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের বিশেষ আয়োজনে বাইডেন

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

হককথা ডেস্ক : মুসলিমদের ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সোমবার হোয়াইট হাউসে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য তার প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। ইস্ট রুমে জড়ো হওয়া মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আপনাদের মতো ৩৫ লাখ মানুষ আছেন। আপনারা ভিন্ন ভিন্ন জাতি, বর্ণ এবং ভাষা থেকে এসেছেন। কিন্তু এখন আপনারা একজন আমেরিকান হিসেবে একত্রিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নিজের বক্তব্যে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সুপারহিরো সিনেমা থেকে শুরু করে, খাদ্য, পোশাক, সামরিক ও কূটনৈতিক পরিষেবাগুলোতে ভূমিকা রাখছে মুসলিমরা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজ কংগ্রেসে বেশি মুসলিম রয়েছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য দারুণ।তিনি আন্দ্রে কার্সন এবং ইলহান ওমরের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন। এই দুই কংগ্রেস সদস্য ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঈদুল ফিতর হল রমজানে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর মুসলিমদের সবথেকে বড় উৎসব।

আরোও পড়ুন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার

এদিক মুসলিমরা নিজের পরিবারের সঙ্গে সময়গুলো ভাগ করে নেয় এবং নানা খাবারের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রেও দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এ দিনটি। মিশিগানের দুটি শহর এ বছর ঈদুল ফিতরকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।  যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরগুলিতেও একই উদ্যোগ নিতে কাজ করা হচ্ছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিম-আমেরিকান সম্প্রদায় কয়েক দশক ধরে ইসলামোফোবিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা ইসলামোফোবিয়া সহ সব ধরনের ঘৃণার মোকাবিলা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ বিষয়টি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে আমার প্রশাসন এটি নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, এ কারণেই মুসলিম ও মুসলিম বিরোধী পক্ষপাত ও বৈষম্যমূলক আচরণ চিহ্নিত করতে আমি একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি। মুসলিম-বিরোধী ঘৃণার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো আমাদের জন্য অপরিহার্য। সূত্র : মানবজিমন
সুমি/হককথা